পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বিজিএম-এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেছেন, সরকার ও শ্রম মন্ত্রণালয় মিলে যে ট্রাস্ট ফান্ড আছে, তাতে এখনো টাকা আছে। যদি কেউ কাজ না পেয়ে থাকেন, কেউ চিকিৎসা না পেয়ে থাকেন, বিজিএমই-এর কাছে এলে সরকার ও বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সহায়তা দেয়া হবে।
সোমবার রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। জুরাইন কবরস্থানে ওই দুর্ঘটনায় নিহত ২৫৪ জনকে সমাহিত করা হয়েছিল, যাদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন এইডের গবেষণায় উঠে এসেছে, চার বছর আগে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় যেসব শ্রমিক আহত হয়েছিলেন, তাদের ৪২ শতাংশ এখনো বেকার। এ সম্পর্কে বিজিএমইএ সভাপতি সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করে বলেন, গত দেড় বছরে একটি লোকও বিজিএমইএতে এসে বলেননি যে চাকরি পাননি বা আহত। আমাদের কাছে আনা হলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। এ ধরনের প্রতিবেদন আমাদের দেশের জন্য ক্ষতিকর। আমি মনে করি, ১৮ তারিখে কমপ্যাক্টের মিটিং আছে, জুনে আইএলসির মিটিং আছে। দেশে যদি আমরা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াই, তাহলে ক্ষতিটা হবে আমাদের।
তিনি বলেন, রানা প্লাজায় যে বিল্ডিং ছিল তা শতভাগ কমপ্লায়েন্স ছিল। তা দেখেই ফ্যাক্টরি মালিকেরা ভাড়া নিয়েছিল। ভবনের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের দেখার বিষয়, কিন্তু ওই ভবনের স্ট্রাকচার আমাদের দেখার কথা না। এর জন্য দায়ী ভবনের মালিক সোহেল রানা। যারা ভবনের বাড়তি অংশ করতে অনুমোদন দিয়েছে বা করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ভবনটি হওয়ার কথা ছিল ছয়তলা। অথচ দশতলা করা হয়েছিল। এই দশতলা যাদের চোখের সামনে করেছে তারা এর জন্য দায়ী। কিন্তু কারখানা মালিকদের তো কোনো অপরাধ নেই। যারা ভবনের বাড়তি অংশ করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। যে ভবনটি করেছে এবং যারা ভবন তৈরিতে অনুমোদন দিয়েছে, এটা তাদের দায়।
জুরাইন কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মানবাধিকারকর্মী হামিদা হোসেন বলেন, শ্রমিকেরা যে টাকা পেয়েছিলেন, তা মোটেও ক্ষতিপূরণের টাকা নয়। এটা আদালতে এখনো আটকে আছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এই চার বছরে কোর্ট কেন বসছে না? একটা কমিটি করা হয়েছিল ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত কোর্ট থেকে পাওয়া যায়নি। সিদ্ধান্ত এলেই ক্ষতিপূরণ পেতেন শ্রমিকেরা। এ সময় রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রæত বিচারের দাবি জানান তিনি।
সোমবার সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা নিহত শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যান। এ সময় দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তারা বিভিন্ন সেøাগান দেন। এ ছাড়া ২৪ মার্চ গার্মেন্টস শ্রমিক শোক দিবস ঘোষণা করার দাবি জানান তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।