পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর রবির সিম ব্যবহার করেন আহসানুর রহমান। সরকারের পক্ষ থেকে সকল সিমের বায়োমেট্রিক (আঙুলের ছাপ) পদ্ধতিতে নিবন্ধনের ঘোষণা দেয়ার পর আহসান তার সিমটি নিবন্ধন করেন। গত ১৯ জানুয়ারি উত্তরায় রবির কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে নিজের নামে কেনা সিমটি তিনি নিজেই নিবন্ধন করেছেন। নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি ও একটি নয়, দুটি নয়, ১০টি আঙুলের ছাপ দিয়ে তবেই নিবন্ধিত হয়েছে তার সিমটি।
এরপর তিনি নিশ্চিন্তেই ছিলেন যে, তার সিমটি তার নামেই নিবন্ধিত হয়েছে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ তার রবি নম্বরটিতে একটি এসএমএস আসে, সেখানে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং জন্ম তারিখটি মিলিয়ে নিতে বলা হয়। যেটাকে নিবন্ধনের জন্য ভেরিফিকেশন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই এসএমএসে দেখা যায়, তার সিমটি নিবন্ধিত হয়েছে অন্য একজনের পরিচয়পত্র দিয়ে। এমনকি তার জন্ম তারিখও ভুল রয়েছে। সিমের ক্রেতা ও ব্যবহারকারী নিজে গিয়ে আঙুলের ছাপ দিয়ে নিবন্ধন করার পরও তা অন্যজনের নামে নিবন্ধিত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ওই গ্রাহক।
আহসানুর রহমান জানান, একটি সিম নিবন্ধন করতে গিয়ে তাকে নানাভাবে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। তার সিমের নিবন্ধনের জন্য দুই হাতেরই ১০টি আঙুলের ছাপ নেয়া হয়। কিন্তু তারপরও এখন দেখি আমার সিমটি অন্য কারো জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে নিবন্ধিত হয়েছে। তাহলে আমার আঙুলের ছাপ এবং পরিচয়পত্র দিয়ে কার সিম নিবন্ধিত হয়েছে তিনি প্রশ্ন করেন? তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যার সিম তার আঙুলের ছাপ ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধিত হবে। যাতে কেউ অপরাধ করে পার না পায়। কিন্তু আমি আমার সিমটি নিজে গিয়ে নিবন্ধন করার পরও তা কিভাবে অন্যজনের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধিত হলো। আবার আমার আঙুলের ছাপ এবং জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিশ্চয় অন্য কারো সিম নিবন্ধিত হয়েছে। এখন সে কোন অপরাধ করলে তার দায় কি আমাকেই নিতে হবে? নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে অস্বচ্ছ এবং প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে তিনি এর সমাধানও দাবি করেছেন। আহসানুর রহমানের মতো আরও অনেকেই নিবন্ধন প্রক্রিয়ার এরকম ত্রুটির কথা জানিয়েছেন। তাদের অনেকেই পুনরায় (কয়েকবার) কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে সংশোধন করতে পেরেছেন আবার কেউ সেভাবেই রেখে দিয়েছেন। ফলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সরকার যে উদ্দেশ্যে এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করেছে তা কতটা কার্যকর হবে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিষয়টি তাদের জানা নেই। অভিযোগ পেলে তারা ব্যবস্থা নেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।