Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকার খালগুলো দুই মেয়রের আন্ডারে চাইলেন আনিসুল

প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : পানিবদ্ধতা নিরসনের জন্য ঢাকা মহানগরের খালগুলোকে সিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়রের আন্ডারে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ আনিসুল হক। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে পানিবদ্ধতার জন্য দায়ী ওয়াসা। কিন্তু তারা দায়িত্বটি সঠিকভাবে পালন করছেন না। তাই তাদের দায়িত্ব দুই সিটি কর্পোরেশনকে দেয়া উচিত। এ দায়িত্ব পেলে দুই বছরের মধ্যে ঢাকায় কোনো পানিবদ্ধতা থাকবে না বলে তিনি জানান।
গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির আরবান ল্যাব আয়োজিত ‘ঢাকা টুমোরো’ শীর্ষক এক সেমিনারে মেয়র আনিসুল হক এ কথা বলেন।
সেমিনারে ঢাকা শহরের হারিয়ে যাওয়া খাল, সদ্য বাস ও ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদসহ তিনটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার নয়টি সড়কে পার্কিং ও যানজটমুক্ত করায় বছরে এক হাজার কোটি টাকা বাঁচবে। একই সঙ্গে নতুন আরও একটি সড়ক নির্মাণ করায় আরও ১০২ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯৫ টাকা সাশ্রয় হবে।
প্রতিবেদনে নগরীর যানজটের বিভিন্ন কারণ তুলে ধরা হয়। নগরীর যেসব সড়ক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিবেদন তৈরি করেছে সেগুলো হচ্ছে মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গাবতলী, আমিনবাজার, মিরপুর ১২, মহাখালী, তেজগাঁও ও কারওয়ান বাজার।
এর আগে গত বছরের শেষের দিকে বিভিন্ন সময়ে এ সড়কগুলোতে অবৈধ পার্কিং মুক্ত ঘোষণা করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
গবেষণা ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে বসুন্ধরা রোড, মীরপুর রোড, ভিআইপি রোড, এয়ারপোর্ট রোডসহ ঢাকা মহানগরের প্রধান প্রধান সড়ক হকারমুক্ত বা সুবিন্যাস্ত করা হবে। এপ্রিল মাসের পর থেকে মানুষ রাস্তায় স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটতে পারবে।
তিনি বলেন, যাত্রী ছাউনী করা হবে। তবে সেখানে কোনো পোস্টার লাগাতে দেয়া হবে না। বিল বোর্ডের জন্য সুবিন্যাস্ত ব্যবস্থা করা হবে। ঢাকা শহরে নতুন করে নামানো হচ্ছে এক হাজার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসসহ তিন হাজার বাস।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগরকে বাসযোগ্য রাখার জন্য পরিচ্ছন্নতা, সবুজায়ন ও ভূমিকম্প সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার জন্য ভলান্টিয়াররা কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, জাতীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তিনি বলেন, সিটি মেয়র যে যুদ্ধ শুরু করেছেন সেই যুদ্ধে তাকে জিততে হবে। মেয়র যে যুদ্ধ শুরু করেছেন সে যুদ্ধ মানুষের জন্য। উনি হেরে গেলে ঢাকা হেরে যাবে। আর কখনই মানুষ ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পাবে না।
গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন বিইউ’র বোর্ড অব ট্রাস্টি সদস্য স্থপতি ইকবাল হাবিব ও ড. আখতার হোসেন।
সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টি চেয়ারম্যান ও মাইক্রোসফ্টের সিনিয়র আর্কিটেক্ট কাজী জামিল আজহার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাকার খালগুলো দুই মেয়রের আন্ডারে চাইলেন আনিসুল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ