Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াতের উপর হামলা

পুলিশ মামলা নিচ্ছে না ভুক্তভোগীর অভিযোগ মামলা নিয়ে কেউ আসেনি : ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি

প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াত, তার ছোট ভাই এবং গাড়ির চালককে বেধড়ক পিটুনির তিনদিন পরেও মামলা নেয়নি পুলিশ। উল্টো হামলাকারীদের সাথে আপোষ করার জন্য পুলিশ চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। জানতে চাইলে ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, মামলা না নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। মামলা নিয়ে কেউই আসেনি। আসলে অবশ্যই মামলা নেয়া হবে। হামলাকারীদের সাথে আপোষ করার জন্য চাপ দেয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেন ওসি।
জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বারিধারা এলাকার নিউ ডিওএইচের জনৈক ঠিকাদার এমএস আলম, তার ছেলে সফিকুল আলম মিঠুন এবং তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মিশুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথম স্পোর্টস-ফিল্ম নির্মাতা হিসেবে খ্যাত খিজির হায়াত খান ও তার ভাই রেফায়েত হায়াত খান এবং গাড়ির ড্রাইভার হিমাদ্রি চক্রবর্তীর উপর হামলা করে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা হামলার পাঁয়তারা করলে নিরাপত্তার কারণে আহতদের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দু’দিন চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকরা বাসায় ফেরার অনুমতি দিলেও খিজির হায়াত খানকে একমাস পূর্ণ বিশ্রাম এবং মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত বাঁ হাত দিয়ে তিন মাস কোন কাজ না করার পরামর্শ দেন।
এদিকে, হামলার কয়েক দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। খিজির হায়াত বলেন, ওই দিন রাতে অফিসে সিনেমার কাজ করছিলাম। এ সময় চেঁচামেচির আওয়াজ শুনে নিচে এসে দেখি একজন বয়স্ক মাতাল আমার ড্রাইভারকে পিস্তল দেখিয়ে গালিগালাজ করছে এবং গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। পরে নিজের পরিচয় দিয়ে মাতাল এমএস আলমকে বলি যে, ও আমার গাড়ি চালক। সে কোন অন্যায় করে থাকলে আমি তার বিচার করবো। এ সময় এমএস আলমকে শান্ত হতে বললে তিনি প্রচ- রেগে আমার বুকে লাথি মারেন। এক পর্যায়ে প্রাণভয়ে আমি ড্রাইভারকে নিয়ে আমার অফিসের ভিতর চলে যাই। এরপর বাসার ফেরার উদ্দেশে নিচে নামলে মাতাল এমএস আলমের সাথে তার ছেলে আরিফুল ইসলাম মিঠুন ও স্থানীয় সন্ত্রাসী মিশুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র ও হকিস্টিক নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। হামলার শিকার গাড়ীর চালক হিমাদ্রি বলেন, হামলার সময় আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে এবং বলেছে এই ঘটনার কথা ফাঁস করলে গুলি করে মেরে লাশ ভারতে প্যাকেট করে পাঠিয়ে দিবো।
উল্লেখ্য, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে নিয়ে ‘অস্তিত্বে আমার দেশ’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন পরিচালক খিজির হায়াত খান। এটি ছিলো তার প্রথম চলচ্চিত্র। এরপর খেলা নিয়ে তৈরি করেন ‘জাগো’৷ দীর্ঘ চার বছর বিরতি কাটিয়ে আবার শুরু করেন তার তৃতীয় চলচ্চিত্র ‘প্রতিরুদ্ধ’। এতে তুলে ধরা হয়েছে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়া মেধাবীদের হারিয়ে যাওয়ার গল্প।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চলচ্চিত্র নির্মাতা খিজির হায়াতের উপর হামলা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ