পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইন্ডিয়া টুডে : বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর পশ্চিমবঙ্গ সফর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে কুকথা প্রবণ করে তুলেছে।
তিনি এ সময় রাজ্যের সদর দফতর নবান্নে ছিলেন না, তবে মিডিয়া সামলাতে এবং তার দল ও সরকারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের জবাব দিতে তার বিশ^াসী সহযোগীদের উপর ভার দিয়ে যান।
তার নিজের পক্ষ থেকে বিজেপিকে হঁশিয়ারি দিতে মমতা কোনো সুযোগই ছাড়ছেন না। তিনি বলেছেন, রাজ্যে ঝামেলা পাকাবার ফল হবে মারাত্মক। তিনি বলেন, যো হামসে টকরায়ে গা, ও চুর চুর হো যায়েগা। তিনি সব প্রশাসনিক কর্মসূচিকে রাজনৈতিক সমাবেশে রূপান্তরিত করছেন, তার বক্তৃতার বড় অংশ ব্যয় করছেন বিজেপির প্রতি পাল্টা জবাবে এবং অমিত শাহর বক্তব্য খন্ডনে।
২৬ এপ্রিল অমিত শাহ মমতা ব্যানার্জির আসন ভবানিপুরে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস মিছিল বের করে। তারা মোদি হটাও দেশ বাঁচাও সেøাগান দেয়।
পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এ দিন প্রথম দিকে অমিত শাহর সকল অভিযোগ নাকচ করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়ার নির্দেশ দেন। ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার তাদের ৬ বছরের শাসনে মানুষের আশাভঙ্গ প্রদর্শনের যত কথা বলেছেন তার জবাব দেয়া হয়েছে। অমিত শাহর মতে, স্বাধীনতার সময় পশ্চিমবঙ্গের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ২৫ শতাংশ, কিন্তু তা এখন ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। অমিত মিত্র তা খন্ডন করে বলেন, জিডিপি দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়ে ৪.৬১ লাখ কোটি থেকে ৯.২০ লাখ কোটিতে পৌঁছেছে।
কৃষি, শিল্প ও বিদ্যুত বিষয়ে অমিত শাহর অন্যান্য অভিযোগও উড়িয়ে দেয়া হয়।
২৭ এপ্রিল আলিপুর দুয়ারে এক কর্মসূচিতে মমতা ব্যনার্জি অমিত শাহর ‘এবার বাংলা’ দাবির পাল্টা জবাবে বলেন, যারা দিল্লি ও গুজরাটকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তারা আবার বাংলার স্বপ্ন দেখছে।
বর্তমান পত্রিকার খবরে বলা হয়, এদিন আলিপুরদুয়ার জেলায় বিজেপির একমাত্র জেতা আসন মাদারিহাট বিধানসভার অন্তর্গত বীরপাড়ায় এক জনসভায় মমতা ব্যানার্জি বলেন, আমাকে চোখ রাঙাবেন না! কারও চোখ রাঙানিকে বরদাস্ত করি না। তিনি বলেন, ‘বিজেপি বাংলাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করছে। তিনি বলেন,এবার গুজরাট-উত্তর প্রদেশে গিয়ে সংগঠন করব। আমাকে টার্গেট করলে, দিল্লিকে নিশানা করব আমিও। নাম না করে অমিত শাহসহ বিজেপির শীর্ষকর্তাদের এই ভাষাতেই পালটা হুঁশিয়ারি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভায় মমতা বলেন, বাংলার এই মাটি দুর্জয় ঘাঁটি। এই মাটিতে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। বড্ড তাড়া! তিনি বলেন, যারা গুজরাট সামলাতে পারে না, তারা বাংলা সামলাতে এসেছে! বরং আগামী দিনে দিল্লিকে পথ দেখাবে বাংলাই। অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে অতি শাহর মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, তাঁর দাবি, সারাদেশের ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ ৭.৩%, কিন্তু বাংলায় সেই গ্রোথ ১০.৫৯%। সার্ভিস সেক্টরেও সারাদেশে গ্রোথ ৯.২% সেখানে বাংলায় সেটা ১৩.৯৯%।
অমিত শাহ তার সফর শেষে পশ্চিমবঙ্গ ছেড়েছেন। তার সফর উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের পালে হাওয়া লেগেছিল। এখন তারা আবার নিজেদের পরিত্যক্ত মনে করছে। পরবর্তী পরিস্থিতির ব্যাপারে তারা শঙ্কিত। আসলে যারা অমিত শাহকে স্বাগত জানিয়েছিল তারা তারা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের কাছ থেকে নিরাপত্তার জন্য প্রকাশ্যে দাবি জানায়।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল এটাও নিশ্চিত করেছে যে সেখানে বিকল্প রাজনীতির কোনো সুযোগ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।