Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিজিটাল নির্বাচন

আওয়ামী লীগের ‘হ্যাঁ’ বিএনপির ‘না’

| প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম


যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী ও ভারতে ইভিএম মেশিন টেম্পারিং প্রমাণিত : জার্মান আদালত নির্বাচনে ইভিএম মেশিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে
পঞ্চায়েত হাবিব : আগামী নির্বাচন ডিজিটাল পদ্ধতি তথা ইভিএমে হবে না পুরনো পদ্ধতিতে হবে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন চায় রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, বুদ্ধীজীবী, নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানগুলোর মতামতের ওপর ভিত্তি করে এ ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিতে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ডিজিটাল পদ্ধতির নির্বাচন করার পক্ষ্যে জোড়ালে মত দিচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দিয়েছে তারা ইভিএমে নির্বাচনের বিরুদ্ধে। তাদের শঙ্কা ডিজিটাল ভোটের নামে মেশিন টেম্পারিং করে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট নিজেদের বাক্সে নিতে চায়। নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। তাদের কেউ মনে করেন কি পদ্ধতি নির্বাচন হবে সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর বিতর্ক অবান্তর। কোন পদ্ধতির ভোটে সবার গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার একমাত্র ইসির; কোনো রাজনৈতিক দলের নয়। কারো মতে, ইভিএমে একাদশ জাতীয় নির্বাচন না করলেও পদ্ধতির প্রস্তুতি নেয়া যেতে পারে। আবার কেউ মনে করছেন এখন সবার আগে দরকার সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী ও ভারতে ইভিএম নিয়ে বিতর্কের প্রসঙ্গ টেনে তারা বলছেন এখন ইভিএম ইস্যু নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি অবান্তর।  
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের খসড়া রোডম্যাপে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নির্বাচন তথা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম রাখা হয়নি। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যথাসময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে। ইসির প্রস্তুতিতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি’র মধ্যে ভোট হবে। জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, পর্যবেক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে সংলাপ করা হবে। সিইসি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনার সময় ইভিএম প্রসঙ্গ আনা হবে। তখন যদি দলগুলোর ইচ্ছার ওপর সবকিছু নির্ভর করবে। নির্বাচনী এ রোডম্যাপ ঘোষণার পর নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ চায় ডিজিটাল পদ্ধতি তথা ইভিএমের ভোট গ্রহণ। আর মাঠের বিরোধী দল বিএনপি চায় পুরনো পদ্ধতিতে ভোট। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। তবে দেশের বুদ্ধিজীবী, নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা মনে মনে করেন এখন প্রয়োজন সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথা ইভিএম নির্বাচন ইস্যুতে বিতর্ক হতে পারে কিন্তু এখনো বাংলাদেশ ডিজিটাল পদ্ধতির নির্বাচনে প্রস্তুত নয়। তবে কেউ কেউ ডিজিটাল পদ্ধতির নির্বাচন ইস্যু বাদ রেখে নির্বাচন সহায়ক সরকার গঠনের পরামর্শ দেন।
আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা চাচ্ছেন ভোট গ্রহণে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হোক। গতকালও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ইভিএমের দাবি যৌক্তিক। ডিজিটাল যুগে অ্যানালগ থাকতে চাই না। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জোরালোভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের যুক্তি তুলে ধরবো। অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ইভিএম চাই না আমরা চিঠি দিয়ে কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছে। জনগন  ভোট মেশিনে দিতে চায় না। জনগণ তাদের ভোটের ফলাফল তাদের হাতে দেখতে চায়, মেশিনে নয়। সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, আস্থার নির্বাচন করতে হলে, নির্বাচনকালীন সরকারের সততা এবং শুভ উদ্দেশ্য একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নির্বাচন কমিশনকে থাকতে হবে সক্রিয়। হঠাৎ ইভিএম নিয়ে বিতর্কে যাওয়া উচিত নয়।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার চায় না জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) চিঠি দিয়েছে বিএনপি। নতুনত্ব না থাকলেও বিএনপির ভিশন-২০৩০ রূপকল্প ২০৩০ ঘোষণাকে দলটির নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ হিসেবে দেখছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অনেক কেন্দ্রী নেতা। তাঁরা মনে করছেন, ওই রূপকল্প ঘোষণার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের একটি আভাস দিয়েছে বিএনপি। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তত্ত¡াবধায়ক কিংবা সহায়ক সরকারের দাবি আর বড় ইস্যু হবে না। নির্বাচনকালীন অন্তবর্তী সরকারে বিএনপিকে রাখা হবে কি না, এ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে কি না, এমন ইস্যুগুলোই আগামী দিনে রাজনীতির বড় ইস্যু হবে। আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলে তাঁদের এমন মনোভাব টের পাওয়া গেছে। এ দিবে দেশের নির্বাচন বিশেষঞ্জরা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের বিষয়টি না এনে কিভাবে সকলে অংশগ্রহন মুলক নির্বাচন করা যায় সে বিষয় গুলো সরকার এবং বিরোধী দল গুলো দেখার দরকার। তার পরে কমিশনকে নিয়ে আলাদা বৈঠক করা যেতে পারে। আগামী নিবার্চন কিভাবে হবে সে বিষয় গুলো নিয়ে সরকার সকলের সাথে আলোচনা বা সংলাপ করতে পারে।
মূলত আগামী নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার চায় আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আগে পেসিডেন্টের  সঙ্গে সংলাপে এ প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে দিয়েছে দলটি। স¤প্রতি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে আগামী নির্বাচনেই ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে মত দেন। ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘বিশ্বের সঙ্গে আমাদেরও তাল মিলিয়ে চলতে হবে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার করতে হবে। এ জন্য আমাদের প্রস্তুতি থাকতে হবে। সেভাবেই দলের নেতাকর্মী ও নির্বাচনী এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এ ব্যবস্থা চালু হলে নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ বন্ধ হবে। কেউ ব্যালট ছিনতাই ও কারচুপি করতে পারবে না। সার্বিকভাবে নির্বাচন পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা ও স্পষ্টতা আসবে।’ ওই সময় জয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ইভিএমের পক্ষে জনমত গড়ে তোলারও আহŸান জানান। আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মনে করি, ইভিএম আধুনিক একটি পদ্ধতি এবং এটি ব্যবহার করা হলে প্রযুক্তিগতভাবে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে নির্বাচন হলে নির্ভুল এবং নিরপেক্ষ ফলাফল যথাযথ হবে।
ক্ষমতাসীন ১৪ দলের এক বৈঠকেও জোটের শরিক বিভিন্ন দলের নেতারা বলেছেন, বিএনপির রূপকল্পগু ঘোষণা শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের একটি প্রাক-পদক্ষেপ। বিএনপির রূপকল্পগুকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্র প্রস্তুত করার কৌশল বলেও বৈঠকে মত দেন কেউ কেউ। আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পক্ষে রয়েছে। আমরা মনে করি ইভিএম পদ্ধতি একটি আধুনিক এবং প্রযুক্তিগতভাবে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে নির্ভুল এবং নিরপেক্ষ ফলাফল যথাযথ হবে। আমরা ইভিএম এ ভোটগ্রহণকে সমর্থন করি। কোনো কিছু ভালো করতে গেলেই তারা (বিএনপি) বলে মানি না, মানব না। আমাদের দলীয় অবস্থান ইভিএমের পক্ষে, তা দেশবাসী এবং নির্বাচন কমিশনকে জানানোর অধিকার আমাদের রয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। তারা যদি আমাদের ডাকে, তাহলে আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরব। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার দায়িত্ব পালন করে। সেভাবেই শেখ হাসিনা সরকার দায়িত্ব পালন করবে। আর নির্বাচন হবে সরকারের নয়, নির্বাচন কমিশনের অধীনে। পুলিশ, প্রশাসন সবকিছু থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার রুটিন ওয়ার্ক করবে। তাই এটা মানতে অসুবিধা কোথায়?
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, যেকোনে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক দলে বক্তব্য দেয়ার এখতিয়ার নেই। এটা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিবে নির্বাচন কমিশন।  তার আগে কমিশন  দেশের সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবে। আলোচনায় যদি রাজনৈতিক দল গুলো চায় তার পর কমিশন বিষয়টি ভেবে দেখবে। আসলে ইভিএম ব্যবহার করতে পারবে কি না। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বিষয় বিবেচনা নিয়ে কমিশন কাজ করবে। তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার চায় না বিএনপি। ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) চিঠি দিয়েছে বিএনপি। ভারতে কীভাবে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট কারসাজির ঘটনা ঘটেছে সেটির ছবিসহ প্রকাশ করেছে। জার্মান আদালত ২০০৯ সালে এক রায়ে বলেছে, ইভিএম সহজে টেম্পারিং করা সম্ভব, এতে ভোট পুনঃগণনার সুযোগ নেই। তাই জার্মান আদালত ওই মেশিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। তিনি বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে সরকারী দল বিরোধী দলের সাথে আলোচনা করতে পারে। সাবেক নিবাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) এম. সাখাওয়াত হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, আমি জানি না রাজনৈতিক দল গুলো ইভিএম নিয়ে কোন নির্বাচন কমিশনকে বির্তকে ফেলাচ্ছে। কমিশন তো বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে পাবে। কমিশন তাদের রুটি কাজ করবে।  কমিশন তো আগেই বলেছে কোন রাজনৈতিক দল না চাইলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তার পর বড় রাজনৈতিক দুলগুলো কি কারণে এ ধরনের বক্তব্য দেয়া তা আমার জানা নাই। আমরা কমিশনে দায়িত্ব পালন করার সময় ইভিএম নিয়ে কাজ করেছি। তখন বড় দুই রাজনৈতিক দল বলেছিল স্থানীয় সরকার নিবার্চন গুলো হবে। তাই করেছি। জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম হবে কি হবে না তা কমিশন সিদ্ধান্ত নিবে আর সরকারি দল হিবে তারা দেখতে পারবে। কিন্তু কমিশনের কাজে চাপ দেওয়া ঠিক নয়। তিনি আরো বলেন, আগে কিভাবে নিবাচন হবে তা সরকার আলোচনা করতে পারে। এটা দোষের কিছু নেই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, ইভিএম চাই না আমরা চিঠি দিয়ে কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছে। আমাদের দেশের মানুষ নিজের হাতে নিজের ভোট দিতে চায়।  জনগন কখনো নিজের ভোট মেশিনে দিতে চায় না।জনগণ তাদের ভোটের ফলাফল তাদের হাতে দেখতে চায়, তারা মেশিনে নিতে চায় না। সরকারী দল কোন জনগনের হাতে ভোট নিতে চায় না। কারণ ফলাফল তাদের বিপক্ষে যাবে। এ কারণে জনগনের ভোট দান নিয়ে আওয়ামীলীগ নতুন করে সড়ষন্ত্র করছে। গত নির্বাচনে ইভিএম ছিল না। এবারো থাকবে না। তিনি বলেন, সারা পৃথিবীতি ইভিএম নিয়ে বির্তক চলছে। পৃথিবীর উন্নত দেশ আমেরিকায় সেখানেই ইভিএম নিয়ে বির্তক শুরু হয়েছে। তাদের ভোটের ফলাফল হ্যাকিং করেছি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের জনপ্রিয়তা ‘শূন্যের কোঠায় নেমেছে’ বলে আগামী নির্বাচনে কারচুপির দুরভিসন্ধি থেকে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করতে চায় বলে সন্দেহ করছে বিএনপি। দুই দিন আগে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন যে, আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইভিএম পদ্ধতিকে ‘ক্রটিপূর্ণ’ হিসেবে বর্ণনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানী ও ভারতে ইভিএম নিয়ে বির্তক হওয়ায় তার ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বা আংশিক রাখা হয়েছে। ভারতের কোনো রাজ্যের উপ-নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছিল, সেখানে এমপিরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গত কয়েদিন আগে ভারতে কীভাবে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট কারসাজির ঘটনা ঘটেছে সেটির ছবিসহ প্রকাশ করেছে। জার্মান আদালত ২০০৯ সালে এক রায়ে বলেছে, ইভিএম সহজে টেম্পারিং করা সম্ভব, এতে ভোট পুনঃগণনার সুযোগ নেই। তাই জার্মান আদালত ওই মেশিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।



 

Show all comments
  • yunus ২৬ মে, ২০১৭, ৬:৪৬ এএম says : 0
    ইভিএম সিস্টেম এ নির্বাচন, এর আগে আমাদের ভাবতে হবে, আমাদের ভোটারা, কত টুকু সচেতন,কত শতাংশ জনগন শিক্ষিত,,শুধুমাত্র এক শ্রেনির মানুযের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার লক্ষে এই সিস্টম চালু করলে,সাধারন মানুযকে শুধু অবহেলা করা হবে,এখনও অনেক মানুয মোবাইল ই ব্যবহার করতে পারেনা, এখনও জন্ম নিব্ধন করার জন্য ইউনিয়ন বোডে গিয়ে ধন্যা দিতে হয়,যেখানে এখনও অধিকাংশ মানুয অনলাইন,ইন্টারনেট,ইমেইল, ইত্যাদি শব্দের সাথে তেমন পরিচিত নয়,যে সমাজে শিক্ষিতের হার অর্ধেক এর কম,যে সমাজে মানবতা ভুলন্ডিত,সেখানে ইভিএম সিস্টমে নির্বাচন , সাধারন ভোটারদের নিয়ে উপহাস করা ছাড়া আর কিছুই নয়, এক লাফে ডিজিটাল গাছের আগায় উঠতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা অনেক বেশী,এই সিস্টেম চালু করার আগে,একটি শিক্ষিত,উন্নত মানবতা সম্পন্না সমাজ গড়ার জন্য আমাদের সকলের সম্মিলিত ভাবে কাজ করা উচিত,
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ২৬ মে, ২০১৭, ৯:৩০ এএম says : 0
    একটি অখ্যাত পত্রিকার রিপোর্টের উপর কানাডার আদালত কি বললো, তা নিয়ে কত হৈ চৈ। কত না কিছু। বন্ধু দেশ ভারত, যুক্ত রাষ্ট্র, জার্মানীতে ইভিএম এ টেন্পারিং হলো। জার্মানীর আদালতে ইভিএম নিষিদ্ধ হলো। কৈ জনগণকে ত কিছুই জানানো হলো না। উপরন্ত এই আপদ জনগণের কাধের উপর চাপানোর পায়তারা চলছে। তবে জনগণ যখন যেনে ফেলছে, তা প্রতিহত হবেই বলে মনে হচ্ছে। প্রতারনা হতে দূরে থাকুন, জনগণের কাতারে আসুন। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইভিএম

৩ অক্টোবর, ২০২২
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ