পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের টিকিট হয়ে উঠেছিল হাই ডিমান্ড। সেদিন ১৫০ টাকার টিকিট প্রকাশ্যে কালোবাজারে বিক্রি হয়েছে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। ফাইনালে বাংলাদেশ ওঠায় টিকিট হয়ে পড়েছে সোনার হরিণ। ২৫ হাজার দর্শক আসন বিশিষ্ট মিরপুর স্টেডিয়ামের ম্যাচের টিকিট বিক্রি করার সত্ত্ব ইউসিবিএলকে দিচ্ছে ঠিকই বিসিবি, তবে ব্যাংকটিকে কিন্তু পর্যাপ্ত টিকিট বিক্রির জন্য দিচ্ছে না তারা কখনোই। প্রতিবারই টিকিট নিয়ে হাহাকার, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের কারণ হিসেবে ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ অভিযোগই তোলা হচ্ছে। এবার সেই অভিযোগ আরো বড় হলো। গতকাল সকালে মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবিএল) শাখায় ফাইনালের টিকিট বিক্রি শুরুর পর তৈরি হয় সেখানে বিশৃঙ্খল অবস্থা। গত বৃহস্পতিবার থেকে টিকিটের জন্য প্রতীক্ষায় থাকা জনতা টিকিট না পেয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দিতে পুলিশ ছোড়ে টিয়ার গ্যাসের সেল। ওই ঘটনায় সারাদিন বন্ধ থাকার পর বিকেল সোয়া চারটার দিকে ফের শুরু হয় টিকিট বিক্রি। অল্প কিছু টিকিট বিক্রির জন্য হাতে পাওঢায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যে শেষ হয়ে যায় সব টিকিট। বাইরে অপেক্ষমাণ টিকিট প্রত্যাশীদের মধ্যে পুনরায় ক্ষোভের সঞ্চার হয়। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। ইউসিবিএল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, টিকিট বিক্রি শেষ।
গতকাল ব্যাংকটির ওই শাখায় তিন হাজারের মতো টিকিট বিক্রি করার কথা ছিল। তবে সে পরিমাণ টিকিট বিসিবি’র পক্ষ থেকে বুঝিয়ে দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে ব্যাংকটির সূত্র। ব্যাংকে যখন টিকিট নিয়ে তুলকালাম, তখন সাধারণ গ্যালারির টিকিট ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত কালোবাজারে বিক্রি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। টিকিটের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চড়া দামে কালোবাজারে টিকিট বিক্রির সঙ্গে দায়ী বিসিবি’র ক’জন অসাধু কর্মকর্তা, এমন অভিযোগ উঠেছে। যাদের পারফরমেন্স বাংলাদেশ ক্রিকেট দল উঠেছে এশিয়া কাপের ফাইনালে, সেই মাশরাফিদের সৌজন্য টিকিটের সংখ্যা পর্যন্ত কমিয়ে দেয়া হয়েছে। বিকল্প পন্থায় নির্ধারিত মূল্যে রিকুইজিশন দিয়ে বিসিবি থেকে টিকিট কেনার যে সুযোগ, সে সুযোগ এবার সীমিত করায় ক্ষোভে ফুঁসেছে ঢাকার ক্লাব অফিসিয়ালরা এবং বিসিবি’র কাউন্সিলররা। বরাদ্দকৃত টিকিট দেয়া সম্ভব নয়, মোবাইল বার্তায় বিসিবি’র সকল চাকুরেদের অবহিত করাও ছিল বিস্ময়। টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়ায় সর্ম্পৃক্ত যারা, সেই টিকিট এন্ড সিটিং কমিটির কর্মকর্তাদের মোবাইল বন্ধ থাকায় কৃত্রিম সংকটের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। ২০১১ বিশ্বকাপ এবং ২০১৪ টি-২০ বিশ্বকাপে অনলাইনে অগ্রিম টিকিট বিক্রির সুযোগ থাকায় টিকিটের কৃত্রিম সংকটের অভিযোগ সেভাবে ওঠেনি। এবার সেই অভিযোগের তীরে বিদ্ধ হতে হলো বিসিবিকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।