পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইয়ুব আলী : চট্টগ্রামে চালের দাম আরও বেড়ে গেছে। এতে করে নি¤œআয়ের সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। চাল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে দাম বাড়ছে বলে খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। নগরীর পাইকারি বাজার পাহাড়তলী, চাক্তাই খাতুনগঞ্জসহ রেয়াজুদ্দিন বাজার, কাজির দেউড়ি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক মাসের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি গড়ে ৫শ’ টাকা এবং কেজিপ্রতি ১০ টাকা করে বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি দেড়শ থেকে দুইশ টাকা বেড়েছে।
খুচরা বাজারে এখন গরীবের মোটা ইরি চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি ৪২ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা। স্বর্ণা সিদ্ধ চাল ৪৭ টাকা, ভারতীয় বেতী ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট (আতপ) এক নম্বর ৫০ টাকা, জিরাশাইল (নবান্ন) ৫৫ টাকা, আতপ বেতী এক নম্বর ৪৮ টাকা, দেশি পাইজাম ৪৭ টাকা, দিনাজপুরী পাইজাম ৫৬ টাকা, কাটারিভোগ ৬০ টাকা, চিনিগুঁড়া ১০০ টাকা, ২৯ বেতী ৪৬ টাকা, পাইজাম চিকন ৫৪ টাকা, বেতি আতপ চিকন ৫২ টাকা, সিদ্ধ জিরাশাইল চিকন ৫৬ টাকা, সিদ্ধ মিনিকেট চিকন ৫০ টাকা ও সিদ্ধ মোটা ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল বুধবার খাতুনগঞ্জের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, রংপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ ও কুষ্টিয়ার মিল মালিকরা ধান মজুতদারি করার কারণে চালের দাম বাড়ছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামের কয়েকটি পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা চাল মজুতদারি করছে। উত্তরবঙ্গের মিল মালিক ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজি বন্ধ করতে না পারলে চালের দাম আরও বাড়বে। তিনি জানান, শুল্ক কমানো ছাড়া বাজারে চালের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। পাহাড়তলী বাজারের চাল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মোরশেদ জানান, গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে চালের দাম প্রকারভেদে ২ থেকে ৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
চট্টগ্রামের বড় পাইকারি বাজার পাহাড়তলী ও চাক্তাই ব্যবসায়ীরা জানান, নওগাঁ, মহাদেবপুর, আশুগঞ্জ, দিনাজপুর, পাবনা, ঈশ্বরদির মোকামগুলো থেকে বেশিরভাগ চাল আসে চট্টগ্রামে। আশুগঞ্জ থেকে বেতি, ইরি জাতের, দিনাজপুর থেকে মিনিকেট, পাইজাম, চিনিগুঁড়া, কাটারিভোগ জাতের আতপ এবং নওগাঁ, পাবনা, ঈশ্বরদি থেকে সিদ্ধ জাতের চাল আসে এখানে। প্রতিদিন ৪৫০ থেকে ৫০০ মেট্রিক টন চাল চাক্তাইয়ের আড়তগুলোতে আসে। ৫০ কেজি বস্তায় ১৬-২১ টাকা কমিশন পান আড়তদাররা। আর পাহাড়তলী পাইকারি বাজারে আসে প্রতিদিন ৪০০-৪৫০ মেট্রিক টন চাল।
চট্টগ্রাম রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি শান্ত দাশগুপ্ত বলেন, গত দশদিনের ব্যবধানের সব ধরনের চাল বস্তা প্রতি ১৫০-২০০ টাকা বেড়েছে। প্রসঙ্গত, চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। চাল আমদানিতে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি (শুল্ক) এবং ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) নির্ধারিত রয়েছে। ২৮ শতাংশ হারে শুল্ক-কর গুণতে হয় ব্যবসায়ীদের। এ অজুহাতে ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চাল আমদানিকারকরা শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়ে আসলেও সরকার শুল্ক কমাতে আগ্রহী নয়।
এদিকে আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে নগরীর বাজারগুলোতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার পর্যবেক্ষণ (মনিটরিং) শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক দোকানিকে রমজানে চাল, ডালসহ নিত্যপণ্যের মূল্যতালিকা টাঙানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।