পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : অ্যামিকাস কিউরি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলছেন, এখন বিচারকদের অপসারণের বিষয়টি যদি সংসদের হাতে থাকে তাহলে ভারসাম্য নষ্ট করবে এবং বৈপরিত্য সৃষ্টি করবে। আমাদের সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের স্বাধীন ভাবে কাজ করবার যে ভূমিকা, তিনটি সামরিক শাসনের কবল থেকে আমাদেও বাচিঁয়েছেন সংবিধানকে রক্ষা ও পুনরুদ্ধার করেছেন। সংসদ ও গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যহত রাখার জন্য স্বাধীন বিচার ব্যস্থার বিকল্প নেই। গতকাল রোববার অষ্টম কার্যদিবসের সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষনা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের ওপর শুনানির শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের ওপর শুনানি চলছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক অপসারণ ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে দিয়ে করা সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষনা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের ওপর শুনানি অব্যাহত রয়েছে। এ মামলার শুনানিতে আদালতকে আইনী সহায়তা করতে সুপ্রিম কোর্টের ১২জন সিনিয়র আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
গতকাল বেলা ১১ টায় দিকে আদালতের শুরু হলে প্রথমে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে তার মতামত ব্যক্ত করেন। তার মতামত শেষ হলে এম আই ফারুকীর মতামত শুরু করেন। এর আগে আরো ২ জন সিনিয়র আইনজীবী তাদের মতামত তুলে ধরেন।
শুনানি শেষে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সংসদের মাধ্যমে বিচারকর অপসারণ পদ্ধতি বিশ্বের যেসব দেশের রয়েছে সেখানে নানা ধরনের বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এটি সফল হয়নি। আমাদের আশে পাশের যেসব দেশ রয়েছে বিশেষ করে ভারত শ্রীলংকা মালয়েশিয়াতে এটি সফল হয়নি। এসব দেশের দৃষ্টান্ত আমি আদালতে তুলে ধরেছি। তিনি বলেন, নির্বাচনী বিরোধ নিয়ে যেসব মামলা হয়, সে গুলোর শুনানি ও নিষ্পত্তি হয় হাইকোর্টে।এসব মামলার নিষ্পত্তি করেন বিচারকরা। এখন বিচারকদের অপসারণের বিষয়টি যদি সংসদের হাতে থাকে তাহলে ভারসাম্য নষ্ট করবে এবং বৈপরিত্য সৃষ্টি করবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের স্বাধীন ভাবে কাজ করবার যে ভূমিকা, তিনটি সামরিক শাসনের কবল থেকে আমাদেও বাচিঁয়েছেন সংবিধানকে রক্ষা ও পুনরুদ্ধার করেছেন।
আমরা ঘরে ফিরে যেতে চাই, এ্যাটর্নির এমন বক্তব্যের জবাবে ব্যারিস্টার আমির বলেন, আপিল বিভাগ পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায় দিয়ে ঘরে ফিরিয়েছেন। ঘরে ফেরাতে গিয়ে তারা যেই বললো বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং যে স্বাধীনতা তারা সাহস করে কেরছিলো সেই সময় সেই স্বাধীনতা যাতে অক্ষুণœ থাকে সে জন্য এটি সংসদের হাতে না রেখে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছেই থাকুক। কারণ ওই রায়েই বলা হয়েছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল অনেক বেশি স্বচছ ও কার্যকর। ঘরে ফেরার ব্যাপারে আপিল বিভাগ তার রায় দিয়ে সাহায্য করেছেন। একরাণেই সংবিধান পড়তে আমার কষ্ট হয়। যাদের সংবিধান সম্পর্কে কোন ধারণা নেই, তারাই সংবিধান কাটা ছেড়া করে এ সমস্ত ভাষা ব্যবহার করেছে এবং সংশোধনী এনেছে।
অ্যাডভোকেট এম আই ফারুকী বলেন, ৫ম সংশোধনী বাতিল রায়ে সুপ্রিম কোর্ট সামরিক শাসনামলে জারি করা সকল ফরমান বাতিল করলেও সুপ্রিম জুডিশিয়াল ব্যবস্থাকে রেখে দিয়েছেন। এরপর সরকার ১৫তম সংশোধনীতেও এ ব্যবস্থা রেখে দিয়েছেন। এ অবস্থায় বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী করেছে সরকার। কিন্তু এই ১৬তম সংশোধনী স্বাধীন বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্রের মৌলিক কাঠামোর লংঘন। তিনি বলেন, বিচারকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তা তদন্ত হতে হবে বিচারকদের দিয়েই, রাজনীতিবীদদের দিয়ে নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।