পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : জনপ্রশাসনের সিনিয়র সহকারী সচিব পর্যায়ের ২৬৭ জন কর্মকর্তাকে উপ-সচিব হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গতকাল রোববার এই আদেশ জারি করে রেওয়াজ অনুযায়ী পরবর্তী পদায়নের জন্য তাদের ওএসডি করেছে।
এ ছাড়া বিদেশে বাংলাদেশের মিশন ও দূতাবাসে কর্মরত ১০ জনকে উপ-সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। পদোন্নতিপ্রাপ্ত বেশিরভাগ কর্মকর্তাই ২২তম ব্যাচের (২০০৩)। এ ব্যাচের ২১২ জন কর্মকর্তা উপ-সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। পুরনো ব্যাচের পদোন্নতি-বঞ্চিত অল্পসংখ্যক কর্মকর্তাকেও উপসচিব করা হয়েছে বলে জনপ্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। গত বছরের ২৭ নভেম্বর ২০৫ জন সিনিয়র সহকারী সচিব পদোন্নতি পেয়ে উপসচিব হন। এর ফলে বর্তমানে জনপ্রশাসনে উপ-সচিবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫৫১ জন।
পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৯৮ জন, অর্থাৎ ৭৪ দশমিক ১৬ শতাংশই প্রশাসন ক্যাডারের। অন্যান্য ক্যডার থেকে উপ-সচিব হয়েছেন ৬৯ জন কর্মকর্তা। প্রশাসন ক্যাডারের বাইরে কৃষি ক্যাডারের পাঁচজন, আনসারের তিনজন, নিরীক্ষা ও হিসাবের চারজন, সমবায়ের পাঁচজন, ইকোনোমিক ক্যাডারের ছয়জন, মৎস্যের পাঁচজন, খাদ্যের দুইজন, সাধারণ শিক্ষার আটজন, তথ্যের চারজন, প্রাণিসম্পদের ছয়জন, ডাক বিভাগের তিনজন, গণপূর্তের চারজন, রেলওয়ের তিনজন, পরিসংখ্যানের দুইজন, করের তিনজন, সড়ক ও জনপথের দুইজন ছাড়াও টেলিযোগাযোগ, শুল্ক ও আবগারী, বন এবং ট্রেড ক্যাডারের একজন করে কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে এবার।
এবারও পদোন্নতিতে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবদের একান্ত সচিবরা (পিএস) এগিয়ে আছেন। প্রধানমন্ত্রীর একজন এপিএস ছাড়াও একজন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী, একজন উপমন্ত্রীর পিএস এবং নয়জন সচিবের পিএসকে উপসচিব করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর এপিএস কাজী নিশাত রসুল, কৃষিমন্ত্রীর পিএস মোহাম্মদ শাহজালাল, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর পিএস মো. মঞ্জুরুল হাফিজ এবং পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রীর পিএস শাহ মোমিন পদোন্নতি পেয়েছে উপসচিব হয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পিএস এইচ এম নুরুল ইসলাম উপ-সচিব হয়েছেন। পিএসসি চেয়ারম্যানের পিএস মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, দুদক কমিশনারের পিএস সৈয়দ রবিউল ইসলাম ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, দুদক সচিবের পিএস ডা. মো. নুরুল হক এবং একটি সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের পিএস উত্তম কুমার মন্ডলকে উপসচিব করেছে সরকার। এছাড়া সেতু বিভাগের সচিবের পিএস মাহমুদ ইবনে কাসেম, শ্রম সচিবের পিএস হাবিবুর রহমান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিবের পিএস আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান সচিবের পদোন্নতি পেয়েছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের পিএস কাজী শাহজাহান, কৃষি সচিবের পিএস মো. জিয়াউল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিবের পিএস মো. শরিফুল ইসলাম, পরিবেশ ও বন সচিবের পিএস মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়াকেও উপসচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
পদোন্নতির খবর শুনে পদোন্নতি প্রত্যাশী কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এসে ভিড় জমান। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পদোন্নতির তালিকা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নোটিস বোর্ডে টাঙিয়ে দেয়া হয়। তালিকায় নিজের নাম দেখে অনেককে আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। উৎফুল্ল অনেকে পদোন্নতি পাওয়ার সংবাদ ফোনে প্রিয়জনকে জানাতে দেখা গেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের করিডোর পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে।
জনপ্রশাসনে উপসচিব পদে এমনিতেই নিয়মিত পদের চেয়ে বেশিসংখ্যক কর্মকর্তা রয়েছেন। উপসচিবের নিয়মিত পদ সাড়ে আটশ’র মতো। এতো অধিকসংখ্যক কর্মকর্তাকে কিভাবে প্রোভাইড করা হবে-এটিই এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।