Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনায় আ’লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে

প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এটিএম রফিক/আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে খুলনায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৪৫ জন এবং বিএনপির ৯ জন বিদ্রোহী প্রার্থী বহাল তবিয়তে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। যদিও ইতোমধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আ’লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যবস্থা নিবেন। উল্লেখ্য, খুলনার ৬৭টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩১৩ জন, ২ হাজার ৬৩০ জন সদস্য এবং ৭৭৪ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রথম দফায় ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২২ মার্চ খুলনার ৬৭টি এবং বিভাগের ২৫২টিসহ সারাদেশের ৭৩৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আ’লীগের সূত্রে জানা যায়, বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নে ভগবতি গোলদার, সদর ইউনিয়নে মনোরঞ্জন মন্ডল, ভান্ডারকোট ইউনিয়নে ইসমাইল হোসেন বাবু, গঙ্গারামপুরে রাম প্রসাদ রায়, রনজিত রায় ও আমিরপুরে হুজ্জাত আলী। তেরখাদা উপজেলার আজগড়া ইউনিয়নে বাদশা মল্লিক, মনিরুজ্জামান, বারাসাতে তরিকুল ইসলাম মোল্লা, সাচিয়াদাহ ইউনিয়নে উকিল উদ্দিন লস্কার, ছাগলাদাহ কামরুজ্জামান অলিদ, মধুপুরে কাজী কামাল, পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালীতে সরদার আনিসুর রহমান, হরিঢালীতে গোলাম মোস্তফা সরদার, লতায় চিত্তরঞ্জন মন্ডল, গদাইপুর ইউনিয়নে শেখ সোহরাওয়ার্দী, দেলুটি ইউনিয়নে পিযুষ কান্তি সরকার, দ্বীজেন্দ্র নাথ মন্ডল। দাকোপ উপজেলার দাকোপ ইউনিয়নে সঞ্জয় কুমার মোড়ল, সুতারখালী ইউনিয়নে আলী আশরাফ, এড. দেবপ্রসাদ বৈদ্য, গাজী আমজেদ, তিলডাঙ্গায় গাজী জালাল উদ্দিন, লাউডোবে সরজিত কুমার রায়, কামারখোলায় সমরেশ রায়। কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশিতে আব্দুল মান্নান, মিজানুর রহমান খোকা, উত্তর বেদকাশিতে শেখ লুৎফর রহমান, কয়রা সদরে এবিএম শফিকুল ইসলাম, আমাদীতে প্রবীর কুমার ঘোষ, বাগালীর আঃ সাত্তার পাড়, রেজাউল, মহেশ্বরীপুরে বিজয় কুমার সরদার। ডুমুরিয়া উপজেলার সদরে আব্দুস সালাম মাঝি, গুটুদিয়ায় কাজী নুরুল ইসলাম, খর্ণিয়া মেহেদী হাসান বিপ্লব, রুদাঘরা গাজী তৌহিদুল ইসলাম, শোভনায় সুরঞ্জিত বৈদ্য, মাগুরখালি কার্তিক চন্দ্র মন্ডল, শরাফপুর শেখ রবিউল ইসলাম রবি, সাহস শেখ রিপন, ভান্ডারপাড়া শফিকুল ইসলাম লিটু, ফুলতলা উপজেলার জামিরায় মনিরুল ইসলাম সরদার, বারাকপুর গাজী হাফিজুর রহমান, সদরে হায়দার আলী মোড়ল।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা এমপি জানান, দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনায় বিএনপি ঃ এদিকে বিএনপি’র ৯জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। এদেরমধ্যে বটিয়াঘাটার জলমা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল গফুর মোল্লাকে দলীয় সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর জেলা বিএনপি’র সহ-স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম সিপার দলকে না জানিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে জেলা বিএনপি’র সহ-তাঁত বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সত্তার আকনকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যান্য বিদ্রোহী প্রার্থী এবং তাদের সহযোগীদের বহিষ্কার করা হবে বলে দলের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন। খুলনার ৯ উপজেলায় দল মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে ডুমুরিয়ার ১নং ধামালিয়া ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত এসএম হুমায়ুন কবিরের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি নেতা জহুরুল হক। সাহস ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত মোল্লা মাহাবুর রহমানের বিপরীতে স্বতস্ত্র প্রার্থী রয়েছেন দলের নেতা শেখ জয়নাল আবেদীন। তিনি অবশ্য দল থেকে অব্যাহতি নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। শোভনা ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত জিএম মিজানুর রহমানের বিপরীতে স্বতস্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দলের নেতা শেখ মতিয়ার রহমান বাচ্চু। মাগুরাঘোনা ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত আবুল কালাম সামছুউদ্দিনের বিপরীতে স্বতস্ত্র প্রার্থী দলের নেতা মোঃ নজরুল ইসলাম। রংপুর ইউনিয়নে সন্দ্বীপ চ্যাটার্জীর বিপরীতে মাঠে রয়েছেন দলের নেতা আঃ রব খান। বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নে উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ আশিকুজ্জামান আশিকের বিপরীতে উপজেলা স্বেচ্ছাসবক দলের সভাপতি আঃ গফুর মোল্লা, বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি সেলিম রেজা হাওলাদার বিপরীতে দলের জেলা কমিটির সদস্য আবু জাফর মৌলঙ্গী প্রার্থী হয়েছেন। পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়নে উপজেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক লক্ষীরানী গোলদারের বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহীম গাজী। চাঁদখালীতে দলের নেতা জোয়াদ্দুর রসুল বাবুর বিপরীতে দলের কর্মী মোল্লা মনিরুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী আর সোলাদানা ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হকের সাথে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার সোমা। এটাকে নির্বাচনী কৌশল হিসেবে দেখছেন নেতাকর্মীরা। কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নে নির্বাচনী কৌশল হিসেবে বিএনপি মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান সরদার মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে ছাত্রদল নেতা আবুল কালাম কাজল দু’জনই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাগালী ইউনিয়নে ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি এসএমএ রহিমের প্রতিপক্ষ রয়েছেন যুবদল নেতা সোলায়মান কবির আর মহারাজপুরে জেলা বিএনপি’র সহ-সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান বেল্টুর বিপরীতে থানা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি মাস্টার সদরউদ্দিন আহমেদ রয়েছেন।
জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরমধ্যে দল মনোনীত প্রার্থী বটিয়াঘাটার সুরখালী ইউনিয়নে কামরুল ইসলাম সিপার কাউকে না জানিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনায় আ’লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ