পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ভারত ব্যারজ নির্মাণ করে তিস্তা নদীকে মেরে ফেলেছে। তিস্তা বাঁচলে কৃষক বাঁচবে মানুষ বাঁচবে। মানুষের জন্য তিস্তাকে বাঁচাতে হবে বলে মত দিয়েছেন বক্তারা। গতকাল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে এক সংলাপে বক্তারা এ কথা বলেন। সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘মনন’-এর আয়োজনে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পশ্চিমবঙ্গের নন্দিত তথ্যচিত্রকার অজয় রায় পরিচালিত ‘দ্য টেলস্ অব তিস্তা ঃ স্টোরি অব আ ডায়িং রিভার’ চলচ্চিত্রের একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রদর্শনী শেষে নদী, নদীর জীবন, নদীবর্তী মানুষের জীবন, আন্তার্জাতিক নদী, নদী ও রাজনীতি এসব নিয়ে সংলাপে ভারতে ‘পর্যটন গান্ধী’ নামে সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব সুপ্রতিম রাজ বসু বলেন, সিকিম থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত আসার পথে তিস্তা নদীতে ২৯টি ব্যারেজ নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ পর্যন্ত আসতে আসতে তিস্তা নদীটা মরে গেল। আর নদীটা মরে যাওয়ার সাথে সাথে সেখানকার সিভিলাইজেশন মরে গেছে। তিনি বলেন, ইকো সিস্টেমকে রিপ্রেজেন্ট করে পানি। ইকো সিস্টেমের ভাষা হচ্ছে পানি। আর তিস্তা নদীতে ইকো সিস্টেমের ভাষা হাইড্রো সিস্টেমে রুপ লাভ করেছে। যে তিস্তা বাংলাদেশের ১৫ শতাংশ কৃষিকে রিপ্রেজেন্ট করে, ডেম নির্মাণের মাধ্যমে সে ক্ষতিটা বাংলাদেশকে বহন করতে হচ্ছে। স্বার্থবাদী মহলের কারণে তিস্তায় ডেভেলপমেন্টের বিপরীতে সাসটেনিবিলিটিকে দাঁড় করানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নদী বাঁচলে মানুষ বাঁচবে। ডেম নির্মিত এলাকার মানুষ সাময়িক অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য তিস্তা নদীর সর্বনাশ নিয়ে কিছু বলে না। কিন্তু তিস্তাকে বাঁচানোর জন্য বর্ডারকে বাদ দিয়ে, পলিটিক্যাল বেরিয়ারকে অতিক্রম করে সবাইকে এক সাথে ভয়েজ রেস করতে হবে।
‘দ্য টেলস্ অব তিস্তা’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা অজয় রায় বলেন, নদী হচ্ছে সভ্যতার ধারা। নদীর উপর লাখ লাখ মানুষের জীবন নির্ভর করে। শুধু তিস্তা নয়, নদীমার্তৃক দেশের সব নদীতেই বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। নদীগুলোকে এভাবে মেরে ফেলা হচ্ছে অথচ রাজনৈতিক কারণে আমরা কিছুই বলছি না। তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের বহু পুরনো ইস্যু হচ্ছে তিস্তা। ন্যায্য হিস্যার ব্যাপারে এবং তিস্তাকে বাঁচাতে সবাইকে এক সাথে শ্লোগান তুলতে হবে। কারণ তিস্তা বাঁচলেই মানুষ বাঁচবে। মননের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সেলিম মোজহারের নির্দেশনায় সংলাপটি পরিচলনা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জুনায়েদ আহমেদ হালিম। সঞ্চালনা করেন মননের কার্যনির্বাহী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহাবুবুল হক। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।