Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে বাজার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই বাণিজ্যমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, যারা এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি, দরিদ্র  দেশের মডেল বলতেন, আজ তারাই বাংলাদেশকে  উন্নয়নের রোল মডেল বলছেন। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের রপ্তানির পরিমাণ ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই তিনি জানান।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বনানীতে পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত ট্রেড অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রেট পলিসাইজ ফর এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশন শীর্ষক  গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ এখন বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে।   যেসব দেশ বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা প্রদান করছে, সেখানে রপ্তানি বাজার স¤প্রসারিত করতে হবে। শুধু ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। বিশ্বের যেখানে বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদা রয়েছে, সেখানেই যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বাজার স¤প্রসারণকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। তৈরি পাশাকের পাশাপাশি আইটি, ঔষধ, ফার্নিচার, জাহাজ নির্মাণ, চামড়া, জুট পণ্য এবং কৃষিপণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অনেক পণ্য রপ্তানিতে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, সরকার ২০২১ সালে দেশের রপ্তানির পরিমাণ ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে। গত অর্থবছরে ৩৪ দশমিক ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হয়েছে, এ বছর ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি হবে। ২০২১ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য রপ্তানি পণ্য ও বাজার স¤প্রসারণের কোনো বিকল্প নেই।  তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে রপ্তানি ক্ষেত্রে খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তি এবং ঔষধ রপ্তানি ক্ষেত্রে উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। এলডিসিভুক্ত দেশ উন্নত দেশে ঔষধ রপ্তানির  ক্ষেত্রে শর্ত শিথিলের মেয়াদ আগামী ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। বাংলাদেশের সে সক্ষমতা আছে। ২০২১ সালের মধ্যে আইটি, ঔষধ, ার্নিচার, জাহাজ নির্মাণ, চামড়া, জুট পণ্য এবং কৃষিপণ্য খাতের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।  দেশের অর্থনীতি এখন দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে, সব অর্থনৈতিক সূচক এখন ঊর্ধ্বমুখী। দেশের চলমান অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে হবে উন্নত বাংলাদেশ। পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই)-এর  চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই’র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদেক আহমেদ। এ সময় বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের লিড ইকনোমিস্ট অ্যান্ড কান্ট্রি সেক্টর কো-অর্ডিনেটর ড. জাহিদ হোসেন, বিজিএমই’র প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাণিজ্যমন্ত্রী

২৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ