পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোজা মুক্তি ও নিষ্কৃতির প্রতীক
এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী : রোজা প্রকৃতই মুক্তি ও নিস্কৃতির প্রতীক। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত আছে রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন : রমজান মাসে প্রতি দিবা রাত আল্লাহপাকের দরবার হতে জাহান্নামের কয়েদীদেরকে মুক্তি দেয়া হয় এবং প্রত্যেক মুসলমানের একটি দোয়া অবশ্যই কবুল হয়। (মিশকাত শরীফ: খন্ড, ১, পৃ: ১৭৪)। হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন, মহান আল্লাহপাক উম্মতে মোহাম্মাদীকে তাদের প্রতিটি নেক আমলের প্রতিদান স্বরূপ দশ হতে সাত শত গুণ পর্যন্ত সওয়াব দান করে থাকেন। কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম। রোজার প্রতিদান সম্পর্কে আল্লাহপাক নিজেই বলেন : রোজা আমার উদ্দেশ্যে রাখা হয় এর প্রতিদান আমিই দেব। অথবা এর বিনিময় আমিই হয়ে যাব। (মিশকাত শরীফ : খন্ড ১, পৃ: ১৭৩)। এ প্রসঙ্গে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা:) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন : রোজা এবং কুরআন গোনাহগার বান্দাহকে কেয়ামতের দিন সুপারিশ করবে। (মিশকাত শরীফ : খন্ড ১, পৃ: ১৭৩)। হযরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত আছে রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন : সেই সত্তার শপথ! যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন নিহিত, রোজাদারের মুখের শুষ্ক গন্ধ আল্লাহ পাকের নিকট মিশকে আম্বরের চেয়েও অধিক সুগন্ধিময়। (সহীহ বুখারী : হাদীস নং ১৯০৪; সহীহ মুসলিম : হাদীস নং ১১৫১)। হযরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে আরও বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন : রোজদারদের জন্য দু’টি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে। এর একটি হলো যখন সে ইফতার করে এবং দ্বিতীয়টি হলো যখন সে আল্লাহর দীদার লাভ ধন্য হবে। (সহীহ বুখারী : হাদীস নং ১৮৯৪; জামে তিরমিজি : হাদীস নং ৭৬৬)। হযরত কায়াব বিন ওজরাহ (রা:) হতে বর্ণিত আছে রাসূলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেছেন : তোমরা মিম্বরের নিকটবর্তী হও, আমরা হাজির হলাম। তারপর রাসূলুল্লাহ (সা:) যখন মিম্বরের প্রথম সিড়িতে পা রাখলেন, তখন বললেন, আমীন! অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি কবুল কর। আবার যখন দ্বিতীয় সিড়িতে পা রাখলেন, তখন বললেন, আমীন! পুনরায় তৃতীয় সিড়িতে যখন পা রাখলেন, তখন বললেন, আমীন! খুতবাহ শেষে রাসূলুল্লাহ (সা:) যখন মিম্বর হতে অবতরণ করলেন, তখন আমরা জিজ্ঞেস করলাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! অদ্য আপনার মিম্বরে আরোহনের সময় যা শুনলাম, ইতিপূর্বে তা’ কখনো শুনিনি। রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন, এই মাত্র হযরত জিব্রাঈল (আ:)এসে বললেন, ধ্বংস হোক ঐ ব্যক্তি যে রমজান মাস পেল, অথচ গোনাহ মাফ করাতে পারলনা। আমি বললাম, আমীন! আর দ্বিতীয় সিড়িতে পা রাখবার সময় জিব্রাঈল (আ:) বললেন, ধ্বংস হোক ঐ ব্যক্তি যার সামনে আপনার নাম লওয়া সত্তে¡ও সে আপনার উপর দরূদ পড়ল না। আমি বললাম, আমীন! আর তৃতীয় সিড়িতে পা রাখতেই জিব্রাঈল (আ:) বললেন, ধ্বংস হোক ঐ ব্যক্তি যার সম্মুখে তার মাতা-পিতা অথবা উভয়ের একজন বার্ধক্যে পৌছেছে অথচ তাদের খেদমত করে সে জান্নাতী হতে পারল না, তদুত্তরে আমি বললাম আমীন! (সংকলনে: মুস্তাদরেকে হাকেম)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।