পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আজ জাতির উদ্দেশ্যে ভিশন-২০৩০ রূপকল্প উপস্থাপন করবেন। নতুন ধারার রাজনীতির সূচনা আর সংবিধানকে ঢেলে সাজিয়ে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি নিয়ে বিকেল ৪টায় রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপির এই ‘ভিশন’ উপস্থাপন করবেন। এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন এই বিষয়ে আলোচনা করতে গত সোমবার রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নেতাদের বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বিশিষ্টজন, বুদ্ধিজীবী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া- অনলাইন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ‘ভিশন-২০৩০’ এ খালেদা জিয়া রাজনীতিতে নতুন ধারা প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দেবেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনগণের সম্মতি গ্রহণে সংবিধানকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনার কথা থাকবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিষযটিও থাকবে তার ভিশনে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, আইন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মতো সাংবিধানিক ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতি, অনিয়ম রোধে আমূল পরিবর্তন আনা হবে। এ সবের বাইরে বিএনপি চেয়ারপার্সন তার ভিশন ২০৩০’তে আগামী সংসদ নির্বাচনকালীন সরকারের রূপ রেখাও তুলে ধরতে পারেন এমন আলোচনাও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোনা যাচ্ছে।
ভিশন-২০৩০ এ কী থাকছে এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের যে দূরদৃষ্টি অর্থাৎ সরকার পরিচালনায় গেলে কী কী কাজ করব, দেশকে কীভাবে দেখতে চাই এবং স্বপ্নটা কীভাবে জাতিকে দেখাতে চাই সেই বিষয়গুলোই ভিশন ২০৩০’তে তুলে ধরা হবে। তবে বিএনপি মহাসচিব এও বলেন যে, ‘ভিশন-২০৩০ এর সঙ্গে নির্বাচন এবং নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখার কোনো সম্পর্ক নেই।’
এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই -খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক স¤প্রীতির দেশ। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনেই এদেশের সকল বর্ণ, ধর্মীয় সাম্প্রদায় ও নৃগোষ্ঠী-সমূহের সম্মিলিত আকাঙ্খার স্ফুরণ ঘটে। শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, মানব বিশ্বের ইতিহাসে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনটি এক মহিমান্বিত দিন। এ দিনেই মহামানব গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। বুদ্ধ জীবনের মহান এ তিনটি প্রধান ঘটনাই মানব বিশ্বের ইতিহাসে ‘বুদ্ধু পূর্ণিমা’ নামে অভিহিত। এদিন সমগ্র বিশ্বের বৌদ্ধরা বুদ্ধের জীবনদর্শনকে গভীরভাবে অনুধাবন করেন। বিশ্বের বৌদ্ধরা এ দিনটি অত্যান্ত ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে এবং উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপন করেন। এ শুভ তিথিতে আমি বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের বৌদ্ধদেরকে জানাই বুদ্ধু পূর্ণিমার মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বেগম জিয়া আরো বলেন, বুদ্ধত্ব লাভ করে মানুষের দুঃখ দূর্দশা ঘুচানোর জন্য মানবতা ও সর্বজনীন সাম্য ও অহিংসা বাণী প্রচার করেন এবং আর্ত-পীড়িত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। মহামতি বুদ্ধের দর্শন ও শিক্ষা ছিল মানুষের নিরঙ্কুশ অধিকার। স্বাধীনতা, সর্বাঙ্গীন কল্যাণ এবং সর্বপ্রাণীর নিরাপদ বিশ্ব সৃষ্টি করা। তিনি শ্রেণী চেতনায় যেমন আকৃষ্ট হননি তেমনি প্রচলিত জাতিভেদ প্রথায়ও আবদ্ধ হননি। তাঁর মতে কোন মানুষেই জন্মের কারণে উচু-নীচু শ্রেণী বিভাজনে আবদ্ধ হতে পারেন না। মানুষের মর্যাদা চিহ্নিত হবে কর্মে এবং যোগ্যতায়; জন্ম বা বংশ মর্যাদা দিয়ে নয়। ধর্ম প্রচারের প্রথম থেকেই তিনি এভাবে মানুষের মূল্যবোধকে জাগ্রত করার প্রচেষ্টায় নিবেদিত হন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও বাধা-বিপত্তির মধ্যেও আমাদের দীর্ঘ প্রত্যাশিত সেই শান্তি ও নিরাপদ আশ্রয় একদিন আসবেই। চলুন আমরা সকলে দল, মত, ধর্ম, বর্ণ, সাম্প্রদায় নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের ঐক্য ও আত্মীয়তাবোধ সৃষ্টি করি এবং নাগরিকদের স্বাধীনতা ও যথাযথ মর্যাদা রক্ষার ব্যবস্থা করি। সর্বোপরি ত্যাগে, উদারতায় ও মহত্ত¡তায় উন্নত সুখময় জীবন এবং সব ধরনের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংকীণতামুক্ত সমাজ ও বিশ্বজনীন শান্তি প্রতিষ্ঠা করি। শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমার এ দিনে আমরা সেই শপথ ও প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ হই। বুদ্ধ পূর্ণিমা সফল হোক। বিশ্বে শান্তি বিরাজ করুক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।