স্টাফ রিপোর্টার : রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষার দাবি, সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে মূর্তি অপসারণ, পাঠ্যসুচিতে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠা চক্রান্তের প্রতিবাদ এবং প্রধান বিচারপতির পদত্যাগসহ ১২ দফা দাবিতে আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩টি ইসলামি দল গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন পীরজাদা পীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। অনুষ্ঠান পরিচানা করেন, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার।
মানববন্ধনে সউদী অর্থায়নে সারাদেশে ৫৬০টি মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং ইসলামীক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রতি উপজেলায় কমপক্ষে ১টি করে মাদরাসা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করায় নেতৃবৃন্দ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তারা বলেন, এসব মসজিদ, মাদরাসা যাতে কোনভাবেই জঙ্গিবাদী, সালাফী ও অন্যান্য মতবাদীদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা না হয় সে জন্য সরকারকে অত্যান্ত সজাগ থাকতে হবে।
মানববন্ধনে উত্থাপিত দাবীসমূহের মধ্যে রয়েছে-  প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী বারবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বলার পরও সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে প্রধান বিচারক মূর্তি অপসারণ না করলে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাযে মুসল্লীরা যাবে না। এরপরেও জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাযে যারা অংশ নিবে তাদের নামায হবে না। আর যে ইমাম নামায পড়াবে তাকে দেশের আলেম সমাজ এবং মুছুল্লীদের পক্ষ থেকে অবাঞ্চিত ঘোষণাসহ তাকে সর্বত্র প্রতিরোধ করা হবে এবং তিনি মুরতাদ হবেন।
আসন্ন মাহে রমজানের সম্মানার্থে সব ধরনের খেলাধুলাসহ অশ্লীলতা-বেহায়াপনা ভারতীয় টিভি চ্যানেলসহ সব টিভি চ্যানেল বন্ধ করতে হবে। রমজানে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে বিভিন্ন শিক্ষাক্রমে ৪৫টি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, চবি, জবি, রাবিসহ বিভিন্ন বিশ্বব্যিালয়ে পরীক্ষা ফেলানো হয়েছে। রমজানে পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে এবং সব ধরণের পরীক্ষা-ক্লাসসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। হিন্দুদের পূজায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বন্ধ রাখা হলে পবিত্র রমদ্বানেও পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
পবিত্র রমজান শরীফে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ঈদের ছুটি ১০ দিন করতে হবে। ঈদকে পূজি করে বিশ হাজার কোটি টাকার ভারতীয় পোশাক বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সভাপতি- সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, মাওলানা মুজিবুর রহমান চিশতি সহ সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। ক্বারী মাওলানা মুহম্মদ আসাদুজ্জামান আল কাদেরী, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ তাজুল ইসলাম, আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম, বি-বাড়িয়া। মাওলানা মুহম্মদ শফিকুল ইসলাম যাত্রাবাড়ী, মাওলানা মুহম্মদ সোলায়মান, আল্লামা পীরজাদা পীর আলহাজ্জ হাফেয ক্বারী মাওলানা কাজী মাসুদুর রহমান- সভাপতি বাংলাদেশ ইমাম মুয়াজ্জিন মুসল্লী দ্বীনি কল্যাণ পরিষদ, ডাক্তার মাওলানা মুহম্মদ সাইফুদ্দিন মিয়াজী, মাওলানা আব্দুর রহিম শেরপুরী। হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ ফরহাদ হুসাইন, হাফেজ মাওলানা ইয়াসিন আহমদ চিশতী প্রমুখ।