Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ঠান্ডায় কাবু বসেছে উত্তর জনপদ বৃষ্টিতে বাড়ছে শীত

প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা, রংপুর, ঈশ্বরদীসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টির ফলে সারাদেশে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। গতকাল বুধবার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ থেকে শুরু হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। এর ফলে গতকালের থেকে আজ বেশি পরিমাণে জেঁকে বসবে শীত।
মঙ্গলবার রাত থেকেই সারাদেশে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এই বৃষ্টির কারণে মানুষে মধ্যে এক ধরনের অস্থির অবস্থা তৈরী হয়েছে। বিশেষ করে গতকাল বিকালে রাজধানীতে বৃষ্টি শুরু হলে অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে সবাইকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এর আগে সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ মেঘলা ছিল। আবহাওয়া অফিস আরো জানায়, বুধবার রংপুরে ১৫, ইশ্বরদীতে ৫, ময়মনসিংহে ৯ মিলিমিটারসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। বইছে ঠা-া বাতাস। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা রয়েছে। সারাদেশের রাতের তাপমাত্রাও কমে যাচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, দেশের বেশ কয়েকটি জেলাতে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকবে। এ পরিস্থিতি আরো কিছু দিন থাকতে পারে। আজ থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।
নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা জানান : মঙ্গলবার থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর কনকনে বাতাসে শীত জেঁকে বসেছে গোটা উত্তর জনপদে। বৃষ্টি গম আর বোরো ক্ষেতের আশীর্বাদ হয়ে আসলেও আলু আর শাক-সবজির ক্ষেতে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। ফলে মাঘের শীতে বাঘ কান্দা অবস্থা। গতকাল সারাদিন আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল। সাথে কনকনে হিমেল বাতাস জনজীবন বিপর্যস্থ করে তোলে। অপরদিকে কাকভেজা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতেই নীলফামারীর বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রায় ১০ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। রাত ১২টার দিকে একে একে শহরের সবকটি ফিডার ট্রিপ করে। বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বৃষ্টিতে ব্রেকার ড্যাম ও গাছের ডাল পরে এ বিদ্যুৎ বিভ্রাট। রাত ২টায় শহরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলেও শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বুধবার সকাল ১০টার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
শিবগঞ্জে ২৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
শিবগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা জানান : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা-রাতে দু’ফা ঝড়-বৃষ্টির কারণে প্রায় ৪০টি ইটভাটায় ২৫ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। বয়স্কদের ভাষায় মাঘের পানি ফসলের জন্য মধুর হলেও ইট-ভাটা ব্যবসায়ীদের বিষ হয়েছে। জানা গেছে, মাঘ মাসের বৃষ্টিতে মাঠের ফসলসহ আম বাগানের জন্য উপকার হয়েছে। উপজেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে গম, ১ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে খেসারী ও ৫০ হেক্টর জমিতে মটর আবাদ হয়েছে। অন্যদিকে উপজেলায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুজ্জামান জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, মাঘ মাসের বৃষ্টির পানিতে আম গাছের রোগ-জীবাণুু ধ্বংস হয়ে যায়। মঙ্গলবার রাতে দু’দফায় ১০ মি.মি বৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে বৃষ্টির ফলে ইটভাটা ব্যবসায়ীদের সর্বনাশ হয়েছে। ইটভাটা মালিক হাজী সাবর আলী, তৌফিকুল, সবুর আলী ও আবু তালেব জানান, বৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন ৪০টি ভাটার প্রায় ২৫ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। প্রতি ভাটায় ৭-১০ লাখ করে কাঁচা ইট গলিত নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও আগামী ১০ দিনে ইটভাটায় নতুন কোনো ইট পুড়ানো সম্ভব হবে না বলে ভাটা মালিকরা জানিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঠান্ডায় কাবু বসেছে উত্তর জনপদ বৃষ্টিতে বাড়ছে শীত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ