পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আগামীতে ক্ষেত-খামারে কাজ করবে দেশের তরুণ প্রযুক্তি উদ্ভাবকদের তৈরি রোবট। আর ২০২১ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের হার্ডওয়ার ও সফটওয়ার রপ্তানী করতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আইসিটি বাংলাদেশ ২০১৬ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, আইসিটি এক্সপো ২০১৬ দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যে প্রযুক্তি খাতকে দেশের সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে জনগণকে আইটি সম্পর্কে ধারণা দিতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। আজ প্রতিটি ঘরে ঘরে মোবাইল ফোন পৌঁছে গিয়েছে যা দেশে বড় এক বিপ্লব ঘটেছে। আগামীতে আরো একটি পরিবর্তন ঘটবে তা হল মানুষের কাজ করবে রোবট। ক্ষেত-খামার থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে কাজ করবে রোবট।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার,বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি এএইচএম মাহফুজুল আরিফ, মেলার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মিলন, মাইক্রোসফট দক্ষিণ এশিয়া নিউ মার্কেটের প্রেসিডেন্ট মিশেল সিমনস, ডেল দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার হারজিৎ সিং রেখি প্রমুখ।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশীয় প্রযুক্তি শিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও সম্ভাবনার প্রতিচিত্র তুলে ধরতেই দ্বিতীয় বারের মত আমরা ভিন্নমাত্রায় আয়োজন করেছি বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো-২০১৬। সফটওয়্যার শিল্পে নেতৃত্ব দেবার পাশাপাশি বাংলাদেশ একদিন হার্ডওয়্যার শিল্পেও নেতৃত্ব দেবে, এই প্রত্যয়কে ধারণ করে আমরা তথ্য প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। সেজন্য আইসিটি ডিভিশন যৌথ অংশীদারিত্বে এই মেলার আয়োজন করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা আমদানির সাথে থাকতে চাইনা আর এজন্যই হাইটেক পার্ক থেকে তৈরী হবে রপ্তানীযোগ্য হার্ডওয়ার ও সফটওয়ার পণ্য। আমরা আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের হার্ডওয়ার ও সফটওয়ার রপ্তানী করতে সক্ষম হব।
আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, দেশীয় তথ্য প্রযুক্তি পণ্য ও সেবার সর্ববৃহৎ আয়োজন আইসিটি এক্সপো-২০১৬। তথ্য প্রযুক্তির অত্যাধুনিক পণ্য ও সেবার উপস্থাপন, উৎপাদক, বিক্রেতা-ক্রেতার মতবিনিময়, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও ব্যাপক বেচাকেনার অবারিত সুযোগ এনে দেবে এ আয়োজন। স্বাগত বক্তব্যে কম্পিউটার সমিতির সভাপতি এএইচএম মাহফুজুল আরিফ বলেন, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার, গবেষক ও উদ্ভাবক এবং উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিতালী গড়ে তুলতেই এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রযুক্তি ভোক্তা থেকে নিজস্ব ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উৎপাদক দেশ হতে সরকারী ও বেসরকারি উদ্যোগগুলো যেনো সমান্তরাল ভাবে চলতে পারে ‘বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৬’ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি এখন সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। আমার বিশ্বাস, বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়, নতুন কর্ম সংস্থান সৃষ্টি এবং সর্বোপরি ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে জীবন মানের উন্নয়ন ঘটাতে এই মেলা জনসচেতনতা তৈরি করতে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে।
বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের পাশাপাশি দেশী ব্র্যান্ডর প্রযুক্তি পণ্য সেবা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের চমক লাগানো উদ্ভাবনার প্রদর্শনী এবং ব্যবসায়, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মেলবন্ধন এবং প্রযুক্তিবোদ্ধাদের বিষয় ভিত্তিক সভা সেমিনারের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তির মেলা- ‘বাংলাদেশে আইসিটি এক্সপো ২০১৬’।
সরকারের আইসিটি ডিভিশন এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করেছে। মেলায় রয়েছে ৫৯টি প্যাভেলিয়ন ও ৭০টি ছোট-বড় স্টল। মেলায় লোকাল ম্যানুফ্যাকচারার্স, প্রোডাক্ট শো-কেসিং, ইনোভেশন, মিট উইথ ইন্টারন্যাশনাল ম্যানুফ্যাকচারার্স, ডিজিটাল লাইফস্টাইল, মেগা সেল, বিজনেস টু বিজনেস ম্যাচমেকিং নিয়ে আটটি বিশেষায়িত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে।
মেলাতে শিশুদের নিয়ে ডিজিটাল আর্ট কম্পিটিশনের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও মেলায় রয়েছে একটি ইনোভেশন জোন। মেলা চলাকালে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদনের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ, ক্লাউড কম্পিউটিং, শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি, ই-স্বাস্থ্যসেবা, ই-গর্ভনেন্স, আইটি এনাবল ও ট্রেড কর্মাসের সম্ভাবনা, তথ্য প্রযুক্তিতে মানবসম্পদের উন্নয়ন, ক্রস বর্ডার সাইবার ক্রাইম, ডিজিটাল নিরাপত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস ইত্যাদি বিষয়ে ১১টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্র, চীন, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, ভারত, সিঙ্গাপুরসহ ১০টির বেশি দেশের তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী, প্রোগ্রামাররা সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। ৫টি দেশীসহ ২০টির বেশি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের পাশাপাশি দেশীয় শতাধিক তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও ২০টির বেশি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদফতর প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।