Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মূর্তি অপসারণে টালবাহানা হলে হরতাল ঘেরাও এর মতো কঠোর কর্মসূচি আসবে-জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণে টালবাহানা হলে যে কোনো রকম কঠোর কর্মসূচি আসবে। ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে সুপ্রিম কোর্টের সামনে কোনো অবস্থাতেই মূর্তি থাকতে পারে না। মূর্তি মানলে ঈমান-ইসলাম কিছুই থাকে না।
তৌহিদী জনতা এই মূর্তি অপসারণে প্রয়োজনে হরতাল অবরোধ ও ঘেরাওসহ যে কোনো কঠিন কর্মসূচি পালনে প্রস্তুত রয়েছে। গতকাল পুরানা পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ এ মন্তব্য করেন। দলের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় জমিয়তের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী। বক্তব্য রাখেন মহানগর জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি বশীরুল হাসান, মাওলানা নূর মোহাম্মদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মাওলানা তাজুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক মাওলানা ওমর আলী প্রমুখসহ বিভিন্ন থানার দায়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিলেন।
মাওলানা ইউসুফী বলেন, মূর্তি অপসারণে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ও প্রতিশ্রæতির পরও প্রধান বিচারপতির নীরবতা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটলে এর দায় প্রধান বিচারপতি এবং সরকারকে নিতে হবে।
ইসলামী  আন্দোলন  ঢাকা মহানগর উত্তর
সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে গ্রিক দেবীর মূর্তি অপসারণের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দেয়ার পরও প্রধান বিচারপতির মূর্তি অপসারণের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ ও গড়িমসি দেশবাসীর কাম্য নয়। দেশবাসী আশা করেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি প্রধান বিচারপতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবেন। সুপ্রিম কোর্ট স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও মাননীয় রাষ্ট্রপতির নিয়ন্ত্রণাধীন। রাষ্ট্রের নির্বাহী সর্বোচ্চ ব্যক্তি হলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর সেন্টিমেন্টকে পর্যবেক্ষণ করে মূর্তির বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তাই রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের সাথে দ্বিমত পোষণ মানে রাষ্ট্রের একটি সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সুপ্রিম কোর্টের প্রতি দেশবাসীর আস্থা নষ্ট করা।
গতকাল বিকেলে ইসলামী আন্দোলন নগর উত্তর কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তরের জরুরি বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ উপরোক্ত কথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর উত্তর সেক্রেটারি মুহাম্মাদ মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, মুফতি মাছউদুর রহমান, প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন পরশ, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শওকত আলী প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মূর্তি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ