পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ডিস্ট্রিক্টের আবাসন, মার্কেট ও ফ্যাক্টরি এলাকায় অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার চলছে। মালয়েশিয়ার সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অবৈধ অভিবাসীদের বৈধকরণের পাশাপাশি ইমিগ্রেশন পুলিশ অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের আবাসনে রাতের বেলা অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। মালয়েশিয়ার সর্বত্র এখন প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ গত ৩ মার্চ দিবাগত গভীর রাতে কুয়ালালামপুর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে ক্লাং মেরুর বাংলা পাচারে অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড়শ’ অবৈধ বাংলাদেশী কর্মীকে গ্রেফতার করে শাহআলম থানায় নিয়ে গেছে। মালয়েশিয়ার ক্লাং মেরু থেকে গতকাল ফেনীর প্রবাসী সবুজ কান্তি পাল টেলিফোনে ইনকিলাবকে এতথ্য জানিয়েছেন। প্রবাসী সবুজ কান্তি পাল মালয়েশিয়ার শেলাঙ্গুর ডিস্ট্রিক্টে আবুধাবীর কোম্পানীর ইউএই এক্সেঞ্জ (ব্যাংকে) চাকরি করেন। প্রবাসী সবুজ কান্তি পাল বলেন, বিগত সাত বছরেও এমন অমানবিক পুলিশী অভিযান দেখিনি। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত দেড় টা থেকে ভোর সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইমিগ্রেশন পুলিশ ইন্দোনেশিয়ান ভাড়া করা পুলিশ নিয়ে বাংলা পাচারে দু’দিক থেকে অভিযান চালায় । পুলিশী অভিযানকালে যেসব কর্মীরা রুমের দরজা খোলেনি সেসব রুমের পেছন দিয়ে বিল্ডিংয়ের ওয়াল কেটে অবৈধ বাংলাদেশীসহ অন্যান্য দেশের কর্মীদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে, যশোরের মনিরামপুরের আরিফ মিয়া’র ছেলে আজিজুল হক, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের শান্তি ঘোষের ছেলে রিপন, সাতক্ষীরার পলাশের জিয়া, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের আমির এবং ঢাকার মিরপুরের আমির। পুলিশী অভিযানে থ্রি প্লাস প্লাস্টিক কোম্পানীর বৈধ কর্মী যশোরের সুজন রায় ও শাব্বিরকে আটক করে। পরে উক্ত দু’জনের বৈধ কাগজপত্র দেখে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্ত ছাড়া পাওয়া সুজন রায়ের দু’টি মোবাইল ও ৪ হাজার রিংগিট এবং শাব্বিরের প্রায় ১৫শ’ রিংগিট জব্দ করা হলেও তা’ ফেরত দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মালয়েশিয়া অবৈধ কর্মীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরস্থ ভেস্ট মাকেটির্ং এস ডি এন বি এইচ ডি-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর রুহুল আমিন অবৈধ দক্ষ বাংলাদেশী কর্মীদের দেশটিতে বৈধতা দেয়ার বিষয়ে অনতিবিলম্বে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। গতকাল রাতে কুয়ালালামপুর থেকে টেলিফোনে প্রবাসী ব্যবসায়ী রুহুল আমিন ইনকিলাবকে বলেন, পুরোনো অবৈধ বাংলাদেশী কর্মীরা মাত্র ১৫ দিন কাজ করে ১৭শ’ থেকে ১৮শ’ রিংগিট আয় করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অবৈধ দক্ষ কর্মীদের বৈধকরণের উদ্যোগ নেয়া না হলে এসব কর্মীরা দেশে ফিরে এলে দেশের রেমিটেন্স প্রবাহে ভাটা পড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।