পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব রিপোর্ট : বাংলাদেশকে ‘বিশ্বে উন্নয়নের নতুন মডেল’ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্নে বিভোর অর্থমন্ত্রী নতুন বাজেটের শিরোনাম দিয়েছেন- ‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের’। এই শিরোনামে আজ দেড়টায় সংসদে বাজেট বক্তৃতা শুরু করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে মঙ্গলবার কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন মুহিত। এসময় ঘোষণা করতে যাওয়া তাঁর ১১তম বাজেটকে ‘বেস্ট’ বাজেট হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এবারের বাজেটকে বেস্ট বাজেট বলার কারণ প্রসঙ্গে বলেন, “আমি এবার যে বাজেট দিতে যাচ্ছি সেটা হবে সবচেয়ে কার্যকরী বাজেট। এর পরের বাজেটটা (২০১৮-১৯) আমি দিব, সেটা নির্বাচনী বাজেট হবে। সেই বাজেটে নতুন উদ্যোগ তেমন কিছুই নেওয়া হবে না। যেগুলো আছে সেগুলোই চলবে এবং যেসব ইস্যু অকস্মাৎ ডেভেলপড হয়েছে, সেগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। সেখানে করের হার বাড়ানো টাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা কম থাকবে।
“এজন্য আমি বলেছি, এটাই কার্যকরী বাজেট। নাউ আই অ্যাম মোর অর লেস শিওর, আমার নিজস্ব ফিলিংস হল, দিজ ইজ দ্য বেস্ট বাজেট টু আই হ্যাভ ইভার গিভেন। ইট ইজ গোয়িং টু বেস্ট বাজেট আই হ্যাভ এভার গিভেন। আজকে আমি কনভিন্সড, আফটার ফাইনাল ডিসকাশন উইথ অল। আই ফিল ভেরি হ্যাপি টুডে।”
এবারের বাজেট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি যেটা বলেছিলাম যে বাজেট চার লাখ কোটি হওয়া উচিৎ, চার লাখ কোটির কম হওয়া উচিৎ না। ইট উইল বি ফোর লাখ কোর সামথিং।”
বরাদ্দ প্রসঙ্গে বলেন, “মানব সম্পদের উন্নয়ন হল প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু মানবসম্পদ উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাবে না। বেশিরভাগটা পরিবহন এবং জ্বালানিতে চলে যাবে। এবার বোধহয় বাজেটে মানবসম্পদের উপর জোর দেওয়া হয়েছে এমন কিছু প্রত্যক্ষ নিদর্শন উদ্ভাসিত হবে। কারণ মানবসম্পদের জন্যে, বিশেষ করে আপার ম্যানেজমেন্ট লেভেলের স্ট্রেংথ বাড়ানোর জন্য এবং আমাদের টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশনগুলোর ক্যাপাসিটি ইমপ্রæভমেন্টের জন্যে অনেক ধরনের প্রকল্প এবং চিন্তাধারা এগুলো নির্বাচন করা হয়েছে।”
“বাজেটে ব্যাকওয়ার্ড এরিয়াগুলো চিহ্নিত করা থাকবে এবং সেটার জন্য কিছু বরাদ্দ থাকবে। প্রতিবন্ধীদের বিষয়টা বিশেষভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। ইউ উইল ফাইন্ড ইট ইন দ্য বাজেট প্রপোজালস, ইন দ্য রেভিনিউ প্রপোজালস- সবখানে প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অ্যাকচ্যুয়ালি আমরা নিজেরাই চাই এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। প্রতিবন্ধী আমাদের দেশে যথেষ্ট। আমাদের জরিপ-টরিপ এগুলো ঠিক না, প্রতিবন্ধীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাদের অসুস্থতা জটিল সেটা সকলেই জানেন। অ্যাজ কালচার, হোয়াটেভার ইনক্লুডস.. যা দিয়েছি বাজেটে সেটা থাকবে।”
কৃষিতে আমরাতো খুব কম খরচ করি। আমরা সরকার থেকে খুব বেশি কিছু করি না। কৃষকও বেশি কিছু চায় না। কৃষিতে আমরা অসাধারণ উন্নতি করেছি। এই ধারাটা আমরা রাখতে চাই। উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। আমরা এটার ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।
এ সরকারের দক্ষতার অভাবে বাজেট বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছে কি? এ বিষয়ে মুহিত বলেন, “ট্রু, আমাদের দক্ষতার অভাব আছে। কিন্তু দক্ষতার যে উন্নয়ন হয়েছে, সেটার জন্য একটু কৃতিত্ব দেওয়া দরকার। ৯৫ হাজার কোটি টাকা বাস্তবায়নের জায়গায় এবারে ৩ লাখ ১৭ হাজার হাজার কোটি বাস্তবায়ন হচ্ছে- দ্যাট ওয়াজ এ রিমার্কেবল ইমপ্রæভমেন্ট।”
“ভ্যাট আইনটা ২০১২ সালে আমরা পাস করেছি, কিন্তু এটার সম্পূর্ণ প্রয়োগ এখনও হয়নি, ভেরিয়াস পার্টস অব দিজ হ্যাভ বিন ইমপ্লিমন্টেড। এখন এটা ফাইনালি ইমপ্লিমেন্টেশনে যাবে। এখানে আমরা একটি বেসিক ব্যাপার এবারে প্রথম থেকেই বলছি যে, রেট উইল বি ইউনিফর্ম এবং রেটটা ভ্যাটের সূচনালগ্ন থেকে ১৫ শতাংশ। সহজ করা হয়েছে অনেক সময়। ৩, ৪, ৭ শতাংশ এই রকম করে বাস্তবায়নের একটি প্রিন্সিপল হচ্ছে কয়েক রকমের সহজ শর্ত থাকবে না, ওয়ান রেট উইল বি অ্যাপ্লাইড। হোয়াট ইট মিনস: যিনি সহজ শর্ত চান, তাকে জবাব দিতে হবে যে আমি এত টাকা দিয়ে দিয়েছি সুতরাং আমার উপর ১৫ শতাংশ হবে না, ১৫ শতাংশে যেটা দিতে হয় সেটা থেকে আমাকে এত টাকা মাইনাস দিতে হবে। তার জন্য হিসাব প্রস্তুত করা হইল অত্যন্ত জরুরি, যেটা করতে আমাদের ব্যবসায়ীরা তেমন রাজি নন।
“ভ্যাটের হার হয়তো ১৫ শতাংশ থেকে কম হবে না। কিন্তু ভ্যাট রিলিফের মাধ্যমে ১৫ শতাংশের বাইরে প্রচুর লোককে নিয়ে যাব।
নতুন ভ্যাট আইন জিনিসপত্রের দাম বাড়াবে কি না- এমন প্রশ্নে মুহিত বলেন, “না, কখনোই না। বাড়ার কোনো চান্স নাই।”
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভ্যাটের জটিলতা কোনো প্রভাব ফেলবে কি না- জানতে চাইলে মুহিত বলেন, “প্রশ্নই আসে না। আমার কোনো বাজেটেই বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি। কোনো প্রতিবাদ হয়নি, বিএনপির দিক থেকে ছাড়া। এবার প্রতিবাদ আরও কম হবে।”
বিনিয়োগ প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের বেসরকারি বিনিয়োগে খুব একটা গতি আসেনি। কেন আসছে না, সেটার সঠিক কারণ আমিও খুঁজে পাচ্ছি না। দেশে রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল, হরতাল-অবরোধ নেই। বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। তারপরও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ছে না। আর একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, দেশি বিনিয়োগ না বাড়লে, বিদেশি বিনিয়োগও বাড়ে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।