Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাঠ্যপুস্তকে হিন্দুত্ববাদ মানা হবে না -আওয়ামী ওলামা লীগ

মূর্তি অপসারন ও প্রধান বিচারকের পদত্যাগ দাবী

| প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে গ্রীক মূর্তি অপসারণ, হেফাযতের ধোয়া তুলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাঠ্যপুস্তকে পুণর্বহালকৃত প্রবন্ধ-কবিতা বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উচ্চ আদালতে বহাল রাখাসহ ১২ দফা দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সরকার পক্ষের সমমনা ১৩টি ইসলামী দল গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিরাট মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পীরজাদা, পীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান বিপ্লবী জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, (পীর সাহেব, টাঙ্গাইল), সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সভাপতি- সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, আলহাজ্জ মাওলানা হাবীবুল্লাহ রূপগঞ্জী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ। মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, দপ্তর সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, আলহাজ্জ মাওলানা মুহম্মদ তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
মাননববন্ধনে নেতৃবৃন্দ কর্তৃক উত্থাপিত দাবীসমূহ হচ্ছে-
১) সারাদেশে সউদী অর্থায়নে ৫৬০টি মসজিদ তৈরীর প্রকল্প নেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন। তবে মসজিদগুলো আইএস’র উদ্ভাবক ওহাবী-সালাফী মতবাদ মুক্ত রাখতে হবে। ২) প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মূর্তি সরাতে যা যা করা দরকার তাই করা হবে। তাহলে এখনো  সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে প্রধান বিচারক মূর্তি অপসারণ না করে মুসলমানদের ঈমানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় প্রধান বিচারককে পদত্যাগ করতে হবে। মূর্তি সরানোর ব্যবস্থা না হলে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামায মুছল্লীরা বয়কট করবে। ৩) হেফাযতের ধোঁয়া তুলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুণরায় পাঠ্যপুস্তকে সংশোধিত প্রবন্ধ, কবিতা প্রত্যাহার করে নতুন করে হিন্দুত্ববাদ ঢোকানোর কোন চক্রান্ত দেশবাসী মুসলমান কখনো মেনে নিবেনা। পাঠ্যবইয়ে সাধারণ বানানের সংশোধনীর পাশাপাশি পবিত্র কুরআন, হাদীছ নিয়ে গুরুতর ২৪টি ভূল সংশোধন করতে হবে। ২০১৭ সালের পাঠ্যসূচিতে সংশোধিত ১ম শ্রেণী থেকে ১০ শ্রেণী পরযন্ত বাংলা বইয়ে ১৭৭টি গদ্য পদ্য লেখকদের মধ্যে হিন্দু ও নাস্তিকের সংখ্যা ১১১ জন। অথচ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৩য় শ্রেণীর ২১টি পাঠ্যের লেখকদের সকলেই হিন্দু। মুসলমান লেখকদের স্থান নেই। অথচ আমাদের পাঠ্যপুস্তকে বাংলাভাষার স্বরবর্ণ ও ব্যাঞ্জনবর্ণ মিলে ৪৯টি বর্ণের পরিচয় দিতে ৩৪ ভাগেরও বেশি হিন্দুত্ববাদী ও বিজাতীয় সংস্কৃতি শেখানো হচ্ছে। ৪) রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে হাইকোর্টের রায় উচ্চ আদালতেও বহাল রাখতে হবে। এ বিষয়ে কোন চক্রান্ত  ৯৫ ভাগ জনগোষ্ঠি মুসলমান কখনো মেনে নিবেনা। ৫) গরুর গোশত খাওয়া নিয়ে বাংলাদেশেও ধারাবাহিকভাবে ষড়যন্ত্র চলছে। ইদানিং রহস্যজনকভাবে অনেক হোটেলে “নো বিফ” লেখা দেখা যাচ্ছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গরুর গোশতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামী পবিত্র কুরবানীতে নির্দিষ্ট স্থানে কুরবানীর চক্রান্ত করে পবিত্র কুরবানীকে বাধাগ্রস্থ করার ষড়যন্ত্র চলছে। গরুর গোশত বিরোধী এসব চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে। ৬) “বাসায় টেলিভিশন ও সোফাসেট, ডাইনিং টেবিল না থাকা সন্ত্রাসীর আলামত” এসব উদ্ভট বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। দেশের কোন মসজিদ, মাদরাসা এবং বেশীরভাগ ধর্মপ্রাণদের বাসা তথা ২ কোটি কৃষক-শ্রমিকের বাসায় এসবগুলো নেই। লক্ষ লক্ষ ব্যাচেলরদের বাসায় আসবাবপত্র নেই তারা সবাই সন্ত্রাসী নয়। সন্ত্রাসী দমনে গোয়েন্দা সংস্থার লোকবল বহুগুণ করতে হবে এবং আরো দক্ষ করতে হবে। ৭) জমি অধিগ্রহণের নামে কোন মসজিদ ভাঙ্গা চলবেনা। মুহম্মদপুর ও মালিবাগে মসজিদ ভাঙ্গার হোতাদের গ্রেফতার করতে হবে এবং মসজিদ ভাঙ্গার চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে। ৮) মেঘালয়ের রানীকর নদী দিয়ে বয়ে আসা ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তার কারণে স¤প্রতি হাওড় অঞ্চলে ক্ষয় ক্ষতির জন্য ভারতের কাছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ চাইতে হবে। ৯) আসন্ন পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে দেশের সকল স্কুল, কলেজ মাসব্যাপী ছুটি দিতে হবে। পবিত্র রমদ্বান শরীফ উনার পবিত্রতা রক্ষায় সব ধরনের খেলাধুলা, টিভি-সিনেমা বন্ধ রাখতে হবে। ১০) স্বাধীনতা উত্তর জাসদীয় ষড়যন্ত্র নতুন করে শুরু হয়েছে। আলেম এবং সম্মানিত ইসলামী অনুভূতির প্রতি কটাক্ষ করে ইনু গং মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিচ্ছে। পহেলা বৈশাখে অমঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ না নিলে বাংলাদেশের শত্রু  হয় বলে মন্তব্য করে ইনু খোদ বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের শত্রু  প্রতিপন্ন করেছে। বামপন্থীরা আওয়ামী লীগকে ১%ও ভোট যোগান দিতে পারেনা। বরং ৯৫ভাগ ধর্মপ্রাণদের ভোট পায় আওয়ামী লীগ। সুতরাং বাম-রামদের কথায় কান না দিয়ে ধর্মপ্রাণদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। ইনু-বাদলদের বহিস্কার করতে হবে। ১১) সংস্কৃতির জন্য নতুন স্বাধীনতা সংগ্রাম করতে হবে’- ড: সানজিদা খাতুনের এ বক্তব্য এদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম তথা মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবকে ম্লান তথা প্রকারন্তরে অস্বীকার ও অবমাননা করা হয়েছে। এ জন্য ড: সানজিদার রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করতে হবে।



 

Show all comments
  • Shahadat Hossain ১৭ মে, ২০১৭, ৫:৪০ এএম says : 0
    আগে আওয়ামী ওলামালীগকে ভাল জানতাম না অথচ এখন তাদেরকেই দেখি ইসলামের পক্ষে মাঠে ময়দানে বক্তব্য ও বিবৃতি দিচ্ছেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মূর্তি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ