পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পঞ্চায়েত হাবিব : দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক লোডশেডিংয়ের মধ্যেই রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। শনিবার কী পরিমাণ লোড শেয়ারিং করতে হয়েছে তা অবশ্য পিডিবির ওয়েবসাইটে জানানো হয়নি। অর্থচ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) পরিচালক (জনসংযোগ) সাইফুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন শনিবার রাত ১০টায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৪৭১ মেগাওয়াট, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। গতকাল রবিবার তিনি বলেন, গত রাত ৯টার সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন ৯ হাজার ৩৫৬ মেগাওয়াটে পৌঁছালে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। এক ঘণ্টা পর তাও ছাপিয়ে যায়। এর আগে গতবছর ৩০ জুন বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রথমবারের মত নয় হাজার মেগাওয়াটের মাইলফলক স্পর্শ করে। সেদিন মোট নয় হাজার ৩৬ মেগাওয়াট বিদ্যু জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বাড়তে থাকলেও এবার গ্রীষ্ম মওসুমের শুর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘাটতি পূরণে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এর মধ্যে মে মাসের প্রথম দিন ঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত একটি সঞ্চালন লাইন মেরামতের সময় জাতীয় গ্রিডের আরেকটি সঞ্চালন লাইনে বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় দেশের উত্তর ও দক্ষিণ জনপদের অন্তত ৩২ জেলার মানুষকে বেশ কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ইনকিলাবকে বলেন, কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কালীপুরে ভেঙে পড়া ওই বিদ্যুতের টাওয়ার মেরামত শেষ না হওয়ায় এবং কারিগরি ত্রুটির কারণে কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ থাকায় মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহের পর বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়। দেশজুড়ে তাপদহের মধ্যে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে জনজীবন অসহনীয় হয়ে উঠে। দেশের অধিকাংশ জেলায় দিনে বেশ কয়েকবার লোডশেডিং হলেও এই সংকটকে গত শুক্রবার স্বাভাবিক হয়।
তিনি বলেন, পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। শনিবারই উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হওয়ার খবর দিল বিদ্যুৎ বিভাগ। পিডিবির ওয়েবসেইটে শনিবারের পূর্বাভাসে সর্বোচ্চ চাহিদা ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট, যা সর্বোচ্চ উৎপাদন থেকে ৩২৯ মেগাওয়াট বেশি। এই ঘাটতি মেটাতে শনিবার কি পরিমাণ লোড শেয়ারিং করতে হয়েছে। তা অবশ্য পিডিবির ওয়েবসাইটে জানানো হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলছেন, গত আট বছরে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রায় তিনগুণ বাড়লেও বিদ্যুৎ সুবিধাবঞ্চিত জনগনের কাছে নতুন সংযোগ পৌঁছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদাও বেড়ে চলেছে। ফলে গরমের সময় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার মধ্যে লোড ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কম বিদ্যুৎ দিয়েই চাহিদা মেটানো হয়। বেশিরভাগ সময় এর জন্য ভুগতে হয় গ্রামের মানুষকে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ২৭টি থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৮টি। আর উৎপাদন ক্ষমতা ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে ১৫ হাজার ৩৫১ মেগাওয়াট হয়েছে। আগে যেখানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৭ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল, এখন তা বেড়ে ৮০ শতাংশ হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।