পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ফিলিপাইনে সম্প্রতি মমি হয়ে যাওয়া এক নাবিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটা রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। সাগরে পরিত্যক্ত একটি নৌকা ভাসতে দেখা যায়। ভেতরে পাওয়া গেছে ওই লাশ। নৌকার মধ্যে পাওয়া ছবি-চিঠি ও অন্যান্য নথি থেকে ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজ জার্মান নাবিক মানফ্রেড ফ্রিৎজ বাজোরাট-এর লাশ হতে পারে সেটি।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ফিলিপিন্সের উপকূল থেকে প্রায় ৪০ মাইল দূরে প্রশান্ত মহাসাগরে মাছ ধরছিলেন ক্রিস্টোফার রিভাস নামে এক যুবক এবং তার বন্ধুরা। হঠাৎই চোখে পড়ে কিছু দূরে ভাসছে একটি নৌকা। কেমন যেন ভুতুড়ে। ভাঙা পাল। ৪০ ফুট লম্বা সাদা রঙের ইয়ট জাতীয় নৌকাটির গায়ে নাম লেখা ছিল ‘সায়ো’। রিভাস এবং তার সঙ্গীরা নৌকাটির মধ্যে ঢুকে চমকে যান। দেখতে পেলেন চালকের আসনে শরীরটা বসে আছে। হাতটা রেডিও টেলিফোনের কাছে। যেন এখনই একটা ফোন করতে চায়।
নৌকাটিকে সঙ্গে নিয়ে পরের দিন ভূখ-ে ফিরে আসেন রিভাসরা। ফিলিপাইনের বারোবো থানার পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে। পুলিশই তার পর ফেসবুকে ঘটনাটি লিখে ওই ইয়ট থেকে পাওয়া ছবিগুলো পোস্ট করে। নথি থেকে জার্মান নাবিক মানফ্রেডের নাম খুঁজে পাওয়ার কথাও তারাই জানায়। মানফ্রেডের পরিবার ফিলিপাইনের দিকে রওয়ানা হয়ে যায় খবর পেয়েই।
ওই নাবিকের বয়স ৫৯ বছর। তিনি ঠিক কত দিন আগে, কী ভাবে মারা গিয়েছেন, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। নৌকার মধ্যে টিনভর্তি খাবার যথেষ্টই ছিল। ফলে খাবারের অভাব তার হয়নি। নৌকায় দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিল না। ময়নাতদন্তে মানফ্রেডের দেহে কোনো আক্রমণের চিহ্নও মেলেনি। চিকিৎসকদের একাংশ মমির বসার ভঙ্গি দেখে মনে করছেন, ওই ব্যক্তি সম্ভবত ফোন করতেই যাচ্ছিলেন। সেই মুহূর্তে আকস্মিকভাবে তার মৃত্যু হয়। আচমকা হৃদরোগের সম্ভাবনা এ ক্ষেত্রে সবচে জোরালো।
জার্মানিতে মানফ্রেডকে চিনতেন, জানতেন এমন নাবিকরা বলছেন, মানফ্রেড দক্ষ নাবিক। সম্ভবত তার মৃত্যুর পরেই নৌকার পাল ভেঙেছে। মৃত্যুর আগে নয়। এক বছর আগেও জন্মদিনে ফেসবুক মারফত যোগাযোগ হয়েছিল মানফ্রেডের সঙ্গে। তার পর আর কোনো খবর নেই। সেই হিসেবে গত এক বছরের মধ্যেই মানফ্রেড মারা গিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে হচ্ছে। নোনা হাওয়া, শুকনো আবহাওয়া আর উষ্ণ তাপমাত্রায় লাশটি পচেনি। একেবারে মমি হয়ে গিয়েছে।
জার্মানির রুড় অঞ্চলের বাসিন্দা মানফ্রেড সারা জীবনই সমুদ্রে ঘুরে কাটিয়েছেন। তার স্ত্রী ক্লাউডিয়াও নাবিক ছিলেন। মেয়ে নিনাও এখন নাবিকের কাজ করেন। ২০০৮ সালে মানফ্রেড এবং তার স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়। এর দু’বছর পর ক্যানসারে মারা যান ক্লাউডিয়া। নৌকায় পাওয়া গিয়েছে পরলোকগত স্ত্রীকে লেখা মানফ্রেডের চিঠি। তাতে লেখা, ‘তিরিশ বছরেরও বেশি আমরা একই পথের পথিক ছিলাম। তার পর বাঁচার আকাক্সক্ষা শয়তানের শক্তির কাছে হেরে গেল। তুমি চলে গেলে। তোমার আত্মা শান্তি পাক।- ইতি মানফ্রেড। সূত্র : এপিবি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।