পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় শুধু বিদেশী সহায়তার দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না। এজন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। কারণ, উন্নত দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণের প্রভাব আমরা ইতোমধ্যে উপলব্ধি করতে শুরু করেছি।
গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ‘ওয়েটিং ফর চেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণাপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ‘ওয়েটিং ফর চেঞ্জ’ হলো সামাজিক দায়বদ্ধতার মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকায় পানীয় জলের লবণাক্ততা দূরীকরণ এবং জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলায় সামাজিক দায়বদ্ধতার ভূমিকা বিষয়ে গবেষণার ফলাফল।
ড. আতিউর রহমান বলেন, আমরা প্রফিট করতে ব্যাংকগুলোকে বাধা দিচ্ছি না। প্রফিটের একটি অংশ সমাজের অসহায় ও দরিদ্রদের কল্যাণে ব্যয় করার জন্য রাখতে হবে। সবগুলো ব্যাংক যদি হাতে-হাত মিলিয়ে উপকূলীয় এলাকার লবণাক্ততা দূর করে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও আয় রোজগারের ব্যবস্থা করতে পারি তাহলেই বিশ্বে রোল মডেল হবে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর সিএসআর কার্যক্রম। গভর্নর বলেন, আমাদের দেশের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী অর্থের অভাবে সুযোগ পেয়েও বিদেশে পড়াশোনা করতে পারেন না। প্রত্যেকটি ব্যাংক যদি বছরে একজন করে শিক্ষার্থীর বিদেশে পড়াশোনার খরচ বহন করে, তাহলে অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে পড়াশোনার সুযোগ পাবে। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হলে পরিচালনার জন্য অনেক মেধাবীর প্রয়োজন হবে। তাদের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। ব্যাংকগুলোর মনোজগতের পরিবর্তন হয়েছে। সিএসআর কার্যক্রমে নিজেরাই যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করাতেই সেটা বোঝা যায়।
ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে খাবার পানি সংকট নিরসন ও আয় রোজগারমূলক কাজ করতে ব্যাংকগুলোকে আরও বেশি উৎসাহী হওয়া উচিত। এবিবি’র চেয়ারম্যান আনিস এ খান বলেন, সিএসআর কার্যক্রমে ব্যাংকগুলোর বাইরের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোও অংশ নিতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মনোজ কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এক্সিম ব্যাংকের এমডি হায়দার আলী মিয়া, জনতা ব্যাংকের এমডি আব্দুস সালাম প্রমুখ।
‘ওয়েটিং ফর চেঞ্জ’ শীর্ষক বইটি উপকূলীয় জেলা ভোলার বিভিন্ন চরের মানুষের সুপেয় পানি ও কর্মসংস্থানের অভাবের ওপর গবেষণালব্ধ ফলাফল। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় গবেষণা কার্যক্রমটি করেছে ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ইনশিয়েটিভ (এমআরডিআই)। অনুষ্ঠানে গবেষণাপত্রটির প্রাথমিক ধারণা দেন এমআরডিআই’র নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক নওশাদ আলী চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।