পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : বিড়ি শিল্প বন্ধের প্রতিবাদ ও বিড়ির উপর কর না বাড়ানোর দাবিতে খুলনা , বাগেরহাট যশোর জেলার কয়েক হাজার বিড়ি শ্রমিক মানবন্ধন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
খুলনা ব্যুরো জানায়, বিড়ি শিল্প বন্ধের প্রতিবাদ ও বিড়ির উপর কর না বাড়ানোর দাবিতে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্দ্যোগে খুলনা ও বাগেরহাট জেলার কয়েক হাজার বিড়ি শ্রমিক গতকাল খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল খুলনা শহরের প্রধান কয়েকটি সড়ক ঘুরে পুনরায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তারা বিড়ির উপর অতিরিক্ত কর না ব্াড়ানোর আহবান জানান। সমাবেশে হুমায়ন আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণাঞ্চল বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন এর সমন্নয়কারী জাহিদুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা ওয়াহিদুজাজামান, জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ। সমাবেশে সমন্বয়কারী জাহিদুল ইসলাম বলেন, এই শিল্পের সাথে হাজার হাজার শ্রমিক পরিবার সরাসরি জড়িত। এই শিল্প বন্ধ হলে বা অতিরিক্ত কর আরোপ করলে বেকার হয়ে পড়বে প্রায় ১৭ লাখ শ্রমিক। তাই হঠাৎ করে কোন সিদ্ধান্ত নিলে এরা পথে বসবে। যে কারণে আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সমাবেশ শেষে একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্বারক লিপি প্রদান করে।
যশোর ব্যুরো জানায়, বিড়ি ও সিগারেটের মধ্যে দ্বৈত শুল্ক নীতি ও বিড়ি শিল্প বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে যশোর- বেনাপোল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিড়ি শ্রমিকরা। গতকাল দুপুরে যশোর- বেনাপোল মহাসড়কের নাভারণে সড়ক অবরোধ করে কয়েক হাজার শ্রমিক এই বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ চলাকালে মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাকসহ কয়েক হাজার যানবাহন আটক পরে।
ঘণ্টাব্যাপী সমাবেশে বক্তব্য দেন, বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন দক্ষিণ অঞ্চলের আহŸায়ক ফজলুর রহমান, বিড়ি শ্রমিক নেতা আলমগীর হোসেন, সাইফুল ইসলাম, রশু মিয়া, মফিজুর রহমান, মনিরুজ্জামান, শরিফুল ইসলাম, আলেয়া বেগম, মায়া বেগম, হেনা বেগম প্রমুখ।
সড়ক অবরোধকালে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি মহল ষড়যন্ত্র করে সিগারেটকে বাড়তি সুবিধা দিয়ে বিড়ি শিল্পকে বন্ধ করতে চায়। এ জন্য বিড়ি ও সিগারেটের মধ্যে দ্বৈত শুল্ক নীতি রয়েছে। কিন্তু বিড়ি শিল্প বন্ধ হয়ে গেলে হাজার হাজার বিড়ি শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। তাই বিড়ি শিল্পকে রক্ষা করে বিড়ি ও সিগারেটকে একই শুল্কের আওতায় আনার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে প্রায় একঘন্টা পর শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।