Inqilab Logo

সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে একের পর এক উস্কানী দিচ্ছে উগ্র হিন্দু সংগঠনগুলো -জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম

গুজরাট দাঙ্গায় ৫শ’ মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছে

| প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : ভারতীয় উগ্র হিন্দু সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আদলে গঠিত বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ তার আত্মপ্রকাশের দিনেই হিন্দুদের জন্য ৬০টি আসন সংরক্ষণ, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টিসহ সরকারী চাকুরীতে বিশ শতাংশ কোটা দাবি করেছে। তাদের এ উদ্ভট দাবিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। তিনি বলেন-উগ্র হিন্দু সংগঠনগুলো এসব উদ্ভট দাবি করার সাহস কো থেকে পায় তা উদঘাটন করে ব্যবস্থা নিতে হবে জাতির স্বার্থেই।
তিনি আরো বলেন-এসব উগ্র হিন্দু সংগঠনগুলো বাংলাদেশের হিন্দুদের নির্যাতনের ধুয়া তুলে সা¤প্রদায়িক অস্থিতিশীলতা তৈরী করতে একের পর এক উস্কানী দিয়ে চলছে। অথচ বাংলাদেশের হিন্দুরা মুসলমানদের চেয়েও অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। গত বাজেটে মুসলমানদের মসজিদের জন্য কোন বরাদ্দ না থাকলেও হিন্দুরা মন্দিরের জন্য ২শত কোটি টাকার বরাদ্দ পেয়েছে। মুসলমানেরা ঈদ উপলক্ষে কোন নগদ অর্থ বা চাউল বরাদ্দ না পেলেও হিন্দুরা প্রতি বছর ৫০০ কেজি করে চাউল পেয়ে আসছে। চাউলের মূল্য ৫০ টাকা কেজি ধরলে সারা দেশে ২৮ হাজার মন্ডপ প্রায় ৭০ কোটি টাকার চাউল পেয়েছে এবং এভাবে প্রতি বছরই পাচ্ছে।
ভারতের মুসলমানেরা ৬৫ সালে পাক ভারত যুদ্ধের পর শত্রæ সম্পত্তি ফেরত না পেলেও বাংলাদেশের হিন্দুদেরকে শত্রæ সম্পত্তি বা অর্পিত সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করছে সরকার, যার পরিমাণ প্রায় ৬ লাখ একর। পুলিশ এবং প্রশাসনে  দাবিয়ে বেড়াচ্ছে হিন্দু কর্মকর্তারা। অথচ ভারতে এরূপ কোন নজীর নেই।
ভারতে সংগঠিত দাঙ্গাগুলোতে প্রায় ৮ লাখ মুসলমান খুন হয়েছে। শুধু গুজরাটের দাঙ্গায় ৫ শত মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন বাংলাদেশে কয়টি মন্দির ভাঙ্গা হয়েছে?
উল্লেখিত তথ্যগুলো পর্যালোচনা করে দেখা দরকার সরকার এবং এদেশের ইসলাম ও সরকার বিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ, জাতীয় হিন্দু মহাজোট, হিন্দু বোদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, জাগো হিন্দু পরিষদ, ইসকন, হিন্দু সংহতি ও নব্য বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ ইত্যাদি সংগঠনগুলোকে। এই সব সংগঠনগুলোই এদেশে নিরীহ হিন্দুদের উস্কানী দিয়ে সা¤প্রদায়িক ক্ষেত্র প্রস্তুতে কাজ করে যাচ্ছে এবং সরকাবিরোধী প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা  না নিলে সরকারের জন্যই বিপদের কারণ হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ