পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে কোনো লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার সকালে এক আলোচনা সভায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে খুব পরিকল্পিতভাবে অত্যন্ত কৌশলে বিভিন্ন রকমের অপপ্রচার প্রথম থেকে শুরু করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে। আজ পর্যন্ত একটারও দুর্নীতি সরকার প্রমাণ করতে পারেনি। একইভাবে জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। তাতে কি তাদের মানুষের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া যাবে? তারা শুধু ব্যক্তি নন, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও বাংলাদেশের স্বতন্ত্র জাতীয়তাবাদের প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। বিএনপির নেতা-কর্মীরা এত নির্যাতন ভোগ করছে, শত শত আমাদের সহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, অনেকে গুম করে ফেলা হয়েছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। তারপরও আমাদের একজন মানুষও কি দল থেকে সরে গেছে?
তিনি বলেন, জনগণের সঙ্গে বিএনপি আছে। এদেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ করার জন্য কাজ করছে।
সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দশম কারাবরণ দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
তারেক রহমানকে আগামী দিনের নেতা অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, যে মানুষটির ছবি বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে ইতোমধ্যে প্রতীক হয়ে গেছে। যে মানুষটির ছবি তরুণ সমাজের কাছে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে, তাকে কি এত সহজে বিলীন করে দেয়া যায়? যায় না।
তিনি বলেন, তারেক রহমান সাহেব একটা প্রতীক। আজকে এখানে যে মিডিয়ার ভাইরা আছেন, তারা কতটুকু বক্তব্য দিতে পারবেন, জানি না। কারণ তারেক রহমান সাহেবের বক্তব্য এখন বাংলাদেশে প্রচার করতে দেয় না। তার কোনো কথাই দেশের পত্রপত্রিকায় প্রচার করতে দেয়া হয় না। কেন? গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে তাহলে এত ভয় কেন? ভিন্নমতকে এত ভয় কেন? বিরোধী দলের মতামতকে, কথাগুলোকে আপনারা প্রচার করতে দেন না, প্রকাশ করতে দেন না।
বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়েরের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, যিনি গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘ ৯ বছর ধরে লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, যার স্বামী মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন, যার ভাই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, যিনি মুক্তিযুদ্ধে কারা নির্যাতিত হয়েছিলেন, আজকে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা কাকে বলে? দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই রাষ্ট্রকে সংরক্ষণ করেছেন, এদেশের মানুষকে সংরক্ষণ করেছেন, যিনি তিনবার এই রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন, আজ তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেয়া হয়। তখন এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে এই মামলা দেয়া হয়েছে।
১/১১-র ‘কুশীলব’ বিচার প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ১/১১ ছিল জনগণের রাজনীতিকদের সরিয়ে ফেলা, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনের যে নেতৃত্ব তাকে শূন্য করে দেয়া। আজকে যারা ১/১১-র বিপক্ষে কথা বলছেন, তারাই সে সময়ে ওই সরকারকে বৈধতা দেয়ার কথা বলেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ওই সরকার তাদের আন্দোলনের ফসল। এরা যা করেছে, তার সবকিছুকে বৈধতা দেবেন। এখন যখন আঁতে ঘা লেগেছে, তারা আক্রান্ত হয়েছেন, এখন ১/১১-র বিরুদ্ধে কথা বলছেন।
যারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তাদের কোনো বিচার না করে আজকে তারা কথা বলছেন। বারবার ১/১১ কুশীলবদের বিচারের দাবি উঠেছে। ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এ নিয়ে মামলাও করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক গাজী মাজহারুল আনোয়ার, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।