পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে আছে। কিন্তু বাস্তবে এর কোন কার্যকারিতা নেই। পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংবিধানের মূল চার নীতি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ফলে অসাম্প্র্রদায়িক চর্চার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এখন কোন প্রতিবন্ধকতা নয়। এটি কেবল অকার্যকর মনস্তাত্তি¡ক একটি বিষয়।
গত শনিবার সকাল ও বিকেলে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির মিলনায়তনে জাসদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনের প্রশ্ন উত্তর পর্বে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর পূর্বে তিনি ১৪ দলের শরিক দল হিসেবে ৯টি প্রস্তাব দেশ ও জাতীর সামনে উপস্থাপন করেন।
সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক শিরিন আক্তার, কার্যকরী সভাপতি এড.রবিউল হোসাইন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর হোসাইন আক্তার, ইকবাল আহাম্মেদ খান, আ্যডভোকেট হাবিবুর রহমান শওকত প্রমূখ।
সম্মেলনে সারা দেশ থেকে বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ অংশ গ্রহণ করেন। এদিকে ময়মনসিংহ থেকে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাসদের সভাপতি আ্যডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, সহ-সভাপতি রতন সরকার, যুগ্ম সম্পাদক আ্যডভোকেট নজরুল ইসলাম ,সাংগঠনিক সম্পাদক আ্যডভোকেট শিব্বির আহম্মেদ লিটন, জাসদ নেতা শহীদুর রহমান, মহানগর জাসদের সভাপতি সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু, জাসদ নেতা পারভেজ শাহনেওয়াজ লিটন, ফুলবাড়ীয়া উপজেলা জাসদের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক আলহাজ্ব শামসুল আলম খান, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীয়ত উল্লাহ মাষ্টার, মুক্তাগাছার সভাপতি কায়ছার আহম্মেদ প্রমূখ।
সম্মেলনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পাকিস্তানপন্থী ভাবধারার রাজনীতি অর্থাৎ ধর্মভিত্তিক রাজনীতি, ধর্মভিত্তিক অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মভিত্তিক মৌলবাদ, ধর্মভিত্তিক জঙ্গিবাদ এবং এদের রাজনৈতিক ঘাঁিট বিএনপি জামায়াত ও এদের সহযোগীরা বাংলাদেশ রাষ্ট্র-সমাজ-সংস্কৃতি-অর্থনীতির প্রধান শত্রæ। রাজনীতিতে এদের অবস্থান ও সক্রিয়তা সব সময়ের জন্যই বিপদজনক। এ দেশ ও জাতী বিরোধী শক্তিকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করাই দেশের সচেতন, শুভ বুদ্ধি সম্পুন্ন দেশ প্রেমিক, গণতান্ত্রিক প্রগতীশীল রাজনৈতিক শক্তি- সামাজিক-শক্তি -মহল-ব্যক্তির প্রধান জাতীয় কর্তব্য।
ইনু বলেন, সাংবিধানিক বিধান বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারীর পূর্বেই ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৫ সালে বিএনপি জামায়াত নির্বাচন ভুন্ডুল করে দেশকে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার বাইরে ফেলে দিয়ে অস্বাভাবিক সরকার আনার জন্য নজীরবিহীন সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে ছিল। পরবর্তীতে তারা আগুন সন্ত্রাস-আগুন যুদ্ধ চালিয়ে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরী করে নির্বাচিত সরকার উৎখাত করে অসাংবিধানিক সরকার আনতে চেয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি জামায়াত ২০১৯ সালে ১১তম সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির মাঠ গরম করে এবং নির্বাচনের নামে তাদের সন্ত্রাসবাদী রাজনীতিকে হালাল করার অপচেষ্টা করছে। খালেদা জিয়ার তার ভিশন ২০৩০ এ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ, তাদের শাসনামলের সিন্ডিকেটেড, অর্গানাইজড, সিষ্টেমেটিক দূর্নীতি ও দু:শাসনকে আড়াঁল করেছেন।
ইনু বলেন, ২০১৯ সালেরই নির্বাচনই নয় ভবিষতেও বিএনপি জামায়াত ও এদের সহযোগীদের রাষ্ট্র ক্ষমতার রাজনীতির বাইরে রাখতে হবে। রাজাকারদের সাথে মিটমাট, মিলমিশ সমঝোতা সমন্বয়ন নয়। ‘একবার মুক্তিযোদ্ধাদের সরকার, একবার রাজাকারদের সরকার, এই মিউজিক্যাল চেয়ার খেলাও চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে।
এ সময় তিনি ইঙ্গিত করে আরো বলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচন প্রধান ১৪ দল ও মহাজোটগত ভাবে মোকাবেলা করতে হবে। যে সকল আসনে ১৪দল বা মহাজোটের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা আত্মগাতী সে সকল আসনে যে কোন মূল্যে ১৪ দল ও মহাজোটের এক অভিন্ন প্রার্থী দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।