পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক বোতলের বিকল্প নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিজ্ঞানীরা চিন্তা ভাবনা করছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি লন্ডনের স্কিপিং রকস ল্যাব আবিষ্কার করেছে শৈবালের তৈরী বল, যা দেখতে ‘স্মার্ট’, আর পান করতেও মজা। এসব খাওয়ার যোগ্য ছোট ছোট পানির বল দেখতে অনেকটা পিংপং বলের মতো। আর এই পানিবাহী বল কার্যত পুরোটাই খাওয়া যায়। লন্ডনের স্কিপিং রকস ল্যাব ইতোমধ্যে এই পানির বল পরীক্ষামূলকভাবে অ্যাথলিটদের খেতে দিয়েছো। সাধারণ মানুষকেও তারা এটি পান করার সুযোগ দিয়েছিল। শুরুতে অনেকেই মুখে দেয়ার আগে খানিকটা বিস্ময় নিয়ে তাকালেও পান করার পর সবাই মজাই পেয়েছেন। বিশেষ ধরনের সামুদ্রিক শৈবাল ব্যবহার করে তৈরি এসব বোতলে দীর্ঘ সময় পানি রাখা যায়। আর কেউ চাইলে উপরে থাকা পাতলা আবরণটা সরিয়ে যে কোনো সময় তা পান করতে পারেন।
এই পানি বলের উদ্ভাবকরা আশাবাদী যে, শীঘ্রই এগুলো বাজারে ছাড়া সম্ভব হবে। আর তখন প্লাস্টিকের পানির বোতলের চাহিদা কমতে শুরু করবে, যা পরিবেশের জন্য হবে বিশেষ উপকারের। কারন, অশোধিত তেল দিয়ে তৈরি হয় পলিইথিলিন টেরেফথালেট (পিইটি) প্লাস্টিক। এরপর সেটা দিয়েই তৈরি হয় প্লাস্টিকের বোতল। এই তেল উৎপাদনের সময় গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হয়। এছাড়া প্লাস্টিক তৈরির সময় বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া, একেকটি প্লাস্টিক বোতল শতশত বছর ধরে আবর্জনা আকারে থেকে যায়, প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যেতে অনেক সময় নেয়। অন্যদিকে, জীবাণুবিয়োজ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি পানি বল পরিবেশের কোনো ক্ষতিই করে না, এগুলো রিসাইক্লিংয়েরও কোনো ব্যাপার নেই।
সুতরাং, প্লাস্টিক বোতলকে বিদায় জানানোর সময় চলে এসেছে। অচিরেই এর জায়গা নেবে পরিবেশ বান্ধব পানি বল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।