পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভায় তিনি বলেন, সরকার ‘ভীতিকর’ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। শুধু বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, সমগ্র দেশ ও জাতি বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সকলকে ‘ঐক্যবদ্ধ’ হওয়ার তিনি আহ্বানও জানান। গতকাল বিকালে এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর কাফরুলে আব্দুুল হালিম ফাউন্ডেশন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে মহানগরের মরহুম আলী আজগর মাতব্বরের স্মরণে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নয়, ২০ দল নয়, যারাই প্রতিবাদ করছে, যারাই ভিন্নমত পোষণ করছে, তাদেরকে এখন সরকার বন্ধ করে দিচ্ছে, আটকিয়ে দিচ্ছে, মিথ্য মামলা দিচ্ছে। অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়ে এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যা একটা ভীতিকর ও ত্রাসের রাজত্ব। এটাকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ভাষায় ফ্যাঁসিবাদ বলা হয়। যে ত্রাস সৃষ্টি করা কেউ কোনো কথা বলবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখন বিভক্তির কোনো সুযোগ নেই। আজকে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, যে বিপদ এসেছে গণতন্ত্রের ওপরে, দেশের ওপরে। এখানে শুধু বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, সমগ্র দেশ ও জাতি বিপদের সম্মুখীন হয়েছে। সেজন্য আমাদের আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাহসের সঙ্গে এই অবস্থার মোকাবিলা করতে হবে।
জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াবে আশা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, দেশের মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। দেশের মানুষ তাদের মুক্তির জন্য বিএনপির নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছে। দেশনেত্রীর নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে আছে। তার হাতকে আমাদের শক্তিশালী করতে হবে।
আসন্ন যে কাউন্সিল তার মধ্য দিয়ে সারাদেশে বিএনপি আবার সেই ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠবে ইনশাল্লাহ। আমরা নিশ্চয়ই আমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারবো। আমরা ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারবো। জনগণের একটি সরকার গঠন করতে আমরা সক্ষম হবো।
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে যতই মামলা দিক না কেনো, তাতে কেউ বাধা দিতে পারবে না। কারণ তিনি দীর্ঘকাল ধরে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন। এখনো লড়াই করে চলেছেন। আজকে আমাদের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে, গুম করা হচ্ছে। তারপরও আমাদের নেতা-কর্মীরা কিন্তু কেউ হতাশ হয়ে যায়নি। বরং নতুন চেতনায় নতুন সাহস নিয়ে তারা পুর্নগঠিত হচ্ছে।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মরহুম আলী আজগর মাতবরের সাংগঠনিক দক্ষতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তার মতো নেতারাই স্থানীয়ভাবে বিএনপির ঘাঁটি তৈরি করেছে। তার শূন্যতা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। আমরা তার রুহের মাগফেরাত কামনা করি।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিরোধী দলের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের পত্রিকাতে আছে প্রায় ৬৩ জন বিরোধী দলের প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে দেয়া হয়নি। এ একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই সরকার অত্যন্ত সফলভাবে দেশে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনী ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিলো, তাকে ধবংস করে দিয়েছে। গণবিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার নির্বাচনের তামাশা করে প্রহসন করে ক্ষমতা দখল করে রাখতে চায়। সেটাই তারা করছে।
কাফরুলে থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন মতিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলের অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সমাজ কল্যাল বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভুঁইয়া, মহানগর যুগ্ম-আহবায়ক কাজী আবুল বাশার, ইউনুস মৃধা, স্থানীয় নেতা রুহুল আমিন আকিল, আহসান আহসান, আমেনা বেগম, জিল্লুর রহমান, একরাম বাবুল মাহবুবুর রহমান মুনির, মরহুম আলী আজগর মাতবরের ছোট ভাই আলী হানিফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে মরহুম নেতার রুহের মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।