পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : নিজেকে একজন যুদ্ধবাজ, চরম মুসলিম বিদ্বেষী এবং শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বের ধুয়া তুলে কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য বর্ণগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা উস্কে দিয়ে দেশ-বিদেশে নিন্দা-সমালোচনার পাত্র হয়ে উঠেছেন তার মুখে অহিংসার বাণী একেবারেই বেমানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলে মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য এবার ভারতের অবিসংবাদিত নেতা মহাত্মা গান্ধীর আশ্রয় নিয়েছেন। মনোয়ন লাভের দৌড়ে এখন নিজের ভাবমূর্তি উদ্ধারে নিজেকে একজন অহিংসবাদী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
নির্বাচনী প্রচারণায় গান্ধীর উক্তি উদ্ধৃত করলেও মনে হয় তিনি নিজেকে উদ্ধার করতে পারছেন না। গান্ধীর উক্তি ভুলভাবে উদ্ধৃত করতে গিয়ে নিজের ভাবমূর্তিতে যেন নিজেই কালি লাগালেন। এতে তার জ্ঞান ও মেধা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
বিশ্ব যাকে চেনে যুদ্ধবাজ ও চরম মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে সেই রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্প নিজেকে মহান হিসেবে তুলে ধরতে ইনস্টগ্রামে গান্ধীর বাণী উদ্ধৃত করে নিজেকে অহিংসবাদী বলে মহীয়ান করতে চেয়েছেন।
গান্ধীর ‘কথা’ বলে ট্রাম্প ইনস্টগ্রামে লিখেছেন, ‘প্রথমে সকলেই তোমাকে উপেক্ষা করার চেষ্টা করবে। তারপর তোমাকে দেখে হাসবে। তারপর তোমার সঙ্গে লড়াই করার চেষ্টা করবে। আর শেষমেশ তুমিই জিতবে। বাকিরা হারবে।’ টুইটারে গান্ধীর ‘বাণী’ উদ্ধৃত করে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর অবস্থাটাই আসলে বোঝাতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কীভাবে তাঁকে ঘরে ও বাইরে প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি আর তাঁর রিপাবলিকান পার্টির ‘ঘর-শত্রু’ অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে, সেটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প।
কিন্তু তাতেই ভুলের ফাঁদে পা দিয়েছেন লড়াইয়ে আপাতত অনেকটাই এগিয়ে থাকা রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প।
উইকি-কোট্স জানাচ্ছে, ‘অনেকেই ওই কথাগুলোকে মহাত্মা গান্ধীর ‘বাণী’ বলে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু আদপেই তা ‘গান্ধীর বাণী নয়।’
ট্রাম্পকে নিয়ে এরপর রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে। অনেকেই বলছেন, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য যাঁরা লড়াইয়ে নেমেছেন, তাঁদের তো একটু-আধটু বিদ্যে-বুদ্ধি থাকা উচিত!’ একজন তো টুইট করে বলেছেন, ‘হিটলার আর মুসোলিনিকে উদ্ধৃত করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন ট্রাম্প। তাই এবার গান্ধীকে নিয়ে শুরু করেছেন টানাটানি।’
আমেরিকার এক নম্বর রাজনৈতিক ওয়েবসাইট ‘দ্য হিল’ লিখেছে, ‘গান্ধী কখনওই এমন কথা বলেননি। অথচ, প্রায়ই ওই কথাগুলো আমরা বসিয়ে দিই গান্ধীর মুখে।’ সূত্র : আনন্দবাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।