পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : সিরিয়ায় গত এক বছরে শতাধিক বাংলাদেশী নারী পাচার হয়েছেন বলে জানা গেছে। সিরিয়ায় যুদ্ধের কারণে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পাচার হওয়া নারীদের কয়েকজন দেশে ফিরে আসলে তাদের মুখ থেকে নানা ধরনের নির্যাতনের বর্ণনা পাওয়া যায়। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
সিরিয়ায় কিছু নারী পাচার হয়েছেন, সেটি প্রথম নজরে আসে যখন কয়েকজন নারী পালিয়ে দেশে ফিরে আসেন। পরে তারা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে র্যাবের কাছে অভিযোগ করেন। তখন বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে র্যাব ৪৫ জনের নাম জানতে পারে।
এই চক্রের মধ্যে বাংলাদেশের একজন এবং জর্ডানে বসবাসরত এক বাংলাদেশি জড়িত বলে জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তারা। দুবাইয়ে বিমানবন্দরে টিকিট বদলানোর কাজ করার জন্য তাদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। ঢাকার বৈধ কিছু রিক্রুটিং এজেন্সির সহযোগিতাও তারা নিয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাচার হয়তো খানিকটা কমেছে, কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি। তারা আরো জানান যে, অন্তত তিনজন নারী দেশে ফিরে এসে নানা ধরনের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন। র্যাবের তদন্তে জানা গেছে, এসব নারী আসলে কাজের জন্য জর্ডান ও লেবাননে যাচ্ছিলেন। তাদের কাগজপত্র বৈধ ছিল। কিন্তু দুবাইতে কানেকটিং ফ্লাইটে ওঠার আগে প্লেনের টিকিটে তাদের গন্তব্য বদলে দেয় পাচারকারীরা। এসব নারী বুঝতেও পারেননি যে তারা সিরিয়াতে গিয়ে নামবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখন প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে এসব নারীদের ফিরিয়ে আনা। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে তারা খুব বেশি এগোতে পারেননি। কারণ সিরিয়াতে ব্যাপক যুদ্ধের জন্য তাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া কঠিন। সেখানে কোনো বাংলাদেশী দূতাবাসও নেই। একটি কনস্যুলেট ছিল, সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে। যেসব পাসপোর্ট নম্বর পাওয়া গেছে, তাতে দেয়া জরুরি টেলিফোন নম্বরগুলো কাজ করছে না। এ ছাড়া পুরো বিষয়টি আসলে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সেখানেও কাজের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি মামলা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।