পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সম্প্রতিকালে ইসলামের উপর একের পর এক আঘাত আসছে। এসব আঘাত ইসলামের বিরুদ্ধে গভীর যড়যন্ত্র। এক শ্রেণির নাস্তিক-মুরতাদ ও উগ্রবাদী হিন্দ ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত চক্রান্ত করে যাচ্ছে। অতি সম্প্রতি জাসদ নেতা মঈনুদ্দীন খান বাদল তার এক বক্তব্যে মূর্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের কুকুরের বাচ্চা বলে গালি দেয়ার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। জমিয়ত ঢাকা মহানগরীর প্রত্যেক নেতাকর্মীকে সাংগঠনিকভাবেই এদেরকে মোকাবেলা করতে হবে। গতকাল পুরানা পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর জমিয়তের এক মাসিক মিটিংয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মঈনুদ্দীন খান বাদলের এই ধৃষ্টতা ও অশালীন বক্তব্য সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানকেই ক্ষুব্ধ করেছে এবং তাদের ইজ্জতে আঘাত হেনেছে। সুতরাং তার বিরুদ্ধে দেশের প্রতিটি জেলায় মানহানির মামলা করার জন্য ইসলামিমনা আইনজীবী ও উলামায়ে কেরামের প্রতি তিনি উদাত্ত আহŸান জানিয়েছেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মুফতি বশীরুল হাসান, মুফতি মাহবুবুল আলম, মাওলানা নূর মোহাম্মাদ, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ, মাওলানা হাফেজ ওমর আলী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম ফেনুবী, মুফতি সালীমুল্লাহ খান, মাওলানা ইমরানুল বারী সিরাজী ও বুরহানুদ্দীন প্রমুখ।
ইসলামী ঐক্যজোট
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত ১১ এপ্রিল গণভবনে আলেমগণের সাথে মতবিনিময় সভায় কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদীসের সনদকে সরকারিভাবে মাস্টার্সের মান প্রদান এবং সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত গ্রিক মূর্তির বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নন্দিত ও প্রশংসনীয় উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু এই ঘোষণার পরই হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, মঈন উদ্দিন খান বাদলসহ একশ্রেণির আগ্রাসী ইসলামবিদ্বেষী চক্র একের পর এক সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী ও আলেম-ওলামাদের প্রতি বিষেদ্গার করে অমার্জনীয় অপরাধের শামিল জঘন্য মন্তব্য করে যাচ্ছে। ইসলামবিদ্বেষীদের কোনো অপতৎপরতা বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেয়া হবে না।
আমরা মনে করি, সরকারের ভেতরে থেকে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা নিজেদের শপথ ভঙ্গ করেছে এবং তাদেরকে স্বপদে বহাল রাখা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত, তা সরকারকেই ভেবে দেখতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।