Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শবে বরাতের অস্তিত্ব বিরোধীদের জবাবে উলামায়ে হক্কানী

| প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কে. এস. সিদ্দিকী : যুগে যুগে উলামায়ে হক্কানী কেবল শবে বরাতের অস্তিত্ব বাস্তবতা নয় এ পবিত্র রাতের মাহাত্ম্য তাৎপর্যের ওপরও ব্যাপক আলোচনা পর্যালোচনা করেছেন। সূরা দোখানে আল্লাহ বলেন, (১) হা-মীম (২) শপথ সুষ্পষ্ট কিতাবের (৩) আমি নাজিল একে নাযিল করেছি এক বরকতময় রাত, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী (৪) এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় ¯ি’রীকৃত করা হয়। তিন নং আয়াতে লাইলাতুল মোবারকা অর্থাৎ- বরকতময় রাত বলা হয়েছে। এর ব্যাখ্যায় অধিকাংশ তফসীর শবে কদর উল্লেখ করলে হযরত আয়েশা (রাঃ) ও হযরত ইকরামা (রাঃ) প্রমুখ শবে বরাত বলেছেন। সুতরাং বিরোধটি শুরু থেকেই বিদ্যমান, যা অস্তিত্ব ও বাস্তবতারই প্রমাণ বহন করে। তাছাড়া শবে বরাতের মাহাত্ম্যও তাৎপর্য সম্পর্কে বহু ছহিহ হাদিস আলাদা ভাবে রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বলতে হয়, যারা শবে বরাতের অস্তিত্ব ও বাস্তবতাকে অস্বীকার করে, তারা প্রকারান্তে হাদীসকে অস্বীকার করে, কুফরি কাজে লিপ্ত। ইহুদী-খৃষ্টানদের অপপ্রচারে যারা বিভ্রান্ত, আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন। শবে বরাত সম্পর্কে আমাদের দেশে উহার নানা দিকের ওপর প্রচুর লেখালেখি হয়ে থাকে, কিš‘ এতদ সংক্রান্ত বিশ্বস্ত স্বতন্ত্র কোনো পুস্তক বাংলাভাষায় আছে বলে জানা নেই। আরবী ইসলামী বারো চাঁদের (বারো) মাসের ফযীলত-তাৎপর্যের ওপর লিখিত বা প্রকাশিত বই-পুস্তক একেবারে নেই, তা নয়, তাতে শাবান মাসের প্রসঙ্গে শবে বরাত এর বর্ণনাও রয়েছে। বারো মাস জুমার খুতবা গুলোতেও শাবান শবে বরাতের উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায়। বর্তমানে বহু আরবী খুৎবায় বঙ্গানুবাদ পাওয়া যায়। হাদিস গ্রন্থসমূহ হতে সংগৃহীত হাদীস গুলো হচ্ছে শাবান শবে বরাত প্রধান সূত্র-উৎস।
এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের নিকট শবে বরাত এবাদত বন্দেগী জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অতি মর্যাদার রাত যার মর্যাদাহানির ষড়যন্ত্র চলছে।
হাকীমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহ.) শবে বরাত সম্পর্কে হাদীসের আলোকে যে সংক্ষিপ্ত মন্তব্য করেছেন, তা শবে বরাতের অস্তিত্ব ও বাস্তবতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অকাট্য প্রমাণ হিসেবে বিদ্যমান। তিনি লিখেছেন,
‘শবে বরাতের আমল এতটুকু যে, পনেরোতম রাত এবং পনেরতম দিবস এ মাসের অত্যন্ত মর্যাদা ও বরকতের। আমাদের পয়গম্বর (সাঃ) এ রাতে জাগ্রত থাকার এবং দিনে রোজা রাখার জন্য উৎসাহিত করেছেন এবং এ রাতে আমাদের হযরত (সাঃ) মদীনার কবরস্থানে বখশিশ তশরীফ নিয়ে মৃতদের জন্য দো’আ করেন। তাহলে যদি এ তারিখে মৃতদেরকে কিছু বখশিশ দেয়া হয়, চাই তা কোরআন শরীফ পাঠ করে হোক কিংবা খানা খাইয়ে হোক অনুরুপ দো’আ বখশিশ করে হোক- এ রীতি সুন্নাত মোতাবেক।’( সাইদী বেহেশতী জেওর, ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃঃ ৫০০-৫০১)।
হযরত থানভী (রহ.) হাশিয়ায় এতদ সংক্রান্ত হাদীসগুলো ও উদ্ধৃত করেছেন এবং মাসাবাতা বিছছুন্নাহ গ্রন্থে’রও বরাত দিয়েছেন।
আগেকার যুগে উলামায়ে কেরাম বিশেষতঃ আরবী ভাষায় শবে বরাত সম্পর্কে অনেক কিছু লিখেছেন। তাদের মধ্যে আরেফ বিল্লাহ শায়খ আবদুল হক মোহাদ্দেসে দেহলভী (রহ.) এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার যুগ ছিল ১৫৫১-১৬৪২ খৃষ্টাব্দ। তিনি অর্ধশত গ্রন্থের রচয়িতা। তার প্রসিদ্ধ গ্রš’বলির মধ্যে মাসাবাত বিছছুন্নাহতি ফি আইয়্যামিছ ছানাতি অন্যতম। এর মূল আরবীসহ উর্দূ অনুবাদ মোমেনকে মাহ ও সাল (মোমেনের মাস ও বছর)। শিরোনামে ১৩৬৬ সালের এপ্রিল মাসে প্রথম প্রকাশিত হয় দারুল এশাআত মোকাবিল মওলভী মোসাফির খানা করাচী হতে এর অনুবাদক মওলানা ইকবাল উদ্দীন আহমদ। এর বাংলা অনুবাদ হয়েছে কিনা জানা নেই। সংক্ষেপে গ্রন্থটি মাসাবাতা বিছছুন্নাহ নামে পরিচিত এতে চাঁন্দ্র বারো মাসের প্রত্যেকটির বর্ণনা রয়েছে। ইসলামী বারো মাসের উপর এটি একটি মৌলিক বিশ্বস্ত গ্রন্থ’ হিসেবে স্বীকৃত। আরবী ব্যতীত অন্য কোনো ভাষায় এরুপ বিশ্বস্ত গ্রন্থ রচনার দৃষ্টান্ত বিরল।
হযরত আবদুল হক মোহাদ্দেস দেহলভী (রহ.) শাবান মাস সম্পর্কে যা লিখেছেন, আমাদের আলোচনা তার ওপর সীমাবদ্ধ। তিনি শাবান মাসের উত্থাপিত বক্তব্য গুলোকে তিনটি মাকালাহ বা প্রবন্ধাকারে ভাগ করেছেন। প্রথম প্রবন্ধে তিনি জামে কবীর গ্রন্থে বর্ণিত বিভিন্ন হাদীসের ফযীলত, দ্বিতীয় প্রবন্ধে হাদীসের বিভিন্ন শব্দের ব্যাখ্যা এবং তৃতীয় প্রবন্ধে শবে বরাতের উত্তম দোআ ও শাবানের ১৫তম রাতে জাগ্রত থাকার নির্দেশ এবং বিভিন্ন বেদাত কুসংস্কারের কথা উল্লেখ করেছেন। এসব সংক্ষিপ্ত বিষয়ের বিশদ বিবরণ শাবান অধ্যায়ে বিদ্যমান। আমাদের দেশে যারা শবে বরাতের অস্তিত্ব বিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত, তারা যদি মোহাদ্দেস দেহলভী সাহেবের উল্লেখিত গ্রন্থ’টি পাঠ করেন, তারা সঠিক পথের দিশা পাবেন বলে আশা করা যায়। স্বরণ যোগ্য যে, মাসাবাতা বিছছুন্নাহ গ্রন্থে’ শবে বরাতে প্রচলিত সে যুগের যেসব কুসংস্কারের উল্লেখ রয়েছে, বর্তমান যুগে আমাদের দেশ আরো নতুন নতুন কুসংস্কার যুগ হয়েছে এবং সে গুলোর বিরুদ্ধে আমাদের দেশের উলামায়ে কেরাম ও ইসলামী চিন্তাবিদ লেখকগণ সর্বদা সোচ্চার। কিন্তু‘ বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে নতুন উপসর্গ শবে বরাতের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার উপক্রম হলেও তার জোড়ালো প্রতিকার ব্যবস্থার অভাব অনস্বীকার্য। চ্যানেলিং উৎপাত ইতিমধ্যে শবে বরাতের বিরুদ্ধে মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে ও হক্কানী উলামায়ে কেরামের প্রতিবাদের মুখে সম্পূর্ণ স্তব্দ হয়ে গেছে এরুপ মনে করা ঠিক হবে না। পরি¯ি’তি অনুধাবন করে ওরা সাময়িকভাবে নীরবতা পালন করলেও ঘাপটি মেরে থাকা শবে বরাত বিরোধী এ অশুভ চক্র সুযোগ পেলেই ছোবল মারতে পারে। শবে বরাতের বিরুদ্ধে ওদের অপপ্রচার কিছুই করতে পারবে না, তবে সে সম্পর্কে সরল ধর্ম প্রাণ মুসলমানদের মধ্যে সামান্যতম সংশয়-সন্দেহ সৃষ্টি করা গেলে সেটাই হবে ওদের বড় সফলতা, যা হচ্ছে ইহুদীবাদের অংশ।
শবে বরাতের অস্তিত্ব-বাস্তবতা নিয়ে সংশয়-সন্দেহ সৃষ্টির গভীর চক্রান্ত বাংলাদেশে নতুনভাবে দেখা দিয়েছে। তাই বিষয়টির নতুন আঙ্গিকে চিন্তা-ভাবনা চিন্তা-ভাবনা গবেষণাও শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে দেশের অভ্যন্ত জবানী বয়ান বিস্মৃতি কিছুটা মসজিদ ও সভা সমাবেশ ভিত্তিক পরিলক্ষিত হলেও লিখিত আকারে তেমন পরিলক্ষিত হয় না। তবে বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশী সচেতন, চিন্তাশীল উলামায়ে কেরামের মধ্যে কেউ কেউ বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় এনেছেন বলে মনে হয়। উদাহরণস্বরুপ সুদীর্ঘ ধরে লন্ডন প্রবাসী নব্বই বছর বয়স্ক পীরে কামেল আল্লামা ক্বারী মুফতী মাজাহিদ উদ্দীন চৌধুরী দুবাগী সাহেব বিষয়টির প্রতি গভীর ও তীক্ষè দৃষ্টি রেখে কলম হাতে নিয়েছেন। ২০১৫ সালে মার্চ মাসে সর্বপ্রথম আরবীতে ‘ফাদাইলে লাইলাতিন নিছফি মিন শাবান’ শীর্ষক পুস্তক রচনা করেন এবং ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ‘ফাদাইলে শবে বরাত’ শীর্ষক উহার বাংলা সংস্করণ প্রকাশ করেন মাওলানা ক্বারী মোঃ ওলিউর রহমান চৌধুরী। বিষয়বস্তুর দিক থেকে এটি গবেষনা ধর্ম ব্যতিক্রম পুস্তক, বিষয়টির ওপর স্বতন্ত্রভাবে ইতিপূর্বে কোনো পুস্তক রচিত হয়েছে কিনা জানা নেই। পুস্তকটির নাম করণ ফাদাইলে শবে বরাত করা হলেও প্রাধান্য পেয়েছে দেশকে বরাতের অস্তিত্ব বিরোধীদের দাঁত ভাঙ্গা জবাব। বাংলাদেশে শবে বরাতের অস্তিত্ব বিরোধীদের জবাবে রচিত লেখকের কথায় এক উদ্বেগজনক তথ্য পরিবেশিত হয়েছে। যার বিষাক্তটা বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ার উপক্রম । লেখকের ভাষায়ঃ
“পবিত্র কুরআন শরীফের সকল তফসীর গ্রন্থ এবং হাদীসের প্রামান্য গ্রন্থ সমূহের অকাট্য দলিল দ্বারা এ রাতের বিশেষ ফযীলত ও গুরুত্ব প্রমানিত। রাসূল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই নফল বন্দেগীর মাধ্যমে এ রাত উদযাপন করেছেন। আর এরই ধারাবাহিকতায় সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে অদ্যবধি সমগ্র বিশ্বে অত্যন্ত ভাব গাম্ভীর্য ও গুরুত্বের সাথে এ রাত পালিত হয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক কালে কিছু আলিরে লেবাস ধারীধারী লোক উক্ত ফযিলত পূর্ণরাতটি উদযাপনের ক্ষেত্রে তাদের লেখনী, বক্তৃতা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে নানাবিধ ফতোয়া দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
বিশেষ করে বৃটেনে ইদানিং কিছু অপরিনাম দর্শী আলেম উক্ত মোবারক রাত উদযাপন করা থেকে মানুষকে বিরত রাখতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন এমন কি কোন কোন এলাকায় উক্ত রাত্রে মসজিদ তালাবদ্ধ করে রাখার মত গর্হিত কাজও করতে শোনা যায়। তাই দেশ ও বিদেশ থেকে আমার ছাত্র মুহিব্বীন ও হিতাকাংখীদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু লিখার তাগিদ বারবার আসতে থাকে। অবশেষে জীবন সায়াহ্নে এসেও এ বিষয়ে কলম ধরতে বাধ্য হই। শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অসংখ্য কিতাব ও রিসালাহ রচিত হয়েছে। এর কোনটি প্রকাশিত হয়েছে আবার কোনটি পান্ডুলিপি আকারেই রয়েছে। তবে বাংলা ভাষায় এ বিষয়ে প্রামান্য গ্রন্থ খুব কমই পরিলক্ষিত হয়। সুতরাং চেষ্টা করছি যাতে এ কিতাব খানা বাংলা ভাষায় ঐ বিষয়ের উপর এক খানা প্রামান্য গ্রন্থরুপে বিবেচিত হয়। আশা করি এ গ্রন্থখানা পাঠ করে এ রাত সংক্রান্ত বিভ্রান্তির অবসান ঘটবে।” (পৃঃ- ৭ ও ৮)
উদ্ধৃতি কিছুটা দীর্ঘ হলেও সঠিক পরিস্থিতি আচ করার জন্য তার প্রয়োজন ছিল। অফসেটে সাদা কাগজে প্রকাশিত ১২৮ পৃষ্ঠার এ পুস্তকে বাংলাদেশী যেসব খ্যাতনামা উলামা-খতীবের অভিমত স্থান পেয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ, ঢাকা গাউসুল আজম মসজিদের খতীব ও দৈনিক ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক হযরত আল্লামা কবি রুহুল আমীন খান, প্রফেসর মাওলানা মোহাম্মদ সালাইউদ্দিন এম.এম.এম.এ খতীব, বায়তুল মোকাররম, জাতীয় মসজিদ, ঢাকা, বাংলাদেশ। মূল আরবী গ্রšে’র অনুবাদক মোঃ ছালিক আহমদ মুহাদ্দিস সৎপূব কামিল মাদরাসা বিশ্বনাথ, সিলেট প্রমুখ। বাংলা অনুবাদ সহ আরবীতে দীর্ঘ অভিমত প্রথমেই স্থান পেয়েছে বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ স্বনামধন্য মুফতী ও সুপরিচিত হাদিস বিশারদ জনাব আল্লামা আল-শাইখ আব্দুল জলীল আল-আতা আল বাকরী আল শামী, যিনি মসজিদ মুহাদ্দিস আল আকবার মুহাম্মদ ও বদরুদ্দিন আল হাশমী দামেস্ক সিরিয়ার খতীব। আলোচ্য গ্রন্থ সম্পর্কে আরো অভিমত দিয়েছেন কুয়েতী মন্ত্রী ও সাবেক এমপি ইউসুফ সায়্যিদ হাশিম আর রিফাঈ এবং পাকিস্তানের শায়খ ইসলাম ডক্টর মোহাম্মাদ তাহির আল কান্ডেরী, হযরতুল আল্লামা উস্তাদুল উলামা হেকীম আবদুল খালিক মুজাদ্দেদী দরবারে আলীয়া মুডা শরীফ, পাকিস্তান প্রমুখ।
এসব প্রখ্যাত মনীষীর মূল্যবান অভিমত পুস্তকটির গুরুত্ব বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে। আলোচ্য পুস্তকের লেখক আল্লামা দুবাগী সাহেব অন্ততঃ একডজন বিখ্যাত আরবী তফসীর ও অসংখ্য হাদীসের আলোকে শাবান মাস ও শবে বরাতের ফযিলত অকাট্যরুপে প্রমাণ করেছেন। ফিকহে শাস্ত্রের আলোকে শবে বরাতে ফযিলত তাৎপর্য সম্পর্কে মিশরের গ্রান্ড মুফতী ড. আল্লামা আলী জুমআ, আল্লামা আবদুল হাফিজ মালিক আবদুল হক মক্কী, উলামায়ে দেওবন্দ, হযরত ইমাম আবদুর রহমান সফুরী (রহ.) শায়খ আলবানির বয়ান ইমাম হাফিয ইবনে রজব হাম্বলীর বক্তব্য, ইমাম শারফী (রহ.) এর উক্তি শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়ার অভিমত এবং পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রখ্যাত বুযুর্গনে দ্বীনের আমল প্রভৃতি আলোচ্য পুস্তককে অলংকৃত করেছেন।
শবে বরাত সম্পর্কে দেশে বিদেশে যে সব তথা কথিত আলেম অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, এমনকি শবে বরাতের পবিত্র মুহুর্তগুলোতে লন্ডনের মসজিদগুলো তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার মত ধৃষ্টান্ত অভিযোগ রয়েছে। এ পুস্তক তাদের সকলকে আলোর পথে নিয়ে যাবে। শবে বরাতে প্রচলিত সকল প্রকারের কুসংস্কার ও ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ হতে বিরত থাকা যেমন সকলের কর্তব্য, তেমনি শবে বরাতের অস্তিত্ব বিরোধীদের বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার সম্পর্কে সাবধানতা অবলম্বণ করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন