পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শামসুল হক শারেক, কক্সবাজার থেকে ঃ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেছেন, বিএনপি গণমানুষের দল, নির্বাচনমূখী দল। দেশের মানুষ বিএনপির শাসন চায়। তাই বিএনপিকে বাদ দিয়ে আগামীতে কোনো নির্বাচন করতে দেয়া হবে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের প্রস্ততি নেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, যদি ষড়যন্ত্র করা হয় তাহলে জনগণ বসে থাকবে না। গতকাল শনিবার বিকালে কক্সবাজার জেলা বিএনপির আয়োজিত তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মীর নাসির বলেন, মোদি বা ট্রাম ক্ষমতায় বসাতে পারে না। জনগণই ক্ষমতায় বসাতে পারে। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে দল পরিচালনা করে জনগণের ম্যান্ডেট নেয়ার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরশাসক এরশাদকে ক্ষমতায় বসিয়ে ছিলো আওয়ামী লীগ। ১/১১ এর ফখরুদ্দিন সরকারকেও একই ভাবে ক্ষমতায় বসিয়েছিল তারা। ফখরুদ্দিন সরকারের সব অপকর্ম মেনে নিয়ে ও বৈধতা দেয়ার অঙ্গীকার করে ক্ষমতায় যায় আওয়ামী লীগ। বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরচারীদের সাথে কখনো আপোস করে না। তিনি যদি ফখরুদ্দিন সরকারের সাথে আপোষ করতেন তাহলে বিএনপি তখনো ক্ষমতায় আসতে পারতো।
বিএনপি এই ভাইসচেয়ারম্যান বলেন, ‘৫ জানুয়ারির ভোটবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে আওয়ামী লীগ। ক্ষমতা চেপে ধরে দেশের সম্পদ লুটপাট করে খাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘লুটপাট বন্ধ করতে। না হয় পালানো পথ পাবে না।’ আমরা বলছি তোমাদের পালাতে হবে না। আমরা তোমাদের কিছু করবো না। বরং তোমরা এখনই বিদায় হয়ে যাও। তাহলে দেশ ও মানুষ বেঁচে যাবে।’
দলের সাংগঠনিক অবস্থা সম্পর্কে বলেন, ‘দল বড় হলে নেতাও বেশি হবে। এতে কোন্দল হতে পারবে না। নেতৃত্বের জন্য প্রতিযোগিতা হতে পারে এবং তা করতে হবে। তবে যারা দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করতে চায় তারা বিএনপিতে থাকতে পারবে না।’
তিনি সবধরণের মান-অভিমান ভুলে নেতা-কর্মীদেরকে তৃণমূলে দলের ভীত মজবুত করার পাশাপাশি চেয়ারপার্সনের ঘোষিত ভিশন ২০৩০ আলোকে আন্দোলন ও আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান।
জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. শামীম আরা স্বপ্নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত তৃণমূল সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবে রহমান শামীম, মৎসীজীবী বিষয়ক সম্পাদক, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফর রহমান কাজল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ ও জালাল উদ্দীন মজুমদার ছাড়াও সম্মলনে তৃণমূল প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
সাগর পাড়ের হোটেল সী প্যালেসের বলরুমে আয়োজিত তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনের আগে বিকেল তিনটায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেছেন, দেশে বিএনপি এখনো জনপ্রিয় দল, আর বিএনপি চেয়ারপারর্সন বেগম খালেদা জিয়া এখনো জনপ্রিয় নেত্রী। চেয়ারপার্সনের ভিষণ ২০৩০ তাঁর দুরদর্শীতার পরিচায়ক। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অর্থ-সম্পদ লুটপাট করে এখন পালাবার পথ খোঁজছে।
তিনি বলেন, সরকার দলের এক নেতা বিএনপি তদবীর পার্টি বললেও অওয়ামী লীগ দিল্লির কাছে ধণা দিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে। মীর নাছির আওয়ামী লীগের ওই নেতাকে মেন্টাল হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্ভবৌমত্ব ও ইসলামী মূলবোধের সনদ আর আওয়ামী লীগ ফ্যঁসিষ্ট শক্তি। উন্নয়ন গনতন্ত্রের নামে এখন চলছে গুম, খুন ও সন্ত্রাস আর লুটপাট। কক্সবাজারের কৃতি সন্তান সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদকে দেশের বাইরে রেখে তাঁর আত্মীয় স্বজনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে সকল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।
মীর নাছির বলেন, তিনি পর্যটনমন্ত্রী থাকার সময় প্রথম বেগম জিয়ার নির্দেশে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে কক্সবাজার বিমান বন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। একইভাবে মেরিন ড্রাইভ সড়কের কাজ শুরু করা হয়েছিল ’৯১ র সংসদের বিএনপি সরকারে থাকার সময়। কক্সবাজার হোটেল মোটেল জোনে কিছুই ছিলনা বলে উল্লেখ করে মীর নাছির বলেন, তিনি পর্যটনমন্ত্রী থাকার সময় কক্সবাজারের পর্যটন খাতের বিকাশ লাভ করে। ব্যাপকভাবে বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসেন। বিএনপি অবারো ক্ষতায় গেলে কক্সবাজারের পর্যটন খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে জানান মীর নাছির।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে অরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবে রহমান শামীম ও সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল।
এদিকে মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আলমগীর ফরিদকে তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে আমন্ত্রণ না করার কারণে আলমগীর ফরিদ দুই সহ্স্রাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে সম্মেলনে যোগদেয়ার ঘোষণা দেন। এতে করে তৃণমূল সম্মেলনে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দিলেও মীর নাছিরের বুদ্ধিমত্তায় সে আশঙ্কা কেটে যায। তিনি কক্সবাজার এসেই আলগীর ফরিদের সাথে বৈঠকে বসে বিষয়টি সমাধান করেন বলে জানান ক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।