Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেমন ‘মা’ চাই

প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টালিন সরকার  : ‘মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু যেন ভাই/ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই’। অথবা ‘মায়ের মতো আপন কেহ নাই রে/মা জননী নাইরে যাহার/ত্রিভুবনে তাহার কেহ নাই রে’। কবিতা ও গানের এই পঙক্তিগুলো চিরজাগ্রত। পৃথিবীতে মায়ের বিকল্প কেউ নেই। মায়ের কোনো জাত নেই। খারাপ-ভাল যাই হোক সন্তানের কাছে মা মা’ই। ‘মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত’ এটা কোনো প্রবাদবাক্য নয়; হাদিসের কথা। মায়ের নাড়িছেঁড়া ধন সন্তান। জন্মের পর মাকে প্রথম সন্তান দেখে, তার কাছে শেখে, বেড়ে ওঠে। অতএব সন্তানের জীবনে মা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন হলো কেমন মা চাই? প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, সচিব, সমাজের উচ্চপদে অধিষ্ঠিত, বড় চাকুরে, অধ্যাপক, সিনেমার নায়িকা, গায়িকা, সামরিক কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তা, সমাজ সেবিকা, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বা নীচুতলার অচ্ছুৎ নারীরা যে পেশায় থাকুক না কেন সন্তানের কাছে তার পরিচয় তিনি গর্ভধারিণী ‘মা’। মাঝে মাঝেই খবর বের হয় মায়ের হাতে সন্তান খুনের।
ঢাকার বনশ্রীতে দুই শিশু হত্যাকা-ের পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছে মা নিজেই তার দুই সন্তানকে খুন করেছেন। আদালতে হাজির করার আগে যদিও এ ধরনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর আইনগত ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। জোড়া খুনের নেপথ্যের রহস্য কি বা মা প্রকৃত হত্যাকারী না অন্য কেউ; তদন্তের আগেই মিডিয়া ট্রায়াল করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। ওই মায়ের পরিবারের সদস্যরা এবং সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করছে না যে, মা ওই দুই শিশুকে হত্যা করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। নানাজনে নানা মন্তব্য করছেন।  জোড়া খুনের প্রকৃত তথ্য হয়তো আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের পর উদঘাটন হবে। কিন্তু মিডিয়াগুলোতে আরো খবর বের হয়েছে, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার এক প্রতিবেদন বলছে চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবার কর্তৃক ৫০টি শিশু হত্যাকা- ঘটেছে। শুধু তাই নয়, কয়েকটি হত্যাকা- মা ঘটিয়েছেন বলে তথ্যে দাবি করা হয়। নিজের নাড়িছেঁড়া ধন সন্তানকে মা হত্যা করে এটা কল্পনা করা যায় না। কারণ মায়ের আঁচল হলো সন্তানের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। অথচ প্রচারণা রয়েছে মাই সন্তানের হন্তারক! একসময় অভাবের তাড়নায় মা নিজ সন্তানকে হত্যা করতেন এমন খবর শোনা যেত। কিন্তু যেসব হত্যাকা- ঘটেছে সেগুলো শুধু অভাবের কারণে নয়।
 ইনকিলাব পাঠকদের ভাবনায় আনতে চাই ২-৩ বছর আগে রাজারবাগে পুলিশ দম্পতিকে খুন করেছিল তাদের কিশোরী মেয়ে ঐশি। এখন দেখা যাচ্ছে মা নিজে খুন করলেন তার দুই সন্তানকে! মা ও বাবার হাতে শিশুসন্তান খুনের ঘটনা বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। এ ঘটনা যে কেবল সমাজের অতি নিচুতলায় ঘটছে তা নয়। সব তলা থেকেই এই দুঃসংবাদ আসছে। এ ধরনের ঘটনার নেপথ্যের কারণ কি? সমাজে বহুল প্রচলিত প্রবাদ হলো ‘যেমন মা তেমনি মেয়ে’। মায়ের মতোই মেয়েরা হয়ে থাকেন প্রবাদে সেটাই বোঝানো হয়েছে। তবে সন্তান হত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এখন সামনে চলে এসেছে পরিবারের মানুষগুলোর মধ্যকার বিচ্ছিন্নতা। বাবা-মায়ের বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে জীবনযাপন সবকিছু নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। এটা ঠিক সময়ের প্রয়োজনেই একান্নবর্তী পরিবার প্রথা ভেঙে গেছে। দাদা-দাদী, চাচা-চাচীর সঙ্গে বেশির ভাগ ছেলেমেয়ে  শিশু বয়সে থাকতে পারেন না। যার কারণে শিশুদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। একই পরিবারের মানুষগুলো অবস্থান করে যোজন যোজন দূরত্বে। এই দূরত্ব তাদের পরিবার থেকে বহির্মুখী করে তুলে। পাশ্চাত্যের জীবনাচার চর্চার কারণে পরিবারের বাইরে তৈরি সম্পর্কের বিষয়ে বাবা-মা ও ছেলেমেয়েরা সময় ব্যয় করে বেশি। এই কাজটি যখন বাবা এবং মায়ের দ্বারা হয় তখন সন্তানেরা বিপন্নতা বোধ করে। এমনিতেই বিজ্ঞানের বদৌলতে সব কিছুকে উসকে দিচ্ছে সমাজের ভোগবাদী আস্ফালন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারের সক্রিয় ভোক্তা হতে চাওয়ার মানসিকতা। সঙ্গে আছে আকাশ সংস্কৃতির নামে দেশী-বিদেশী মিডিয়ার প্রচারণায় বেলেল্লাপনা, গণমাধ্যমের দূরশিক্ষণের উলঙ্গ নৃত্য। বিদেশী মিডিয়াগুলোর অপসংস্কৃতি চর্চা ও কুৎসিত প্রচারণার কথা বাদই দিচ্ছি; দেশের গণমাধ্যম বিজ্ঞাপন ও বিনোদন প্যাকেজ দিয়ে আমাদের পরিবার ও সমাজকে সেই ঝকঝকে মোড়কে কি ঢেকে ফেলতে চাইছে না? বিজ্ঞাপনের নামে যা দেখানো হয় তার অধিকাংশই কি শিশুদের কচি মনকে উসকে দিচ্ছে না?
এক সময় ছোটবেলায় ছেলেমেয়েদের নৈতিক শিক্ষার প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হতো। স্কুলের পাশাপাশি ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় আরবী পড়া শেখানো হতো। বাবা-মা সন্তানদের শুধু শিক্ষিত নয়; পাশাপাশি মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতেন। শিক্ষিত সমাজের পরিবারগুলোতে শিশুদের এখন আবরী পড়ানোর প্রচলন কমে গেছে। পাশ্চাত্যের ঢঙয়ে গড়ে তোলার জন্য ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে শিশুদের পড়ানো যেন ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। স্কুল-কলেজগুলোতে নৈতিক শিক্ষাকে ‘সেকেলে-কুপম-ুকতা’ হিসেবে প্রচার করে আধুনিক শিক্ষার প্রতি জোর দেয়া হচ্ছে। এই শিক্ষার কারণে ছেলে হোক মেয়ে হোক শিশুরা অধিকাংশই ছোট্টবেলায়  পরিবারের কারণেই নৈতিক শিক্ষা থেকে থাকছে দূরে। আবার পারিবারিকভাবে বাবা-মায়ের চলাফেলা, জীবনযাপন, শহুরে পার্টি, প্রোগ্রাম, স্বামী-স্ত্রীর ইচ্ছামতো জীবনাচার ইত্যাদি শিশুদের কচি মনে প্রভাব ফেলছে। একইভাবে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধ, মাদকাসক্ত স্বামী, যৌতুকের জন্য নির্যাতিত মা, পারিবারিক আরো নানা কারণে মানসিক চাপে থাকা মাকে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। নারী অধিকারের নামে স্বামীর ওপর স্ত্রীর অতি খবরদারি দেখছে। বাবা-মায়ের তথাকথিত প্রগতিশীল, উচ্চশিক্ষার ফ্রি জীবনাচার দেখে দেখে ছোট থেকে বড় হওয়া শিশুরা নিজেরা বাবা-মা হওয়ার পর সন্তানদের সঙ্গে একই আচরণ করছেন। মা যত বড়ই চাকরিজীবী এবং সমাজের উঁচু তলার হোক না কেন সন্তানের কাছে তিনি মা ছাড়া অন্য কিছু নন। সন্তানরা তার কাছে মায়ের ¯েœহ ভালবাসা প্রত্যাশা করে; তার কাছেই শিক্ষা নেয়। মা যদি অফিস করে, মিটিং মিছিল করে, অন্যকে প্রগতির ছবক দিয়ে, বন্ধুদের সঙ্গে নরম-গরম পার্টিতে অ্যাটেন্ড করে গভীর রাতে বাসায় ফেরেন। বাসায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কার প্রভাব বেশি, সমঅধিকার কেন হচ্ছে না ইত্যাদি নিয়েই বেশি মদমত্ত থাকেন; সেগুলো সন্তানদের মধ্যে প্রভাব ফেলে। কারণ শিশুরা মাকে দেখে শেখে বেশি। মায়ের উচ্ছৃঙ্খল জীবনাচার, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসন উপেক্ষা করে জীবনযাপন দেখে যেমন শিশুরা শেখে; তেমনি মা যত বড় উঁচু পদে কাজ করুক তিনি সন্তানের প্রতি মার্তৃত্বসুলভ আচরণ, সন্তানের যতœআত্তি করেন, শিশুদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রতি যতœশীল হন সেটাও শিশুরা অনুসরণ ও অনুকরণ করে। শিশুরা বড় হলে বাবা-মা যেমন জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত ছেলে-মেয়েরা তাদের মতোই শুধু নয়; প্রকারান্তরে তাদের চেয়েও বেশি কিছু করার চেষ্টা করেন। বাংলাদেশ জমিয়তে মোদার্রেছীনের সভাপতি ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন কথা প্রসঙ্গে জানালেন, দেশের আলিয়া মাদ্রাসাগুলোতে প্রায় ৩৫ লাখ ছাত্রী লেখাপড়া করছে। মাদ্রাসায় পড়ার কারণে তাদের ক্লাসের পড়াশোনায় আদব-আকিদা, নৈতিক শিক্ষা, জীবনাচার, সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। শিক্ষার কারণেই পরবর্তীতে তারা জীবনাচারে এসবের প্রতি অধিক যতœশীল হন। যে ছাত্রীরা নৈতিক শিক্ষা পান ক্লাসে; এবং পরিবারে বাবা মায়ের কাছে,  বড় হয়ে তারা সেই শিক্ষা নিজ নিজ সন্তানদের দেবেন; সেটাই স্বাভাবিক। সন্তানকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে মায়ের জন্য ধর্মীয় অনুশাসন, সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নিজের শিক্ষার প্রভাব যেমন তার কর্মজীবন ও জীবনাচারে প্রভাব ফেলে তেমনি মা হিসেবে তিনি সেটাই সন্তানদের শেখাবেন। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, তথাকথিত প্রগতিশীলতার নামে ইদানীং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈতিক শিক্ষার বদলে নারী স্বাধীনতা, নারী অধিকার ইত্যাদির শিক্ষা প্রাধান্য দেয়া হয়। এনজিওগুলো নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে মহাব্যস্ত। শহরের কিছু শিক্ষিত নারী পাশ্চাত্যের জীবনাচারের পাশাপাশি সেদিকেই ছুটছেন। পরিবার, স্বামী ছেলেমেয়ে তাদের কাছে হয়ে পড়ে গৌণ। স্কুল-কলেজে ছাত্রীদের ধর্মীয় অনুশাসন, সামাজিক মূল্যবোধ, আদব কায়দা, আকিদা, শালীনতা, পর্দা ইত্যাদি শেখানো হলে প্রগতিশীল নারী নেত্রীরা হইচই করে প্রতিবাদী হন। তাদের কাছে শিক্ষিতের সংজ্ঞা হলো প্রগতিশীলতা, যেমন খুশি পুরুষের পাশাপাশি নারীর এগিয়ে চলা। ঘর-সংসারে নারীর পাশাপাশি পুরুষও সমানভাবে রান্নাবান্না করবে। এটাই তাদের সমান অধিকার। গত বছর ঢাকার হলিক্রস ও আইডিয়াল স্কুলের পরীক্ষায় ছাত্রীদের পর্দানশীল হওয়া সংক্রান্ত প্রশ্ন করা নিয়ে কি হুলুস্থুল কা- ঘটে গেছে মিডিয়া খুললেই তা পাওয়া যাবে। প্রশ্ন প্রস্তুতকারী শিক্ষকদের ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হয়েছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলসহ ছাত্রী হলগুলোতে ছাত্রীদের জন্য ‘সূর্যাস্ত আইন’ করা নিয়ে কি লঙ্কাকা- ঘটে গেছে তা সবার জানা। কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চেয়ে সূর্যান্ত আইন বাতিল করতে হয়েছে। বাস্তবতা হলো আজকের যে কন্যা শিশু, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া ছাত্রী তিনিই আগামী দিনের মা। শিশু বয়সে পরিবারে ও শিক্ষালয়ে যদি নৈতিক শিক্ষা না পান তিনি বিয়ে এবং মা হওয়ার পর সন্তানদের নৈতিক শিক্ষা দেবেন কেমন করে?  পাশ্চাত্যের জীবনাচার ও রঙঢঙ-এ বাবা-মায়ের জীবনযাপন দেখতে দেখতে বড় হওয়া মেয়েটি যখন বিয়ের পর স্বামীর সংসারে যাবে এবং মা হবে তখন তিনি বাবা-মায়ের মতোই জীবনযাপন করবেন সেটাই স্বাভাবিক। কোনো মেয়ে শিশু বয়সে মায়ের আদর ¯েœহ না পেলে মা হওয়ার পর তিনি নিজ সন্তানের মার্তৃ¯েœহে ভরিয়ে দেবেন এমন প্রত্যাশা করা কি ঠিক? পরিবার ও শিক্ষালয়ে শিশুদের ধর্মীয় অনুশাসন, সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষা খুবই জরুরি। কারণ আজকের শিশুকন্যা আগামী দিনের মা। যে জন্মের পর থেকে মায়ের পাশ্চাত্যের ঢঙে জীবনযাপন দেখেছে; নিজের ব্যস্ততার কারণে শিশুকন্যাকে জড়িয়ে ধরার সময় পায়নি; সে শিশুকন্যা বড় হয়ে মা হলে মার্তৃত্বের আদরে সন্তানকে ভরিয়ে দেবে এমন প্রত্যাশা করা অবাস্তর। নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত মায়েরাই কেবল পারেন আগামীর ভাল মায়ের সৃষ্টি করতে। নেপোলিয়ন বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও/আমি তোমাদের একটা শিক্ষিত জাতি উপহার দেবো’। শিক্ষিত মা বলতে নেপোলিয়ন কি বুঝিয়েছেন তা সহজেই অনুমেয়।





 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কেমন ‘মা’ চাই

৬ মার্চ, ২০১৬
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ