Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুর্ঘটনাকবলিত গ্রীন লাইন উদ্ধার তৎপরতা থেকে হাত গোটাল বিআইডব্লিউটিএ

| প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় দেশীয় লাগসই প্রযুক্তিতে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হচ্ছে আজ
বরিশাল ব্যুরো : বরিশাল-ঢাকা নৌপথে যাত্রী পারাপারকারী দুর্ঘটনাকবলিত অত্যাধুনিক ক্যাটামেরন নৌযান ‘এমভি গ্রীন লাইন-২’ উদ্ধারে ব্যার্থ হয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। কর্তৃপক্ষের উদ্ধারযান ‘নির্ভিক’কে গতকাল দুপুরে পোতাশ্রয়ে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। গ্রীন লাইন কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সম্পূর্ণ লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নৌযানটি উদ্ধার কাজ শুরু করছে। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গতকাল উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা যায়নি। অপরদিকে নিমজ্জিত কয়লা বোঝাই কার্গোটি গতকাল কির্তনখোলা নদীর প্রায় ৫০ ফুট গভীরে চিহ্নিত করে বিআইডব্লিউটিএ একটি স্পেরিকেল বয়া স্থাপন করেছে। সব নৌযান চালকদের ওই বয়াকে এড়িয়ে চলাচলের পরমর্শ দেয়া হয়েছে। নিমজ্জিত কার্গোটির কারণে নৌযান চলাচলে কোন বিঘœ ঘটবে না বলে বিআইডব্লিউটিএ’র পাইলটেজ এন্ড কনজার্ভেন্সি বিভাগের উপ-পরিচালক জানিয়েছেন।
গত শনিবার দুপুরে বরিশাল বন্দরের অদূরে চরবাড়ীয়ার তালতলী-লামচরী এলাকায় ‘এমভি গ্রীনলাইন-২’এর সাথে মুখোমখি সংঘর্ষে কয়লা বোঝাই কার্গো এমভি মাসুদ-মামুন কির্তনখোলা নদীতে ডুবে যায়। দুর্ঘটনার পর পরই কার্গোটির সব ক্রু সাঁতরে নিরাপদে কিনারায় উঠতে সক্ষম হয়। অপরদিকে গ্রীন লাইন-২-এর পোর্ট সাইডের সামনে অংশ ও পেছনের অংশ ফেটে গিয়ে পানি উঠতে শুরু করায় নৌযানটি দ্রæত কিনারায় তুলে দিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে অন্য নৌযানের সাহায্যে বরিশাল বন্দরে ফেরত আনা হয়।
দুর্ঘটনার পর পরই ফায়ার সার্ভিসের বরিশাল নৌ স্টেশনের কর্মীরাও দ্রæত দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারযান ‘নির্ভিক’ সন্ধার পরপরই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ক্ষমতাবহির্ভূত ওজনের কারণে এমভি গ্রীন লাইন-২ উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি। বছর পাঁচেক আগে সংগ্রহ করা এ উদ্ধার যানটির সর্বোচ্চ উত্তোলন ক্ষমতা আড়াইশ’ টন। অপরদিকে দুর্ঘটনাকবলিত গ্রীন লাইন-এর ওজন ৬শ’ টনেরও বেশী। ফলে উদ্ধার তৎপরতা থেকে হাত গুটিয়ে গতকাল দুপুরে নির্ভীককে নিয়ে এর কমান্ডার বরিশাল নদী বন্দরে ফেরত আসেন।
তবে গ্রীন লাইন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উদ্ধার অভিযান শুরুর লক্ষে ঢাকা থেকে ডুবুরীসহ সরঞ্জামাদী সংগ্রহ কাজ শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আজ থেকেই উদ্ধার অভিযান শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই নৌযানটির ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ওপরে তুলে তা মেরামত করে খোল থেকে পানি অপসারণ করা হবে। ফলে নৌযানটি পরিপূর্ণভাবে ভাসান সম্ভব হতে পারে। পরবর্তীতে যেকোন ডকইয়ার্ডের সøীপওয়েতে তুলে নৌযানটির মেরামত সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী রমজানের শুরুতেই ‘এমভি গ্রীন লাইন-২’ পুনরায় যাত্রী পরিবহনে ফিরবে বলে আশা করছেন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে গত শুক্রবারের ঐ দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এছাড়া বরিশালের জেলা প্রশাসনও ভিন্ন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ