পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম থেকে : বৈশাখের তীর্যক সূর্যের কড়া রোদ। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সাথে সাথে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও বেড়েই চলেছে। সেই সাথে বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা তথা জলীয়বাষ্পের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় সারাদেশেই অসহনীয় ভ্যাপসা গরম পড়ছে। তবে আবহাওয়া বিভাগের হিসাবে পারদের দাগ তাপপ্রবাহের পর্যায়ে উঠেনি গতকাল শনিবার পর্যন্ত। অনেক জায়গায় তীব্র গরমের মধ্যেও বাতাসের ছোঁয়া মানুষের জন্য স্বস্তি এনে দিয়েছে। আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে, এ সপ্তাহজুড়ে (৪-৫ দিন) গরমের দাপট চলতে পারে। সপ্তাহশেষে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দেশের অনেক এলাকায়। তবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির সাথে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়া আর কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে বৈরী বৈশাখী আবহাওয়ার সঙ্গী। আজ রোববার ঢাকাসহ কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত ও সাময়িক বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ও ২৭.৪ ডিগ্রি সে.। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৬.২ ডিগ্রি সে.। চট্টগ্রামে ছিল ৩৩ ডিগ্রি সে.। এ সময় বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজশাহীতে ২০ মিলিমিটার, তেঁতুলিয়ায় ২৩ মি.মি., সিলেটে ৪ মি.মি.। সকাল থেকে সূর্যাস্ত অবধি সূর্যের অবিরাম দহনে জনজীবনে অস্বস্তি বেড়ে গেছে। এমনকি রাতের বেলায়ও ভ্যাপসা গরমে অস্থির মানুষ। বাতাসে জলীয়বাষ্প-কণার আধিক্যের কারণে গরমে বেশি ঘামাচ্ছে মানুষ, কাহিল হয়ে যাচ্ছে। গতকাল সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ, সন্ধ্যায় ছিল ৬২ শতাংশ। ঘামঝরা গরমের কারণে বিশেষত শিশু-বৃদ্ধ, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ এবং দিনে এনে দিনে খাওয়া গরিব জনগোষ্ঠির আয়-রোজগারে কষ্ট বেড়ে গেছে।
খরতপ্ত আবহাওয়ার সাথে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও বিভ্রাট বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরে-গ্রামে সর্বত্র বিশুদ্ধ পানির অভাব প্রকট থেকে প্রকটতর হচ্ছে। তীব্র গরমে বিশুদ্ধ পানির অভাবে অনেকেই দূষিত পানি পান করে অসুস্থ হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ পেটের পীড়া, চর্মরোগ, ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে ও ডাক্তাদের চেম্বারে মৌসুমী রোগী বেড়েছে।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগ জানায়, পশ্চিমা লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। যা উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এর পরবর্তী ৫ দিনে বৃষ্টি বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
চলতি মে মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে আবহাওয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞ কমিটি জানায়, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২-৩ দিন বজ্রসহ মাঝারি থেকে তীব্র আকারে কালবৈশাখী বা বজ্র-ঝড় সংঘটিত হতে পারে। দেশের অন্যত্র তা হতে পারে ৩-৪ দিন হালকা থেকে মাঝারি আকারে।
এ মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ১ বা ২টি তীব্র ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময় তাপমাত্রার পারদ উঠতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঊর্ধ্বে। তাছাড়া দেশের অন্যত্র ২-৩টি মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সে.) থেকে মাঝারি (৩৮-৪০ ডিগ্রি সে.) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।