পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার : কওমী মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দেয়া আগেরই কমিটমেন্ট ছিলো প্রধানমন্ত্রীর। এ নিয়ে নতুন করে কোন প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
গতকাল (শনিবার) সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের সিটি সেন্টারের পাশে বেদে সম্প্রদায়ের সংগঠন উত্তরণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠান ‘উত্তরণ’ শোরুম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী একথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় আরও বলেন, কওমী মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য কয়েক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী একটি কমিটি গঠন করেছিলো। সেই কমিটির প্রধান ছিলেন হেফাজতের আমির মাওলানা শাহ শফি। এছাড়াও ফরিদউদ্দিন মাসুদসহ কয়েকজন মাওলানা এ কমিটিতে ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, কমিটির সকলেই সিদ্ধান্ত নিয়ে একত্রিত হয়ে যখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আসছেন তখন বেশ কয়েকটি বোর্ড ছিল। সবগুলো বোর্ড যখন একত্রিত হয়ে একই কথায় আসছেন তখন এটার স্বীকৃতি হয়েছে। আলেম ওলামাদের দীর্ঘদিনের এটা দাবি ছিল। এখানে হেফাজত কিংবা অন্য কিছুর সম্পৃক্ততা নেই। এটা মূলত যারা কাওমী মাদ্রাসায় পড়ে তাদের দাবি পূরণের লক্ষ্যে মাত্র।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান, পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডিশনাল ডিআইজি হাবিবুর রহমান, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শফিউর রহমান, পৌর মেয়র হাজী আব্দুল গণি প্রমুখ।
বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে
মো: শামসুল আলম খান ময়মনসিংহ থেকে জানান, শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ টাউনহল অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা সনদের সরকারি স্বীকৃতি প্রদান উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ইসলামকে কলঙ্কিত করার জন্য জঙ্গির নামে বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। ইসলামের ওপর কালিমা লেপণ করে একের পর এক মুসলিম দেশগুলোকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরাষ্ট্র বানানো হচ্ছে। সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাকের মতো বাংলাদেশকেও অকার্যকর রাষ্ট্র করার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, কওমী সদন স্বীকৃতি দেশের আলেম-উলামারা যেভাবে চেয়েছেন সেভাবেই প্রধানমন্ত্রী স্বীকৃতি দিয়েছেন। ভারতের দেওবন্দের আলোকে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। খুব দ্রæত প্রধানমন্ত্রী এ স্বীকৃতি রি-প্রেজেন্ট করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, যারা ধর্মের নামে অধর্মের কাজ করছে, যারা ধর্ম ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে আলেম সমাজকে কথা বলতে হবে, রুখে দাঁড়াতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কওমী মাদ্রাসার দিকে যখন আঙ্গুল তুলে বলা হতো- এরাই জঙ্গি তৈরী করে, তখন আমি দাঁড়িয়ে বলেছি, কখনোই না।’ ইসলামকে যারা পছন্দ করে, যারা মুসলমান, যারা ধর্মের শিক্ষা দেয়, তারা কোনদিন একাজ করতে পারে না।
এ সময় ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠান, জেলা প্রশাসক খলিলুর রহমান, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, আল্লামা আজহার আলী আনোয়ার শাহ, আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, মুফতি রুহুল আমিন, হাফেজ মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, বড় মসজিদের খতিব আব্দুল হক, মুফতি তাজুল ইসলাম কাসেমী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।