পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব বলেছেন, বর্তমান ইসি (কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ) সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন, এটা আশা করা যায় না। তারা এখন কঠোর হওয়ার কথা বলছেন। পুলিশকে শেষ বুলেট পর্যন্ত ব্যবহার করতে বলছেন। কিন্তু এই বুলেট কার বুকে? বিএনপির বুকে, নাকি আওয়ামী ভোট ডাকাতদের বুকে তা নিয়ে সংশয় আছে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা শীর্ষক এক আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিলের এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। খন্দকার মাহবুব বলেন, ইউপি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংখ্যা কমিয়ে দেয়া হবে বলে ইসির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যাতে নির্বিঘেœ ভোট ডাকাতি করতে পারে সে জন্যই তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি করেছিলাম। কিন্তু তারা এবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন আরো কমিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না জেনেও বিএনপির নির্বাচনে আসার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে গিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও বিশ্ববাসীকে দেখাতে চাই এই আওয়ামী লীগ কি ভয়ানক দল। আর তখন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যে আন্দোলনের ডাক আসবে তাতে তৃণমূলের জনগণ স্বতঃস্ফুর্তভাবে ঝাপিয়ে পড়বে। তিনি আরো বলেন, দেশে বর্তমানে একটিই সমস্যা আর তা হলো ক্ষমতাসীন নেত্রী শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী আচরণ। শেখ হাসিনার একটি নীতি হচ্ছে যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকতেই হবে। কিন্তু তিনি জানেন না জোর করে ক্ষমতায় থাকলে জনগণের ধিক্কার নিয়ে বিদায় নিতে হবে। তখন আওয়ামী লীগের পরিণতি হবে মুসলিম লীগের মত ভয়াবহ। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, যেসব জায়গায় বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেয়া হয়নি, সেসব ইউপিতে পুনঃতফসিল ঘোষণার দাবি জানান। সংগঠনটির সভাপতি এম এ হালিম সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য দেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমতউল্লাহ, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।