পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রিন্ট মিডিয়া ছাড়াও দেশের টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও এবং অনলাইন গণমাধ্যমের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেখতে চান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, মুক্তচিন্তাকে বাধাগ্রস্থ করবে এমন স¤প্রচার নীতিমালা করা হবে না। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে মুক্ত গণমাধ্যমের বর্তমান চিত্র বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, সমকাল সম্পাদক গোলাম সরওয়ার, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান প্রমুখ।
হাসানুল হক ইনু বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও মুক্তচিন্তার স্বাধীনতা দিতেই টেলিভিশন ও অনলাইন গণমাধ্যমের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও স¤প্রচার নীতিমালা দরকার। মুক্তচিন্তার অবাধ স্বাধীনতা রেখেই সাইবার অপরাধ আইন ও স¤প্রচার নীতিমালা তৈরি করবো। আইন তৈরি করা হবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই। এক তরফা কোনও আইন তৈরি করা হবে না। সাংবাদিকদের অভয় দিয়ে তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যম বা সাংবাদিকরা নন বরং তথ্য বিকৃতকারী, উস্কানিদাতা, ভুয়া সংবাদ উপস্থাপনকারী ও চক্রান্তকারীরাই চাপে এবং ভয়ের মধ্যে আছে। এসব ষড়যন্ত্রকারীর হাত থেকে গণমাধ্যমের পবিত্রতা রক্ষা করতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এখন পর্যন্ত যেসব পত্রিকা বন্ধ করা হয়েছে তার কোনোটিই সরকার বিরোধিতার কারণে নয়; বরং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কারণে বন্ধ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যতগুলো গণমাধ্যম বন্ধ হয়েছে সেগুলো কেন, কী কারণে বন্ধ হয়েছে তার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে দেওয়া হবে। কোনও সম্পাদক যদি অনিয়ম করেন, মিথ্যাচার করেন, কারও চরিত্র হনন করেন তাহলে দন্ডবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর মানে সম্পাদকদের দমন নয়, গণমাধ্যম দমন নয়। তারপরও আমাদের যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, কোনও সংশোধনের প্রয়োজন মনে করেন তাহলে আমাদের বলবেন, আমরা নিজেদের সংশোধন করে নেবো।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে দুই হাজার ৮০০ পত্রিকা রয়েছে। এসব পত্রিকায় হাজার হাজার সাংবাদিক কাজ করেন। তাদের দমন করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে কিভাবে আরও ফেয়ার করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করছি। এ পর্যন্ত যখন যেখানে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সাংবাদিকের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। রাষ্ট্র নিজেই নিরপেক্ষভাবে সব সময় যাচাই করে, সাংবাদিকদের ওপর কোনও অন্যায় আচরণ হচ্ছে কিনা। অন্যায় হলেই সঙ্গে সঙ্গে তা সংশোধন করে নেওয়া হয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নষ্ট হওয়ার পেছনে সাইবার অপরাধী ও জঙ্গিদের হাত রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধী, জঙ্গি ও জঙ্গি সমর্থনকারীদের কারণেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নষ্ট হচ্ছে। আর এ জন্য সাইবার অপরাধ ও জঙ্গিগোষ্ঠী থেকে গণমাধ্যমকে রক্ষা করতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।