পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালি ব্রিজ এলাকার (হাওয়াখানা) করতোয়া নদীর সিসি ব্লকের পাশের গম ক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে ঝলসে দেয়া সেই দুই যুবকের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন শরীয়তপুর জেলার পালং থানার সিলথিয়া গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে আবির হোসেন (২০) ও শেরপুর জেলা সদরের বাগপাশা গ্রামের মৃত শাহাদত হোসেনের ছেলে শাকিব মিয়া (২৫)। ঘটনার ১ মাস ১২ দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে নিহত আবিরের মা মোছা. আয়শা বেগম গোবিন্দগঞ্জ থানায় ছুটে এসে লাশের ছবি, পড়নের কাপড়, প্যান্ট ও জুতা দেখে পরিচয় নিশ্চিত করেন।
এসময় মোছা. আয়শা বেগম পুলিশকে বলেন, ‘তার ছেলে আবির হোসেন ঢাকার সাভার কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথমবর্ষের ছাত্র। আশুলিয়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতো সে। অপর যুবক শাকিব ছেলের সঙ্গে একই বাসায় থাকতো। পেশায় তিনি বাস চালক। ছেলে আবিরকে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে। তাকে উদ্ধারে চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় তিনি আশুলিয়া থানায় একটি অপহরণের মামলা করেন। তবে কি কারণে তাদের অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি তিনি’।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল গফুর জানান, ময়নাতদন্ত শেষে ৩ দিন পর লাশ দুটি বেসকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে জেলা শহরের পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। তাদের ডিএনও পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। অপহরণ মামলার সূত্র ধরেই আবিরের মা গোবিন্দগঞ্জ থানায় এসে লাশ শনাক্ত করেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম লাশ দাফনের বিষয়টি জানান, তাদের পড়নে জিন্স, গ্যাভাডিন প্যান্ট ও শরীরে জ্যাকেট ছিল। নিহত আবির হোসেনের মাসহ স্বজনরা থানায় এসে পরিচয় শনাক্ত করেছেন। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২১ জানুয়ারী সকাল ৯টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালি ব্রিজ এলাকার (হাওয়াখানা) করতোয়া নদীর সিসি ব্লকের পাশের গম ক্ষেত থেকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা ২০-২৫ বছরের অজ্ঞাত পরিচয় দুই যুবককের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল গফুর বাদী অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।