Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেয়ারবাজারে ফের টানা দরপতন

প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ ফের দরপতনের বৃত্তে বন্দী হয়ে পড়েছে দেশের শেয়ারবাজার। গতকাল (বুধবার) চলতি সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবেসও পতন হয়েছে বাজারে। এর ফলে টানা ৬ দিন সূচকের পতন দিয়ে শেষ হয়েছে দিনের লেনদেন। গতকাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসই ব্রড ইনডেক্সের (ডিএসইএক্স) পতন হয়েছে ২১ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট। এর ফলে দিনশেষে সূচক গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪৬২ দশমিক ১৭ পয়েন্টে।
অবশ্য গতকাল বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় দিনের লেনদেন শুরু হয়। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকায় ডিএসইর প্রধান সূচকটি সাড়ে ৪ হাজার পয়েন্টের ওপরে উঠে আসে। বেলা সাড়ে ১২টায় সূচক ৪৫০৪ পয়েন্টে উন্নীত হয়। কিন্তু এরপর বাজারে বিক্রিচাপ বাড়তে থাকায় দর হারাতে থাকে কোম্পানিগুলো এবং একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে সূচক। লেনদেনের শেষ অবধি বিক্রির চাপ থেকে বের হতে পারেনি বাজার। ফলে মঙ্গলবারের তুলনায় ২১ পয়েন্টের পতন দিয়ে শেষ হয় দিনের লেনদেন। এর ফলে বুধবারসহ টানা ৬ দিন দরপতন দিয়ে শেষ হয়েছে ডিএসইর লেনদেন। আর এ সময়ে ডিএসই সূচকের পতন হয়েছে ১৩৬ দশমিক ১৭ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩১১টি ইস্যুর মধ্যে দিনশেষে দর বেড়েছে ১০৪টির, কমেছে ১৬৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির দর। এদিকে টানা ৫ দিন ৪০০ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হওয়ার পর গতকাল ৫০০ কোটি টাকার ঘরে উন্নীত হয়েছে ডিএসইর লেনদেন। মঙ্গলবারের তুলনায় ১৩৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা বেড়ে বুধবার দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৫৭৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। দিনশেষে কোম্পানিটির ২৯ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৫০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। ২১ কোটি ১৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিঙ্গার বিডি। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে গ্রামীণফোন, সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, ইফাদ অটোস, ইউনাইটেড পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, কাশেম ড্রাইসেল।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএসসিএক্স ৪৩ দশমিক ২২ পয়েন্ট কমে দিনশেষে ৮৩৬৯ দশমিক ০৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৮টির, কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির দর।
অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধিতে তদন্ত কমিটি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) লিমিটেডের শেয়ারের দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ার কারণ তদন্তে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেনÑ বিএসইসির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আল মাসুম মৃধা ও সহকারী পরিচালক সুলতান সালাহ উদ্দিন। কমিটিকে আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি আদেশ বুধবার দুপুরে জারি করা হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বিএসআরএমের শেয়ারের দর প্রায় টানা বেড়েই চলেছে। ৭ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারের দর ছিল ১১৩.৮০ টাকা। আর ২ মার্চ বুধবার দিনশেষে শেয়ারটির দর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৪.৩০ টাকায়। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে ৯০.৫ টাকা। দরবৃদ্ধির এ হার ৭৯.৫২ শতাংশ।
এদিকে কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষের চিঠির প্রেক্ষিতে ২৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারটি দর অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। এরই প্রেক্ষিতে দরবৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেয়ারবাজারে ফের টানা দরপতন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ