পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সংসদীয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন রুটে চলমান স্পীড বোটগুলোকে নিবন্ধনের আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নিবন্ধন ফরম তৈরি করে তা স্পীড বোট মালিকদের মধ্যে বিতরণও করা হয়েছে। কিন্তু স্পীড বোট মালিকদের অনীহার কারণে নিবন্ধন কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গতকাল (রোববার) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে নিবন্ধন ছাড়া কোন স্পীড বোট চললে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী স্পীড বোটসমূহ নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে স্পীড বোটের মালিকানা ও বিবরণ সম্বলিত তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি ফরম তৈরি করে মাওয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটসহ বিভিন্ন রুটের স্পীড বোট মালিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এরপরও মালিকরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের বোট নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হলে সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নৌ-সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির তথ্যানুযায়ী, দেশের বিভিন্ন রুটে আনুমানিক ১৫ হাজার স্পীড বোট চলাচল করে। এরমধ্যে মাওয়ার শিমুলিয়া-কাঠালবাড়িয়া, আরিচা-কাজীরহাট, আরিচা-দৌলতদিয়া, আরিচা-নগরবাড়ি, চাঁদপুর-শরীয়তপুর, বরিশাল-ভোলা, নরসিংদী-নবীনগর রুটে চলাচলকারী স্পীড বোটের সংখ্যা বেশি। এসব স্পীড বোট নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে।
গত বছর একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে স্পীড বোটগুলো প্রতিনিয়ত জনজীবনে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। দুর্ঘটনা ঘটলে সঠিক তথ্যের অভাবে দুর্ঘটনা কবলিত বোটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায় না। আর নিবন্ধন না থাকায় সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়। এরপর বোটগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কমিটি সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম বৈঠকে সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- কমিটির সদস্য এম আব্দুল লতিফ ও রণজিৎ কুমার রায় এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।