পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আজাদ মিয়া মিরপুর এলাকায় বসবাস করে। দশ দিন আগে চিনি কিনেছে ৬৫ টাকায়। গত বৃহস্পতিবার চিনি কিনার জন্য ওই পরিমাণ বাজেট ছিল আজাদের। কিন্তু আগের বাজেটের টাকায় এখন চিনি কম পাচ্ছে। দশদিন আগে আজাদ ২৬০ টাকায় চার কেজি চিনি পেয়েছে, আর বৃহস্পতিবার সেই একই পরিমাণ টাকায় সাড়ে তিন কেজি চিনি পেয়েছে। কারণ এখন তাকে গুনতে হয়েছে প্রতি কেজি চিনির জন্য ৭৩ টাকা। এই দশ দিনের ব্যবধানে কেন কেজিতে ৮ টাকা বেশি দিয়ে চিনি কিনতে হচ্ছে, তার প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারেনি।
এদিকে বিশ্ববাজারে সদ্য শেষ হওয়া এপ্রিলে খাদ্যসামগ্রীর দাম কমেছে। চিনি, ভোজ্য তেলসহ প্রধান প্রধান খাদ্যসামগ্রীর উৎপাদন ও সরবরাহে যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকায় বাজারে এ প্রভাব পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, গড় খাদ্য সূচকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে চিনি। পণ্যটির দর ৯ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশের বাজারে চিনির দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে।
আজাদ মিয়া বলেছেন, সিটি র্কপোরশনের উচিত এই বিষয়ে নজরদারির ব্যবস্থা নেওয়া। একই সাথে সকল পণ্যের মূল্যতালিকা দোকানে বড় করে ঝুলিয়ে রাখা। আর ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে খুচরা বিত্রেæতাদের কিছু করার থাকে না। এদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছে, মিলে চিনির দাম বাড়িয়ে দেওয়ার করণেই মূলত চিনির দাম বাড়ছে। তারা আরো বলেছে, দেশে দশটির মতো কোম্পানি ভোগ্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। তারাই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চিনির দাম বাড়াচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা স্বর্ণা চাল কেজি প্রতি ৩ টাকা বেড়ে গতকালের বাজারে বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকা দরে, পারিজা চাল ৪৪-৪৫ টাকা, মিনিকেট (ভালো মানের) ৫৬-৫৭ টাকা, মিনিকেট (সাধারণ) ৫৩-৫৪ টাকা, বিআর ২৮ ৪৮-৫০ টাকা, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ৬ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৫৪ টাকা ও উন্নত মানের নাজিরশাইল ৫৬ টাকা। এছাড়া পাইজাম চাল কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৪৮-৫০ টাকা, বাসমতি ৫৬ টাকা, কাটারিভোগ ৭৬-৭৮ টাকা, হাস্কি নাজির চাল ৪১ টাকা এবং পোলাও চাল ১০০ (পুরাতন), নতুন ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও রসুন। দেশি রসুন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এছাড়া ভারতীয় রসুন কেজিতে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। মুদি পণ্যের দামও ঊর্দ্ধমুখী। বাজারে ছোলা ও ডালের দাম নতুন করে আবার এক ধাপ বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া ছোলা বাজারে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুগ ডালের দাম গত সপ্তাহে কেজিতে ১০ টাকা বাড়ার পর বাজারে আরও ৫ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা দরে; ভারতীয় মুগ ডাল ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাসকলাই ১৩৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ১২৫ টাকা ও ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের ভোজ্য তেল। বাজারে ৫ লিটারের বোতল ব্র্যান্ড ভেদে ৫০০ থেকে ৫১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১০০ থেকে ১০৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।