Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মোহাম্মদপুরে মসজিদ মাদরাসা এতিমখানা উচ্ছেদ করে নাট্যশালা তৈরির পরিকল্পনা

ফুঁসে উঠছে এলাকাবাসী

| প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম



স্টাফ রিপোর্টার  : উন্নয়নের নামে মুহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন নিজস্ব ও সরকারি খাস জমির উপর দীর্ঘ ২৫ বছর পূর্বে পঁচিশ বছর পূর্বে ১৯৯২ সালে নির্মিত বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স উচ্ছেদ করে উন্নয়নের নামে সুরের ধারার ব্যানারে একটি নাট্যশালা নির্মাণের ব্যবস্থা নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এ অন্যায় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেসে মুহাম্মদপুর এলাকার আলেম-উলামা মুসল্লি ও তাওহিদী জনতা। ইসলামবিরোধী এ অন্যায় পদক্ষেরে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চলছে। এসব প্রতিবাদে বক্তাগণ নাট্যশালার নামে বরাদ্ধ বাতিল করে মসজিদের নামে বরাদ্ধ দেয়ার জোর দাবি করেন।
গতকাল জুমআর নামাজের পূর্বে মসজিদের জমি নাট্যশালার নামে বরাদ্ধের প্রতিবাদ করে দুই হাজারে অধিক মুসল্লির উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখেন মসজিদ কমিটির সহ-সভাপিত কাউসার হাওলাদার, সেক্রেটারি বশির আহমদসহ অন্যান্য স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। বক্তাগণ বলেন, মসজিদ রক্ষার জন্য মুসলমান হিসেবে যা যা করা দরকার তাই করা হবে আর তখন যে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য জেলা প্রশাসককেই দায়ী হতে হবে। মসজিদের খতিব মুফতি উমর ফারুক বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত মানুষের শ্রমে তিলে তিলে গড়ে উঠেছে এ কমপ্লেক্স সুতরাং মসজিদ ভেঙে কোনো নাট্যশালা এলাকার জনগণ তৈরি করতে দিবে না। এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় কমিশনার, এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মালিবাগ জামে মসজিদ
মালিবাগ এলাকায় সিএন্ডবি গোডাউন এর পরিত্যক্ত জায়গায় ‘মালিবাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ’ নামে নামকরণ করিয়া ২০০৬ সাল হতে পাঞ্জেগানা নামাজসহ জুম্মার নামাজ আদায় করা হচ্ছে। মসজিদ ও মাদরাসার জায়গা বিগত সরকার এর খিলগাঁও পুর্নবাসন এলাকার ভূমি বরাদ্দ কমিটির ১৫-১০-২০০৬ তারিখে অনুষ্ঠিত সভায় ৬নং আলোচ্য সূচির সিদ্ধান্ত হয় যে, শহর খিলগাঁও মৌজার সিএস দাস নং ৯০৪ ও ৯০৫ হতে রাস্তার জন্য ০.২১ একর জমি বাদে অবশিষ্ট ১.৪২ একর জমি ঢাকা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক সংশোধিত চাহিদাপত্র প্রেরণ সাপেক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বরাবরে বরাদ্দ প্রদানের নিমিত্তে সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার প্রেক্ষিতে সিটি কর্পোরেশনের স্মারক নং এক্টেট/৬৫৪(১)২০০৭-২০০৮ ইং তারিখ ২৮-০২-২০০৮ মোতাবেক উক্ত সংশোধিত চাহিদা পত্র দাখিল করা হয় এবং! প্রধান প্রকৌশলী গণপূর্ত অধিদপ্তর হতে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন। এমতাস্থায় ডি, পবিøউডি এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসন প্রকল্প করার নিমিত্তে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় একটি নকশা প্রণয়ন করে যা ১৩-০৫-২০১৫ তারিখে অনুমোদিত হয়। তাতে মালিবাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এর অবস্থান যথাস্থানে দেখানো হয়। কিন্তু ৪-৪-২০১৭ তারিখে আরও একটি প্রকল্প নকশা তৈরি করা হয় এবং সেই নকশায়ং মসজিদের পরিবর্তে ২৫ ফুট প্রশস্ত একটি রাস্তা দেখানো হয়েছে। ফলে মালিবাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ রক্ষার জন্য জুম্মার নামাজের পরে মানববন্ধন এবং গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। তাই মসজিদ রক্ষার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্বারকলিপি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বক্তাগণ।



 

Show all comments
  • Habib ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:৪২ পিএম says : 0
    deshe agulo ki suru holo ?
    Total Reply(0) Reply
  • মাহামুদুল হাসান ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:৫৪ পিএম says : 0
    একটা মুসলিম জনসংখ্যাবহুল দেশে মসজিদ ভেঙে নাট্যশালা তৈরির অনুমোদন দেওয়া ন্যাক্কারজনক কাজ ছাড়া অন্য কিছু নয়
    Total Reply(0) Reply
  • Shah Alam ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:৫৫ পিএম says : 1
    আল্লাহ তুমি হেদায়ত দাও
    Total Reply(0) Reply
  • দেলোয়ার হোসাইন ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১:২৩ পিএম says : 0
    মুসলমান এটা করতে পারে না এবং করতে দিতেও পারে না।
    Total Reply(0) Reply
  • মোবারক ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ৬:৪১ পিএম says : 2
    এটাই বাকী ছিলো !!!!!!!!!!!!!!!
    Total Reply(0) Reply
  • ফিরোজ খান ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ৬:৪২ পিএম says : 1
    যারা এগুলো করছে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের কখনো ক্ষমা করবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • kasem ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ৬:৪৩ পিএম says : 0
    মসজিদ রক্ষার জন্য মুসলমান হিসেবে যা যা করা দরকার তাই করা হবে আর তখন যে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য জেলা প্রশাসককেই দায়ী হতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ৩০ এপ্রিল, ২০১৭, ৯:০৯ এএম says : 0
    জেলা প্রশাসকের উপর সম্ভবত আদিত্য যোগীর প্রেতাত্মা ভর করেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • এইচ এম ৩০ এপ্রিল, ২০১৭, ৩:৩৪ পিএম says : 0
    ২৫ বছর পূর্বে ১৯৯২ সালে নির্মিত বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স উচ্ছেদ করে উন্নয়নের নামে সুরের ধারার ব্যানারে একটি নাট্যশালা নির্মাণের ব্যবস্থা নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ কয়াহোক।দেখাযাক তিনি কী ব্যাবস্থা নেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Selina ৩ মে, ২০১৭, ৭:১৭ এএম says : 0
    Very bad incident
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ আব্দুল গাফফার ৩ মে, ২০১৭, ১১:১৭ এএম says : 0
    আমি মনে করি সরকারের ভাবূর্তি বহুলাংশে ক্ষুন্ন করার কু-মতলবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক এমনটা করছেন। সরকারের দায়িত্বশীলগণের এব্যাপারে অগ্রাধিকার দিয়ে মাদ্রাসা ও আল্লাহর ঘর মসজিদের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সে ব্যাপারে স্বযত্ন আশু ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান করছি।
    Total Reply(0) Reply
  • ৪ মে, ২০১৭, ১২:১৭ পিএম says : 0
    এটাই কি দেখার বাকী ছিলো,, এই মুসলিম রাষ্ট্রে।
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ৫ মে, ২০১৭, ৮:৫০ এএম says : 0
    এখনো আসলের কি দেখেছেন? সবেতো সুচনা মাত্র। আর একটু অপেক্ষা করেন। দেখতে পাবেন রাধার প্রলয় নৃত্য কত্তো প্রকার।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ