পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আরটি : পাশ্চাত্যের মূল ধারার মিডিয়া যখন ইমানুয়েল ম্যাকরনের ৬৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভকে গণতন্ত্রের ভূমিধস বিজয় বলে আখ্যায়িত করছে তখন ফ্রান্স ও ইউরোপ জুড়ে প্রকৃত প্রতিক্রিয়া কিন্তু অনেক বেশী সংযত বলে দেখা যাচ্ছে। সে সাথে সে প্রতিক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জ, ফরাসি সমাজের মধ্যে বিভক্তি এবং রাজনৈতিক শিবিরগুলোর মধ্যে বৈরিতার ব্যাপারেও হুঁশিয়ারি উচ্চাররণ করা হয়েছে।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদেকে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে সর্বনিম্নস্থানে নেমে যেতে দেখা গেছে। তার প্রতি জনসমর্থন এখন মাত্র ৪ শতাংশ। তিনি ম্যাকরনকে তার বিজয়ের জন্য উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন। সাবেক সমাজতন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস ম্যাকরনের নিজ আসন ভিলি দ্য এভরিতে ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে তার নির্বাচিত হওয়ায় উৎসবের আয়োজন করেন।
এদিকে বহু ফরাসি রাজনীতিক নির্বাচনের ফলাফলে বিভিন্ন কারণে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। মুভমেন্ট লা ফ্রান্স ইনসুমাইজ (ফ্রান্স আনবাউড) –এর মুখপাত্র র্যাকুয়েল গ্যারিডো বলেন, আমরা এমন এক প্রেসিডেন্ট পেয়েছি যিনি দুর্বল যিনি জাঁ-লুক মেলেনচনের মত প্রার্থীর উত্থানকে সহায়তা করেছেন। গ্যারিডো বলেন, ম্যাকরন ভালো কিছু হবে এমন আশা করা বহু লোকের ভোট পেয়েছেন।
অন্য ফরাসি রাজনীতিকরা উল্লেখ করেন, চরম ডানপন্থীরা পরাজয় বরণ করা সত্তে¡ও, জনগণ তাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করলেও তাদের অর্জন বৃহৎ।
সমাজতন্ত্রী পার্টির এক শীর্ষস্থানীয় নেতা জাঁ ক্রিস্তফ ক্যামবাডেলি ম্যারিন লা পেনের পাওয়া ভোটকে বিভ্রান্তিকর ও শংকাজনক আখ্যায়িত করে বলেন, প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ ভোট পেয়ে চরম ডানপন্থীরা আমাদের দেশে এক দুঃখজনক রেকর্ড করেছে।
ম্যাকরনপন্থী ক্যামবাডেলি টুইটারে তার বক্তব্য ব্যাখ্যা করে বলেন, নতুন প্রেসিডেন্টের উপর যে ছায়াপাত ঘটেছে তা অপরিসীম।
রিপাবলিকান পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট যিনি প্রথমে লা পেনের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার জন্য ভোটদাতাদের আহবান জানিয়েছিলেন তিনি বলেন, কোনো উদ্দীপনা ছাড়াই ম্যাকরন নির্বাচিত হয়েছেন।
ফ্রান্সের সীমানার বাইরে ব্রিটেনের ইউকিপ পার্টির সাবেক নেতা এবং ব্রেক্সিটের সপক্ষের শীর্ষ নেতা নাইজেল ফ্যারেজ বলেন, ম্যাকরনের নির্বাচনের অর্থ হচ্ছে আরো পাঁচ বছর ব্যর্থতা, ইইউ-র আরো ক্ষমতা এবং উন্মুক্ত সীমান্ত অব্যাহত থাকা। ম্যারিন লা পেন যদি তার জায়গা ধরে রাখেন তাহলে ২০২২ সালে জয়ী হতে পারেন।
ইউরোপীয় নেতাদের অধিকাংশই ভোটের সময় প্রকাশ্যে ইইউ পন্থী ম্যাকরনকে সমর্থন দেয়ার পর এখন তার পক্ষেই কথা বলছেন।
ইইউ কো-প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক ম্যাকরনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, মুক্তি, সমতা ও ভুয়া খবরের স্বৈরতন্ত্রের উপর সৌভ্রাতৃত্বের জন্য ফরাসি জনগণকে অভিনন্দন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ইমানুয়েল ম্যাকরনকে নির্বাচনে বিজয়ের জন্য উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে তার সাফল্য কামনা এবং তার সাথে অভিন্ন স্বার্থ বিষয়ে ভবিষ্যতে একসাথে কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন।
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো জেন্টিলনি ম্যাকরনের বিজয়ের খবর পেয়ে টুইটে বলেন, হুররে! ম্যাকরন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। এখন ইউরাপের আশা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ম্যাকরনকে তার বড় বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানানন। তিনি বলেন, তিনি ভবিষ্যতে তার সাথে কাজ করার আশা রাখেন।
তবে পরাজিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বলেন, এ বিজয় ম্যাকরনের জন্য, ফ্রান্সের জন্য, ইইউ-র জন্য এবং বিশে^র জন্য। আর যারা পরাজয় তাদের জন্য যারা গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ করে।
ম্যাকরনকে পাশ্চাত্যের বহু তারকা অভিনন্দন জানিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে তাদের উৎফুল্ল বার্তায় তারা তাদের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন। পপ তারকা ম্যাডোনা বলেন, ফ্রান্সের জয় হোক।
অভিনেত্রী চের বলেন, আপনি ফরাসিদের সাহসী করে তুলেছেন।
কেটি পেরি ম্যাকরনের বিজয়কে গণতন্ত্রের শক্তি বলে উল্লেখ করেন।
তবে সব তারকাই যে ম্যাকরনের বিজয়ে আনন্দিত হয়েছেন তা নয়। তাদের কেউ কেউ ম্যাকরনের মধ্যে সহানুভূতির অভাব আছে এবং ইস্পাতের মত শীতল দৃষ্টি সম্পন্ বলে আখ্যায়িত করেছেন। কেউ বলেছেন, তার বিজয় প্রাণিদের অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সাবেক চলচ্চিত্রাভিনেত্রী ব্রিজিত বার্দোত ম্যাকরনকে সমর্থন না করার জন্য ফরাসি ভোটারদের আহবান জানান।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে বেগম খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা
ফ্রান্সের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল বিকেলে তার নিজস্ব টুইট বার্তায় তিনি এ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাংলায় লেখা টুইট বার্তায় বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘স্বাধীনতা-সাম্য- মৈত্রীর পক্ষে বিজয় ছিনিয়ে আনার জন্য এমানুয়েল মাক্রোঁকে অভিনন্দন। নতুন নেতৃত্বে ফ্রান্সের সাফল্যের প্রত্যাশা রইলো। উল্লেখ্য, গত রোববার বিপুল ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেন এমানুয়েল মাক্রোঁ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।