পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গ্যাস বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের অবকাঠামো স্থাপনের কাজ শেষ হলেই ২০১৮সালে শুরু হবে লোকজনের বসবাস : ৬ হাজার ২২৭ দশমিক ৩৬ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে পূর্বাচল নতুন শহর : প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা
উমর ফারুক আলহাদী : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহরের উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। আগামী বছরের মধ্যেই লোকজন বসবাস করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, গ্যাস বিদ্যুৎ পানি সরবারহসহ সকল ইউটিলিটি সুবিধা চালু হলেই লোকজন বসবাস করতে পারবেন। ইতোমধ্যে ভিভিন্ন অবকাঠামো স্থাপনের কাজও প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে। প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের বিভিন্ন ধরনের ৯০ ভাগ উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের অবশিষ্ট ২০ ভাগ কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। প্রকল্প এলাকায় স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কাজ ২০১৮ সালের জুন মাসে শেষ হবে বলে জানিয়েছে রাজউক ।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন , পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০১৮ সালের মধ্যে। এখানে উন্নয়ন কাজের প্রায় ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে।› ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ৯০ভাগ কাজ শেষ হয়েছে ।
মন্ত্রী বলেন, পূর্বাচলকে একটি আদর্শ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রিন স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এটি সরকারের একটি বড় সাফল্যের মাইল ফলক । পূর্বাচল নতুন শহরে বসবাসকারীদের সেবামূলক সকল সুযোগ-সুবিধা এখানে নিশ্চিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন,২৫ হাজার ১৬টি আবাসিক প্লটের পাশাপাশি এখানে ৬০ হাজার আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। ইকোফ্রেন্ডলি এ শহরে সবুজ চত্ত¡র, বাগান, বনাঞ্চলসহ পরিবেশসম্মত সকল সুযোগ সুবিধা রাখা হবে।
মন্ত্রী বলেন, পূর্বাচলের বিদ্যুৎ লাইন হচ্ছে মাটির নিচ দিয়ে। এখানকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সবই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গড়ে তোলা হচ্ছে। আবাসিক জ্বালানির জন্য এলপি গ্যাসের ব্যবস্থা করা হবে।
রাজউকের প্রকল্প শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়। এখন শুধু সেবাসংযোগ চালু করার কাজ বাকী আছে। গ্যাস বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ করার প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেই পূর্বাচল নতুন শহরের বসবাস করা সম্ভব হবে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, ছয় হাজার ২২৭ দশমিক ৩৬ একর জমির ওপর গড়ে তোলা পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পটি ১৯৯৬ সালে গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু করা হয় ২০০৪ সালে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে সাত হাজার ৭৮২ দশমিক ১৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে জরিপ, পরিকল্পনা, জমি অধিগ্রহণের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ভূমি উন্নয়নের কাজ ৯৫ ভাগ, পূর্বাচল সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ ৯৮ ভাগ, ৩২০ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণের কাজ ৭৫ ভাগ, কুড়িল ফ্লাই ওভার নির্মাণের কাজ প্রায় ১০০ ভাগ, সার্ফেস ড্রেন ও ক্রস ড্রেনের কাজ ৮০ ভাগ, সেন্ট্রাল আইল্যান্ড নির্মাণের কাজ ৬৫ ভাগ, সীমানা পিলার স্থাপনের কাজ ৮০ ভাগ, ভেতরের রাস্তাায় ৬১টি ব্রিজ নির্মাণের কাজ ৭০ভাগ, নদীর তীর রক্ষার কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। ৪৭৭ দশমিক ২০ একর জমি নিয়ে ৪৩ কিলোমিটার লেক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) আব্দুর রহমান বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে। আগামী বছর সকল কাজ শেষ হবে। অর্থাৎ গ্যাস , বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ লাইনের কাজ শেষ হবে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে লোকজন বসবাস করতে পারবেন। যেসব অবকাঠামোর কাজ এখন পর্যন্ত পুরোপুরি শেষ হয়নি তা আগামী বছর শেষ হবে। তিনি বলেন, দ্রæত গতিতে কাজ এগিয়ে চলছে।
তিনি আরো বলেন, স্কুল কলেজ ও মসজিদ মাদ্রাসা স্থাপনের কাজ শূরু হবে লোকজন বসবাসের সঙ্গে সঙ্গেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।