Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মসজিদে সরকারি খুৎবা চাপিয়ে দিলে প্রতিহতকরা হবে : ইসলামী নেতৃবৃন্দ

প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জুমার নামাজের খুৎবা সম্পর্কে ইফার ডিজির বক্তব্য মহান আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর সাথে ধৃষ্টতা দেশের মসজিদগুলোতে সরকারি খুৎবা চাপিয়ে দিলে তা প্রতিহত করা হবে। গতকাল বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন।
জমিয়ত ঢাকা মহানগর
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর নেতৃবৃন্দ জুমার খুৎবা ও খতিবদের বক্তব্য নিয়ন্ত্রণে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া ইফা ডিজি’র বক্তব্যকে শরিয়তবিরোধী ও ইসলাম বিধ্বংসী ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে জমিয়ত উলামার নেতৃবৃন্দ বলেন, জুমার খুতবার নিয়ম, পদ্ধতি, বিষয়, ধরন কোনো আলেমের মনগড়া বিষয় নয়। ইসলামী বিধান অনুযায়ী খুৎবা দেওয়া হয় জুমার খুৎবা নিয়ন্ত্রণ ও খতিবদের বক্তব্য প্রদানের বিষয়ে ইফার ডিজির নাক গলানো আল্লাহ, আল্লাহর রাসূলের সাথে ধৃষ্টতা। আলেম-ওলামাদের মতামত না নিয়ে কতিপয় দরবারি আলেমদের দিয়ে বানানো সরকারি খুৎবা বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করবে বাংলাদেশের মুসলমান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শামীম মোহাম্মদ আফজালকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালকের পদ থেকে বাদ দিয়ে একজন মুত্তাকি আলেমকে নিয়োগ দেওয়ারও জোর দাবি জানান।
গতকাল দুপুরে পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর জমিয়তে ওলামার ঢাকা মহানগর কমিটির এক জরুরি সভায় নেতৃবৃন্দ এ সব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম, মাওলান মাহবুবুল আলম, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা তোফায়েল গাজ্জলী, মাওলানা বোরহান উদ্দীন প্রমুখ।
ইসলামী শ্রমিক সমাজ
কোনো অতিউৎসাহী ব্যক্তির পরামর্শে জুমার খুতবার বয়ান নিয়ন্ত্রণ সমীচীন হবে না সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, কারণ জুমার খুতবায় বয়ান হচ্ছে সমাজ সংশোধনের হাতিয়ার। সমাজ জীবনকে পাপাচার ও দুর্নীতিমুক্ত করতে তা বিশাল ভূমিকা রাখে। অন্যায়-অবিচার, হারাম জীবিকা, চাঁদাবাজী, মাস্তানি, ব্যাভিচার, মাদক, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, সুদ, ঘুষ নিয়ে নিঃস্বার্থভাবে ওয়াজ করা জুমার খতিবদের মহান কাজ। এ কাজে হস্তক্ষেপ করলে সরকার প্রধান ও সরকারকে আল্ল­াহ ও জনগণের কাছে ঘৃণিত ও নিন্দিত হতে হবে। এ সব বিষয় সর্বশক্তিমান আল্লাহকে ভয় করে ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ করা একান্ত অপরিহার্য। বিবৃতিদাতারা বলেন, নেজামে ইসলাম পার্টির শীর্ষনেতা ও ইসলামী শ্রমিক সমাজের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাওলানা মো. শওকত আমীন পীর সাহেব বি’বাড়িয়া ও মহাসচিব শামসুল আলম, ইসলামী যুব সমাজের মহাসচিব মাও. মু. ইসমাঈল বুখারী, ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি মু. ইলিয়াছ আতাহারী ও মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, ইসলামী কৃষক সমাজের আহ্বায়ক মাও. আনোয়ার হোসাইন আনসারী প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মসজিদে সরকারি খুৎবা চাপিয়ে দিলে প্রতিহতকরা হবে : ইসলামী নেতৃবৃন্দ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ